জাতীয় গণিত উৎসবের তারিখ অপরিবর্তিত

আগামীকাল ৫ ফেব্রুয়ারি হরতালের কারনে এসএসসি পরীক্ষা শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হবে। এ কারনে জাতীয় গণিত উৎসব-২০১৩ এর তারিখ, সময় ও স্থান কোন পরিবর্তন হচ্ছে না । পূর্বনির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে অনুযায়ি জাতীয় গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় উৎসবের স্থান: সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর ঢাকা ( আসাদগেট থেকে মোহাম্মদপুরের দিকে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ পাশে পড়বে স্কুলটি)।
তারিখ: ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, শুক্র ও শনিবার

রাজশাহী আঞ্চলিক গণিত উৎসব পিছালো আরও একদিন!

উৎসবের নতুন তারিখ ২৭ জানুয়ারি উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারিতে উৎসবটি হওয়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারনবশত: উৎসবটি এখন একদিন পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি রবিবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সৃষ্ট সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। নতুন তারিখ:২৭ জানুয়ারি, রবিবার ভেন্যু:রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ

রাঙামাটি উৎসবের নতুন তারিখ ২৮ জানুয়ারি

২০ জানুয়ারি রোববার লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠেয় রাঙামাটি আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। উৎসবটি আগামী ২৮ জানুয়ারি সোমবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। সৃষ্ট সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট শিার্থী, শিক্ষক ও অভিবাকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব : রংপুর গণিতকে জয় করতে হবে

‘অঙ্কের জন্ম কত সালে’, ‘পদার্থ ও রসায়নে গণিত প্রয়োজন হয়, জীববিজ্ঞানে কেন প্রয়োজন হয় না, ‘শূন্য যৌগিক না মৌলিক সংখ্যা’, ‘সমুদ্রের পানি লবণাক্ত কেন’, ‘আলো ছাড়া কিছু দেখতে পারি না কেন’।
প্রশ্নগুলো খুদে গণিতপ্রেমীদের। তারা এ প্রশ্নগুলো তোলে রংপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসবে। গতকাল শুক্রবার শীতের মিষ্টি সকালে উৎসবটি হয় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো একাদশ গণিত উৎসবের এবারের স্লোগান ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’। সেই লক্ষ্যে রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গণিতপ্রেমী ৮০০ শিক্ষার্থী গতকালের উৎসবে অংশ নেয়। তাদের স্বাগত জানানো হয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে।
সকাল ১০টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ আর মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান এম আর হাফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মূল্যায়ন পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা শেষে জিলা স্কুলের মাঠে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এর ফাঁকে বন্ধুসভার সদস্যরা গণিতের গান ও ‘আমরা করব জয় এক দিন’ গান দুটি পরিবেশন করেন।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে প্রধান শিক্ষক এ আর মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংস্কৃতির একটি বড় অংশ হলো গণিত। তাই গণিতকে ভয় পেলে চলবে না। জয় করতে হবে।’
শিক্ষক এম আর হাফিজুর রহমান বলেন, ‘দেশটা মায়ের মতো। এ দেশের দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে হবে আমাদের।’
আরও বক্তব্য দেন জিলা স্কুলের শিক্ষক শফিয়ার রহমান, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক রুহুল আমিন, শঠিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক তারিক প্রধান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হামঞ্চাদ আলী, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার, বন্ধুসভার পার্থপ্রতিম রায় প্রমুখ।
উৎসব শেষে চার ভাগে ৫০ শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে তাদের একটি করে ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাথমিকে ১১ জন, নিম্ন মাধ্যমিকে ১৫ জন, মাধ্যমিকে ১২ জন ও উচ্চমাধ্যমিকে ১২ জন জয়ী হয়েছে।
প্রাথমিকে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র তন্ময় কুমার সরকার, তার সহপাঠী সুফি মো. ফারদিন, পুলিশ লাইন স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর গাওহারুল হাসান, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর মো. জায়িদ মাহমুদ।
নিম্ন মাধ্যমিকে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর তাহমিদ আনজুম খান, তার সহপাঠী সৈয়দ মাহির, একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আনির মঞ্জুর ও জুবায়ের আরাফাত এবং রংপুর ক্যাডেট কলেজের অষ্টম শ্রেণীর আখিরুজ্জামান।
মাধ্যমিকে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর রিফায়েত ইসলাম, তার সহপাঠী আরিফ ইশতিয়াক, একই স্কুলের নবম শ্রেণীর নাজমুল হাসান, মিঠাপুকুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মুনতাসির হাসান। উচ্চমাধ্যমিকে চাম্পিয়ন হয় রংপুর সরকারি কলেজের রেজোয়ানুল ইসলাম, রংপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের সায়েদুল মুরসালিন, কারমাইকেল কলেজের শাহরিয়ার আবির ও একই কলেজের তুরাস হক।

