| জুলাই ২৪, ২০১৩
পাঠকেরা যখন এই খবর পড়বেন, ততক্ষণে ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সাড়ে চার ঘণ্টার এই পরীক্ষা বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত একটায় শেষ হয়।
পরীক্ষার কারণে প্রতিযোগীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। শুধু বিশেষ একটি স্থানে কয়েকটি কম্পিউটারে ই-মেইলসহ প্রাথমিক কিছু কাজের জন্য সংযোগসুবিধা রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শেষে ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল আইএমওর অন্যতম সহযোগী বিরানকিউলাস শহরে অবস্থিত নর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনডোর বাস্কেটবল কোর্টে। অনুষ্ঠানে শহরের মেয়র এলসা নগুয়েরা জানালেন, বরানকিউলাসের নানান সাফল্য-ব্যর্থতার কথা। ২০০৬ সালে শহরটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। কিন্তু ২০০৮ সালে নতুন উদ্যমে শহরকে গড়ে তোলা হয়। এখন সেখানে সাক্ষরতার হার শতভাগ, যা দেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শহরের মর্যাদা এনে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন কলম্বিয়ার শিক্ষামন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্ডো, আইএমও উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান নজর আগাখানভ।
স্প্যানিশ গানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে ৭ থেকে ১৯ বছরের একদল শিক্ষার্থী। সবচেয়ে জমজমাট অংশটি ছিল প্রায় ১০০ জন শিল্পীর কারুকার্যখচিত জামা পরে নৃত্য পরিবেশনা। এতে উঠে আসে দক্ষিণ আমেরিকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।
সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা প্রতিটি দেশের গণিত দলকে নেচেগেয়ে মঞ্চে নিয়ে আসেন। প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল নিজ নিজ দেশের জাতীয় পতাকা। ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে প্রায় প্রথম দিকেই মঞ্চে ডাক পায় বাংলাদেশের সৌরভ, সফিউল্লাহ, জাহিদুল ও আদীব। অনুষ্ঠানে দেখা গেল আরএমওতে মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাড়ছে আরব দেশগুলোর মেয়েদের অংশগ্রহণ।
উপস্থাপকের জানানো তথ্য থেকে বুঝলাম এই আয়োজনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করার জন্য আবেদন করেছে কলম্বিয়া। তাদের দাবি, এটিই দক্ষিণ আমেরিকার আদি রেড ইন্ডিয়ানের ঐতিহ্যের অংশ। আর প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে কলম্বিয়ানরা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ঠিক তখন বুঝলাম কেন আমাদের এখানে আনা হয়েছে। কারণ তাতে বিশ্বের ১০৩টা দেশের সামনে কলম্বিয়ার দাবিটি উঠে এল।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশ থেকে ১৭টি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চারজনের বাংলাদেশ দল ঠিক করে।
| জুলাই ২৩, ২০১৩
শুরু হলো বিশ্বের প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেধার লড়াই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও) ২০১৩। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে কলম্বিয়ার বিরানকিউলাস শহরে শুরু হয় এর আনুষ্ঠানিকতা।
অলিম্পিয়াডের ৫৪তম এ আসরে অংশ নিচ্ছে ১০৩টি দেশের পাঁচ শতাধিক খুদে গণিতবিদ। দুই দিনের প্রতিযোগিতা শুরু হবে আজ থেকে। প্রতিযোগীদের সাড়ে চার ঘণ্টায় তিনটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আইএমওতে নবমবারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের গণিত দল। আইএমওর নিয়মানুসারে গতকাল নিজ নিজ দেশের দলনেতাদের সঙ্গে প্রতিযোগীদের ‘চোখের দেখা’ হয়েছে। বাংলাদেশ দলের দলনেতা মাহবুব আলম মজুমদার হাত নেড়ে তার দলের গণিতবিদদের শুভেচ্ছা জানায়। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ১৮ জুলাই থেকে অন্য দলনেতাদের সঙ্গে ‘অজ্ঞাতবাসে’ রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা মূল প্রতিযোগিতার জন্য সমস্যা নির্বাচনও করেছে।
বাংলাদেশ দলের চার খুদে গণিতবিদ হলো ঢাকা কলেজের সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান।
গত রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন দেশের গণিতবিদেরা সান্তা মার্তা শহরে উপস্থিত হয়। সান্তা মার্তার সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট ইরোটামায় সব দেশের প্রতিযোগীরা অবস্থান করছে। আজ পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত উপদলনেতারা সেখানেই অবস্থান করবে। এরপর তারা নগরের অন্য প্রান্তের একটি হোটেলে দলনেতাদের সঙ্গে যোগ দেবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে।
