‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’—এটা গণিত উৎসবের স্লোগান। আর এ স্লোগান সত্যি প্রমাণ করতেই যেন গতকাল শনিবার রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক গণিত উৎসবের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বপ্ন নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করছিল খুদে শিক্ষার্থীরা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি গণিত শেখার, স্বপ্ন দেখার এ উৎসব আয়োজন করে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরু থেকেই স্বপ্নের মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তুলে ধরছিলেন। একপর্যায়ে তিনি জানিয়ে দেন, ‘স্বপ্নের রং হয় সাদা-কালো।’ তারপর গণিত, পদার্থবিদ্যা হয়ে আবারও এক প্রশ্নকর্তা স্বপ্ন প্রসঙ্গে ফিরে জানতে চাইল, ‘স্বপ্নের রং সাদা-কালো হয় কেন?’ ততক্ষণে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। খুদে গণিতবিদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, ‘এটা স্বপ্নের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। তবে স্বপ্ন যে দেখে, সে চাইলেই স্বপ্নকে রঙিন করে তুলতে পারে।’
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, কৃষক, পোশাক খাতের শ্রমিক ও প্রবাসী বাংলাদেশি—এ তিন মিলে এখন বাংলাদেশ তিন চাকার রিকশার মতো চলছে। বাংলাদেশের এখন আর একটি চাকা দরকার। নতুন প্রজন্মের চার কোটি শিক্ষার্থী যদি নিজেদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে পারে, তবেই ৪ নম্বর চাকাটি পেয়ে যাবে বাংলাদেশ, ছুটবে দুরন্তগতির গাড়ির মতো। তাহলেই ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ইউরোপ-আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
গতকাল সকাল নয়টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্বপ্নকে রঙিন করার এ গণিত উৎসব। রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ সুলতান উদ্দিন আহমেদ জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এহতেশামুল হক খান আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পর উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘১২ বছর আগে শুরু হওয়া গণিত অলিম্পিয়াড এখন দেশে ও বিদেশে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ভালো করছে।’ তিনি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড থেকে স্বর্ণপদক জয় করে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রাণের উৎসবের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গর্বিত ও আনন্দিত। এ উৎসব শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষ হওয়ায় ভূমিকা রাখছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর পক্ষে সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
এরপর সকাল ১০টায় গণিত উৎসবের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত। পরীক্ষা শেষে খুদে গণিতবিদেরা আবারও মাঠে এসে জড়ো হয়। গণিত উৎসবের গান দিয়ে শুরু হয় উৎসবের এ পর্বটি। এরপর একে একে আয়োজন করা হয় রম্য বিতর্ক, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা। গণিত ও বিজ্ঞানবিষয়ক বই দিয়ে সাজানো বইমেলা উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে।
গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানলেখক রেজাউর রহমান, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান আবদুল হামিদ খান প্রমুখ খুদে গণিতবিদদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
খোদাদাদ খান খুদে গণিতবিদদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের চোখে গণিত নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছি, তা বৃদ্ধ বয়সে আমাকে আবারও স্বপ্ন দেখতে উদ্বুব্ধ করছে। আশা করছি, গণিতের চিন্তা ও যুক্তি তোমাদের মেধাকে আরও শাণিত করবে।’
মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মন থেকে গণিত নিয়ে ভয় দূর করছে গণিত উৎসব। উৎসবে অংশগ্রহণকারী সবাইকে যে বড় গণিতবিদ হতে হবে তা নয়। গণিতের যুক্তি জীবনের সব ক্ষেত্রেই জরুরি।
এরপর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম, এভারেস্ট বিজয়ী মুসা ইব্রাহীম, বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ বিজয়ী সামিন রিয়াসাত প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ আর সরকার, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ মাহবুব মজুমদার প্রমুখ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সেলর তামিম শাহিরয়ার।
বেলা তিনটা বাজার কয়েক মিনিট আগে শুরু হয় ফলাফল ঘোষণা। এর আগে গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান জানিয়ে দেন, ঢাকা অঞ্চলের এবারের আয়োজনে চারটি ক্যাটাগরিতে ঢাকা, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ—এ তিন জেলার ১৮৪টি স্কুলের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর দুই হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে, এটি অংশগ্রহণকারীর বিগত সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। উৎসব সফল করার জন্য কাজ করেছেন ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক। পরীক্ষা হলে দায়িত্ব পালনকারীর সংখ্যা ১৪৩। পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার কাজ করেছেন ১২০ জন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১৬৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এই ১৬৪ জন দেশের আরও ২১টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবে বিজয়ীদের সঙ্গে ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আসাদগেটসংলগ্ন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে এবং সেখান থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশ গণিত দল যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) অংশ নিতে।
আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এই উৎসবের আয়োজন করেছে। সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) জন্য বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচনের লক্ষ্যে এ বছর ২২টি শহরে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে সব কটি আঞ্চলিক উৎসব শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব।
ইতিমধ্যে ঢাকা উৎসবে অংশ নিতে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।
উৎসব শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। উৎসবে পরীক্ষার সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা যাবে না। অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, কলম ও পেনসিল সঙ্গে আনতে হবে।
উৎসবে খুদে গণিতবিদদের উৎসাহ জোগাতে উপস্থিত থাকছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বিশিষ্ট গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল হাকিম খান, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, গণিত দলের কোচ মাহবুব মজুমদার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এহতেশামুল হক খানসহ বিশিষ্টজনেরা।
উল্লেখ্য, ২২টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ীরা আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্র ও শনিবার ঢাকার আসাদগেটসংলগ্ন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।
শীতের সকাল। কনকনে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। কোথাও কোথাও কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের উঁকিঝুঁকি। রোদ-কুয়াশার লুকোচুরি। মাঘের শিশিরভেজা এই সকাল আরও সিক্ত হলো হাজারো শিক্ষার্থীর উচ্ছ্বাসে।বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার দেশের আটটি অঞ্চলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক পর্বের এ উৎসবে অংশ নিয়ে খুদে গণিতবিদেরা উচ্ছ্বসিত। তাদের চোখেমুখে গণিতজয়ের স্বপ্ন।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। উৎসবের স্লোগান ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’।
উৎসবের প্রথম দিনে রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি অঞ্চলে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি অঞ্চলেই জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উৎসবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষার পাশাপাশি ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
‘দেশের আয়তন ঘনমিটারে না করে বর্গমিটারে প্রকাশ কেন’, ‘রোমান সংখ্যায় জিরো নেই কেন’, ‘পদার্থ ও রসায়নে গণিত প্রয়োজন হয়, জীববিজ্ঞানে কেন প্রয়োজন হয় না’, ‘শূন্য যৌগিক না মৌলিক’—শিক্ষার্থীদের এমন আরও অনেক বুদ্ধিদীপ্ত, সৃজনশীল ও যুক্তিনির্ভর মজার মজার জিজ্ঞাসায় জমে ওঠে প্রশ্নোত্তর পর্ব। অতিথিরাও উত্তর দেন উৎসাহ নিয়ে। ভালো প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গেই ছিল পুরস্কার।
উৎসবে বক্তারা বলেন, মানুষের উন্নতির জন্য দুটি বিষয় দরকার। একটি হলো ভাষাজ্ঞান, অন্যটি গণিতে দক্ষতা। কেউ কেউ বলেন, ‘গণিত বিশ্বময়, বিশ্ব গণিতময়। আমরা লেখাপড়া না শিখলেও গণিত আমাদের প্রয়োজন হয়।’ শিক্ষার্থীরা মুখস্থ, মিথ্যা ও মাদককে ‘না’ বলার শপথ নেয়।
অলিম্পিয়াডে সব অঞ্চলের বিজয়ীদের সনদ, ক্রেস্ট ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয় জাতীয় উৎসবের।
উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।
রংপুর: রংপুর জিলা স্কুলের মাঠে উৎসবের শুরু সকাল নয়টায়। উদ্বোধন করেন রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন। রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় মোট ৫৬ জন।
জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, প্রথম আলো প্রতিবছর গণিত উৎসব করে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত শেখার আন্দোলন জাগিয়ে দিয়েছে।
উৎসবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান হাফিজুর রহমান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রংপুর শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি: রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজে সকাল সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। উৎসবে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির ২১টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চারটি বিভাগে বিজয়ী হয় ৩০ জন।
উৎসবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবেদ মোর্শেদ, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজের উপাধ্যক্ষ বৈশিলী রায়, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সদরুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষক মো. মনজু মিঞা, সনাতন দাস, মো. বশির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ ও পরান্টু চাকমা।
যশোর: সকাল সাড়ে নয়টায় যশোর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে উৎসবের শুরু। উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের জন্য এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দূর হয়েছে গণিতভীতি।
