গণিত উৎসবের কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পর্বের আসর বসেছিল কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে। সেখানে ৪৫৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৩ শিক্ষার্থী ঢাকায় জাতীয় উৎসবে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক লাল মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মোহা. শাহিনুর রহমান। আয়োজনে কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্য ও গণিত উৎসবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুষ্টিয়া বন্ধুসভার নাবিলা নূর ও মোশাররফ হোসেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও কুষ্টিয়া বন্ধুসভার উপদেষ্টা এএসএম মুসা কবির, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এফতে খাইরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আসমা আকতার প্রমুখ বিজয়ীদের গলায় মেডেল পরিয়ে দেন। এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গণিত অলিম্পিয়াডের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলর জাহিদ হোসাইন খান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুজ্জামান কামরুল।
এর আগে যশোর, রাজশাহী ও খুলনায় আঞ্চলিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় গণিত উৎসবের আয়োজন করছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। গণিত উৎসবের খবর পাওয়া যাবে গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইট https://matholympiad.org.bd এবং https://facebook.com/BdMOC অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।