আকাশপথে দীর্ঘ যাত্রা শেষ করে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা বিশ্রামও নিয়েছে। মেজাজ বেশ ফুরফুরে। এখন কলম্বিয়ায় গরম কাল। তাপমাত্রাও প্রায় আমাদের দেশের মতোই। সান্তা মার্তা সমুদ্রতীরবর্তী শহর বলে এর তাপমাত্রা একটু বেশি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশ থেকে ১৭টি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চারজন প্রতিযোগীকে লাল-সবুজের পতাকা বহনের জন্য নির্বাচন করেছে।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) শতাধিক দেশের বেশির ভাগেরই কর্মনৈপুণ্যের ক্ষেত্রে উত্থান-পতন দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর থেকে উত্তরোত্তর ভালো করছে। গত বছরের চেয়ে এবার আরও ভালো করার আশা নিয়ে আজ শুক্রবার রাতে ৫৪তম আইএমওতে যোগ দিতে চার প্রতিযোগীসহ পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল কলম্বিয়ার সান্তা মার্তা শহরের উদ্দেশে রওনা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলকে পরিচয় করিয়ে দিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক ও জাতীয় গণিত উৎসবের মাধ্যমে ২২ হাজার গণিতবিদ থেকে চার প্রতিযোগীকে আইএমওর জন্য মনোনীত করা হয়। তিনি এবারও ভালো করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ওই উৎসবের আয়োজন করে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক পায়। এ ছাড়া ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ছয়টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ১৫টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
অনুষ্ঠানে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে উপস্থিত ছিল এবারের চার প্রতিযোগী ঢাকা কলেজের সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান। আর দলনেতা ও প্রশিক্ষক মাহবুব মজুমদার ইতিমধ্যে কলম্বিয়া পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের আরও ভালো করতে হলে গণিতের পেছনে আরও বেশি সময় দিতে হবে। আইএমওতে পদকজয়ী বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা এখন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন একটি নিয়ম করেছে। এতে কোনো পদকজয়ী গণিতবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিভাগে চাইলে ভর্তি হতে পারবে।
গণিত উৎসব ও আইএমওতে বাংলাদেশের যোগদানে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ বলেন, ‘আশা করি বাংলাদেশ কলম্বিয়ায় আরও ভালো করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ দলের উপ-দলনেতা মুনির হাসান।
মুনির হাসান, সান্তা মার্তা (কলম্বিয়া) থেকে
এবার তিনটি ব্রোঞ্জপদক ও একটি সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ গণিত দল। কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে এ অর্জনের (আইএমও) মাধ্যমে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। গত শুক্রবার রাতে আইএমওর বিচারকেরা পদকের নম্বর চূড়ান্ত করেন।
ব্রোঞ্জপদক পাওয়া বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যরা হলো ঢাকা কলেজের নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, সৌরভ দাশ ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান পেয়েছে সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
গণিতের এ বিশ্ব আসরে মোট ৪২ নম্বরের মধ্যে সফিউল্লাহ ২১, আদীব ১৭, সৌরভ ১৫ এবং জাহিদুল ৭ পেয়েছে। ৩১ বা তার চেয়ে বেশি নম্বরপ্রাপ্তরা সোনা, ২৪-৩০-এ রৌপ্য এবং ১৫-২৩-এ ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। ৯৭টি দেশের ৫২৮ জন শিার্থীর মধ্যে মোট ২৭৮ জন পদক পেয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন সোনা, ৯২ জন রুপা ও ১৪১ জন ব্র্রোঞ্জ এবং ১৪১টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
পাঁচটি সোনা ও একটি রৌপ্য নিয়ে ২০৮ নম্বর পেয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সমান পদক নিয়ে ২০৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দণি কোরিয়া। বাংলাদেশের মোট নম্বর ৬০। অবস্থান ৬১তম। এবার ভারত ১২২ নম্বর পেয়ে ২৯তম, শ্রীলঙ্কা ৬৫ নম্বর পেয়ে ৫৬তম, পাকিস্তান ২৫ নম্বর পেয়ে ৭৯তম স্থানে রয়েছে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল।