যশোর ও নড়াইলের ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৬০০ শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নেয়। এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চারটি বিভাগে ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।উৎসবে গণিতবিদ অধ্যাপক এ এ কে এম লুৎফুজ্জামান, মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ এলিয়াস হোসেন, যশোরের ডাক্তার আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সকাল নয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মূল্যায়ন পরীক্ষায় ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বক্তৃতা পর্বে ফরিদা নাজমীন বলেন, গণিতকে ভয় পাওয়ার দিন আর নেই। এখন সময় বিশ্বকে জয় করার। আরেক শিক্ষক চিন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে হলে গণিতের প্রয়োজন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আইডিয়াল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর সৌমিত্র চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক জহিরুল হক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।
ফরিদপুর: ফরিদপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুর্গারানী সিকদার। ফরিদপুর অঞ্চলের উৎসবে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। উৎসবে ৪৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
উৎসবে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রবীণ শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ স ম আবদুল হক, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক পরিমল কুমার কুণ্ডু, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরীয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হরিদাস হালদার তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘গণিত বিশ্বময়, বিশ্ব গণিতময়। আমরা লেখাপড়া না শিখলেও গণিত আমাদের প্রয়োজন হয়।’
ফেনী: ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ। এরপর শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। এতে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চারটি বিভাগে ৪৬ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, অধ্যাপক ফসিউল আলম, ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক মো. সফিউল আজম ভূঞা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ: সকাল থেকেই কুয়াশাছন্ন ঝিনাইদহ। কুয়াশা ভেদ করে ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাজির প্রায় ৮০০ খুদে গণিতবিদ। তারা এসেছে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও মাগুরা জেলা থেকে।
সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, মানুষের উন্নতির জন্য দুটি জিনিস দরকার। একটি হলো ভাষায় দক্ষতা, অন্যটি হলো গণিতে পারঙ্গমতা।
এরপর এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষায় চারটি বিভাগে মোট ৫০ জন বিজয়ী হয়। সেরাদের সেরা হয়েছে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র তাসনিম ফারহান।
উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ওয়াজির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, প্রবীণ শিক্ষক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের মাঠে সকাল নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেনময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মো. ফিরোজ আহমেদ। উৎসবে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার ৫২টি স্কুলের এক হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। বিজয়ী হয় ৫৯ জন।
উৎসবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান শেখ সুজন আলী, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অভীক রায়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ময়মনসিংহ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে উৎসব শুরু হয়ে শেষ দুপুরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে আজকে অনুষ্ঠিত ৮ টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব শেষ হয়েছে।
সব আঞ্চলিক উৎসবের চার ক্যাটাগরির সকল বিজয়ীকে দেওয়া হয় মেডেল, সার্টিফিকেট ও হলুদ রঙের টি শার্ট। সঙ্গে ছিল আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আমন্ত্রণ পত্র।
এছাড়াও দেয়া হয় প্রত্যেক বিজয়ীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের জন্য একটি চিঠি এবং একটি বিজয়ী ফরম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের চিঠির নির্দ্দিষ্ট অংশে প্রধানের নাম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম লিখে জমা দিয়ে আসবে।
এবং বিজয়ী ফরমটি পূরণ করে ফরমে থাকা গণিত উৎসবের ঠিকানায় দ্রত পাঠাতে হবে।
সকল বিজয়দেরকে অভিনন্দন !
উল্লেখ্র, আজ যে আটটি অঞ্চলে গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে ২৪, ২৫ জানুয়ারি ও ০১ ফেব্রুয়ারি বাকী অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড।
আজ সকাল ৯টা থেকে ৮টি অঞ্চলে গণিত উৎসব ২০১৪-এর আঞ্চলিক উৎসব শুরু হয়। ঠান্ডা ও কোয়াশার কারনে কয়েকটি স্থানে উৎসব শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়। এর অাগে ভোর থেকে প্রতিটি ভেন্যুতে ভেন্যু জেলা এবং তার অন্তভূর্ক্ত বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে কেউবা দলগতভাবে উৎসব স্থলে এসে উপস্থিত হয় । পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভেন্যু মাঠে পতাকা মঞ্চের পাশে সবাইকে লাইনগতভাবে দাড় করানো হয় এবং পরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও আন্তজার্তিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় সব অঞ্চলের উৎসব।
উদ্বোধনীর পর মাঠ থেকে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্লাস রুমে। সেখানে ১.১৫ মনিটির একটি পরীক্ষায় (গণিত অলিম্পিয়াডে) অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
তারপর ক্লাস রুম থেকে মাঠে এসে শিক্ষার্থীরা। অংশ নেয় বন্ধুত্বা পর্বে।
এখন গণিতের গান দিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব
আপডেট আসছে.....
আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক উৎসব। শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এ উৎসব শুরু হচ্ছে।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক; আর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। এবার ২২টি অঞ্চলে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আজ একযোগে আটটি অঞ্চলে উৎসব শুরু হবে। এই অঞ্চলগুলো হলো রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে বাকি অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৩ সাল থেকে এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন হয়ে আসছে।
২২টি আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে। দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সেরাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে দশম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্পের। বড়দের সঙ্গে সেই ক্যাম্পে যোগ দেবে জুনিয়র গণিতবিদেরাও। এরপর গণিত ক্যাম্পের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে গঠিত হবে বাংলাদেশ গণিত দল। এই দল এ বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আইএমওতে যোগ দেবে।
উৎসব শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। উৎসবে পরীক্ষার সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা যাবে না। অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, কলম ও পেনসিল সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। গণিত উৎসবের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে প্রথম আলোর অনলাইনে (www.prothom-alo.com)।
গণিত উৎসবের সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার পাঁচটি উৎসব বেশি হচ্ছে। উৎসব আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
অঞ্চল | অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহ | উৎসবের স্থান | উৎসবের তারিখ |
---|---|---|---|
রংপুর | নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট লালমনিরহাট ও রংপুর | রংপুর জিলা স্কুল | ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার |
ঝিনাইদহ | মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ | ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ | |
যশোর | নড়াইল ও যশোর | যশোর জিলা স্কুল | |
ফরিদপুর | মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ | ফরিদপুর জিলা স্কুল | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী | অন্নদা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া | |
ময়মনসিংহ | কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহ | ময়মনসিংহ জিলা স্কুল | |
ফেনী | লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী | ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
রাঙামাটি | রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি | রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজ | |
দিনাজপুর | দিনাজপুর | দিনাজপুর জিলা স্কুল | ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার |
বগুড়া | সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া | বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া | |
বরিশাল | ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ও বরিশাল | বরিশাল মডেল স্কুল ও কলেজ | |
সিলেট | সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট | ব্ল–-বার্ড স্কুল ও কলেজ, সিলেট | |
কুমিল্লা | চাঁদপুর ও কুমিল্লা | কুমিল্লা জিলা স্কুল | |
চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম ও বান্দরবান | চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল | |
খুলনা | সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা | সেন্ট জোসেফ্ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা | |
নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও কলেজ | |
ঠাকুরগাঁও | পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও | ইকো পাঠশালা ও কলেজ, ঠাকুরগাঁও | ২৫ জানুয়ারি শনিবার |
রাজশাহী | পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী | রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ | |
পটুয়াখালী | বরগুনা ও পটুয়াখালী | পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
ভোলা | ভোলা | টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলা | |
কক্সবাজার | কক্সবাজার | কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
ঢাকা | ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ | ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ | ০১ ফেব্রুয়ারি শনিবার |
জাতীয় উৎসব | সব আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা | পরে জানানো হবে | ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি, শুক্র ও শনিবার |
অঞ্চল | অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহ | উৎসবের স্থান | উৎসবের তারিখ |
---|---|---|---|
ময়মনসিংহ | শেরপুর ও জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ | কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হাইস্কুল, ময়মনসিংহ | ১৯ ডিসেম্বর |
খুলনা | খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা | সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা | |
পাবনা | পাবনা | আদর্শ গালর্স হাইস্কুল, পাবনা | |
সুনামগঞ্জ | সুনামগঞ্জ ও সিলেট | এইচ এম পি উচ্চবিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ | |
টাঙ্গাইল | টাঙ্গাইল | বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, টাঙ্গাইল | ২০ ডিসেম্বর |
নড়াইল | গোপালগঞ্জ, যশোর ও নড়াইল | নড়াইল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় | |
রাজশাহী | নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ | রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ | |
হবিগঞ্জ | হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার | বি কে জি সি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, হবিগঞ্জ | |
ঝিনাইদহ | মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা | ওয়াজির আলী হাইস্কুল, ঝিনাইদহ | ২১ ডিসেম্বর |
কুষ্টিয়া | মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া | কুষ্টিয়া জিলা স্কুল | |
নরসিংদী | নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া | নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
পঞ্চগড় | পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও | পঞ্চগড় বি পি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | ২৬ ডিসেম্বর |
বরগুনা | পটুয়াখালী ও বরগুনা | বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
রংপুর | রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট | রংপুর জিলা স্কুল | ২৭ ডিসেম্বর |
বগুড়া | সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়া | পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া | ২৮ ডিসেম্বর |
ঝালকাঠি | বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলা | সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঝালকাঠি | |
নোয়াখালী | লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী | নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | ০২ জানুয়ারী |
চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম | সেন্ট প্লাসিড উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম | |
চাঁদপুর | চাঁদপুর ও কুমিল্লা | চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় | ০৩ জানুয়ারী |
রাঙামাটি | রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি | লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাঙামাটি | |
শরীয়তপুর | মাদারীপুর ও শরীয়তপুর | পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, শরীয়তপুর | ০৯ জানুয়ারী |
রাজবাড়ী | ফরিদপুর ও রাজবাড়ী | রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় | ১০ জানুয়ারী |
ঢাকা | ঢাকা মহানগর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ | রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা | ১৬ জানুয়ারী |
কক্সবাজার | বান্দরবান ও কক্সবাজার | কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | ২৩ জানুয়ারী |
জাতীয় উৎসব | আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা | সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা | ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ |
AvÂwjK Drm‡ei mgqm~Px
bs | †fby¨ | Aš—fz©³ †Rjv | ZvwiL | evi |
e¸ov | RqcyinvU, MvBevÜv I e¸ov |
18/12/15
|
ïµevi | |
ivRkvnx | ivRkvnx, bv‡Uvi, bIMuv I PuvcvBbeveMÄ | |||
wm‡jU | mybvgMÄ I wm‡jU | |||
| ||||
iscyi | iscyi, KzwoMÖvg I jvjgwbinvU I bxjdvgvix |
19/12/15
|
kwbevi | |
Kzwóqv | wSbvB`n, †g‡nicyi, Kzwóqv, cvebv I PzqvWv½v | |||
†gŠjfxevRvi | nweMÄ I †gŠjfxevRvi | |||
| ||||
w`bvRcyi | w`bvRcyi, cÂMo I VvKziMuvI |
20/12/15 |
iweevi | |
h‡kvi | gv¸iv, h‡kvi I bovBj | |||
eªvþYevwoqv | biwms`x I eªvþYevwoqv | |||
| ||||
wmivRMÄ | wmivRMÄ |
21/12/15 |
†mvgevi | |
Lyjbv | Lyjbv, †MvcvjMÄ, ev‡MinvU I mvZ¶xiv | |||
| ||||
dwi`cyi | dwi`cyi I ivRevox | 22/12/15 | g½jevi | |
| ||||
PÆMÖvg | PÆMÖvg | 8/1/16 | ïµevi | |
Kzwgjv | Puv`cyi I Kzwgjv | 10/1/16 | iweevi | |
†b·Kvbv | †b·Kvbv | 12/01/16 | g½jevi | |
gqgbwmsn | gqgbwmsn, Rvgvjcyi, †kicyi I wK‡kviMÄ | 13/01/16 | eyaevi | |
ivOvgvwU | ivOvgvwU I LvMovQwo | 15/1/16 | ïµevi | |
†dbx | j²xcyi, †dbx I †bvqvLvjx | 16/1/16 | kwbevi | |
cUzqvLvjx | cUzqvLvjx I ei¸bv | 18/1/16 | †mvgevi | |
ewikvj | ewikvj, wc‡ivRcyi, SvjKvwV I †fvjv | 19/1/16 | g½jevi | |
kixqZcyi | kixqZcyi I gv`vixcyi | 22/1/16 | ïµevi | |
Uv½vBj | Uv½vBj | 23/1/16 | kwbevi | |
K·evRvi | K·evRvi I ev›`ieb | 26/1/16 | †mvgevi | |
XvKv | XvKv-1, XvKv-2, MvRxcyi, gywÝMÄ,bvivqYMÄ I gvwbKMÄ | 29/1/16 | ïµevi | |
RvZxqDrme | AvÂwjK Drm‡ei weRqxiv | 12 I 13 †deyqvwi 16 | ïµevi I kwbevi |
গতকাল ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ২২টি অঞ্চলে একযোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় দিন অাজ শনিবার ৪ টি অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
যেসব অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে সেগুলো হলো...
১. ঢাকা
২. রংপুর
৩. ময়মনসিংহ
৪. কক্সবাজার
আরো ২টি অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন প্রায় শেষ পর্যায়ে
১. চট্টগ্রাম
২.নারায়নগঞ্জ
বাকী অঞ্চলগুলো রেজিস্ট্রেশনও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুতরাং, এখনও যারা রেজিস্ট্রেশন করবে বলে সময় গুনছ, তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না...!
বিস্তারিত
http://matholympiad.org.bd/news/109-bdmo-2014-registration-notice