বাংলাদেশের এবারের প্রাপ্তিতে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ দলের ফলাফল সন্তোষজনক। আশা করছি শিার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ সংগঠনের সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি এ ফলাফলে। আমাদের ছেলেরা অন্য দেশের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এটা সত্যিই অনেক আনন্দের খবর। দলের সবাইকে শুভেচ্ছা।’
কলম্বিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব আলম মজুমদারও শিার্থীদের ফলাফলে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার রৌপ্য না পেলেও বাংলাদেশের শিার্থীদের গড় নম্বর বেড়েছে। তবে তারা আরও ভালো করতে পারত।’
এবারের আইএমওতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএস তাবরেজ। তিনি জানান, ধারাবাহিক এ অর্জন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অতীতের মতো ভবিষ্যতেও গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আইএমওতে টানা নয় বছর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একটি রৌপ্য, নয়টি ব্রোঞ্জ এবং ১৬টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশ থেকে ১৭টি গণিত উৎসবের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার শিার্থী থেকে এবার চারজন প্রতিযোগীকে বাছাই করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
আগামী ১৭-২৮ জুলাই কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠেয় ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে(আইএমও) অংশগ্রহণের জন্য ৪ জনের বাংলাদেশ দলের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
এর আগে আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দল ঘোষনার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম, সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার সুবিন, সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
এবারের দলে নির্বাচিত ৪ সদস্য হলো সদস্যরা হলেন সৌরভ দাস (ঢাকা কলেজ), জাহিদুল হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ) নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (ঢাকা কলেজ) এবং আবিদ হাসান (ময়মনসিংহ জেলা স্কুল)।
অভিনন্দন তোমাদের চার জনকে !
জয় গণিত অলিম্পিয়াড !
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদন মুনির হাসানের বাবা, পূবালী ব্যাংশের সাবেক মহাব্যবস্থাপক এ এফ এমএজহারুল হক (৭৯) গতকাল শনিবার সহাল ৯টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসাক এলাকায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। আজ বাদ আসর জানাজা শেষে রাউজান উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে পারিবারিক কবরে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
মুনির হাসানের বাবার মৃত্যুতে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছে। আল্লাহ তাঁর পরিবারকে এই শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি দিক।
সদ্যপ্রয়াত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ও প্রথম আলো যৌথভাবে এক স্মরণসভার আয়োজন করেছে। এত উপস্থিত থাকবেন দেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানীসহ তার বিভিন্ন সময়ের সহকর্মীরা।
এ স্মরণসভা ২৪ মার্চ রোববারবিকেল ৪.৩০ টায় রমনায় অবস্থিত ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) ইআরসি কনফারেন্স রুমে (তৃতীয় তলায়) অনুষ্ঠিত হবে।
এ স্মরণসভায় আপনাকে আমন্ত্রণ ।
অনুষ্ঠান: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম স্মরণসভা
তারিখ : ২৪ মার্চ ২০১৩, রোববার
সময় : বিকেল ৪.৩০ মিনিট
স্থান: ইআরসি কনফারেন্স রুম (তৃতীয় তলা)
নতুন ভবন, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)
রমনা, ঢাকা।
ফেসবুক ইভেন্ট পেজ : https://www.facebook.com/events/357304487719998/
বিশিষ্ট গণিতবিদ, পদার্থবিজ্ঞানী ও জোতির্বিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
শনিবার এক শোক বার্তায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, “তাঁর মৃত্যুতে দেশে বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হলো, যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর অবদানের কথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরদিন স্মরণ করবে।”
তারা জামাল নজরুল ইসলামের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।