রাজশাহী আঞ্চলিক গণিত উৎসব স্থগিত

৬ জানুয়ারি, রোববার রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজে অনুষ্ঠেয় রাজশাহী আঞ্চলিক গণিত উৎসব ২০১৩ অনিবার্য কারনবশত স্থগিত করা হলো।
স্থগিতের কারনে সৃষ্ট অসুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবার প্রতি আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ গণিত অণলম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। তিনি জানান, উৎসবের নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে প্রথম আলো পত্রিকায় ঘোষণার মাধ্যমে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও গণিত উৎসব: ভীতি কাটিয়ে গণিতকে ভালোবাসতে হবে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০১-২০১৩

কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর কুয়াশা কাটিয়ে সকাল থেকেই ঝলমলে রোদ। সেই ঝলমলে সকালকে আরও রাঙিয়ে তুলেছে উৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজন। এই উৎসব গণিত জয়ের উৎসব।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো একাদশ গণিত ২০১৩-এর আঞ্চলিক পর্বে গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণিত উৎসবের আয়োজন করা হয়। গণিত জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক খুদে গণিতবিদ উৎসবে যোগ দেয়।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আখতারুজ্জামান। এ সময় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হামমাদ আলী আঞ্চলিক গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলনের পর খুদে গণিতবিদেরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর পরই শুরু হয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। মুনির হাসান ও একাডেমিক কাউন্সিলর তামীম শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় একজন শিক্ষার্থীর প্রশ্ন ছিল—পাটিগণিতের জনক কে? যখন শূন্য আবিষ্কৃত হয়নি, তখন মানুষ কীভাবে গণনা করত? পৃথিবী কিসের ওপর ভর করে ঘোরে? মানুষ আঘাত পেলে ভাষা হারিয়ে যায় না কেন—এমন সব মজার মজার প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীরা।
প্রশ্নের উত্তর দেন দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সরকার, দিনাজপুরের পরমাণু চিকিৎসা ও আলট্রাসাউন্ড কেন্দ্রের পরিচালক বি কে বোস, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম রসুল, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হাই, ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষক অজিত রায় প্রমুখ।
এ পর্বে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ, মাদক ও মিথ্যাকে না বলা এবং মা, দেশ, বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অঙ্গীকার করানো হয়। পরে বন্ধুসভার সদস্যরা গান ও নাচ পরিবেশন করেন। শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গণিতের ভীতি দূর করতে বারবার অনুশীলনের পরামর্শ দেন। মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ভীতি কাটিয়ে গণিতকে ভালোবাসতে হবে।
গণিত প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক শ্রেণীতে ১২ জন, জুনিয়রে ১২ জন, মাধ্যমিকে ১৩ জন ও উচ্চমাধ্যমিকে ১৩ জন জয়ী হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রাথমিকে চ্যাম্পিয়ন হয় দিনাজপুর জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর হামিম রহমান, তার সহপাঠী রিফাত আনজুম, স্কলাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর নওশিন রানা চৌধুরী ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর মো. শাহরিয়ার মোর্শেদ।
জুনিয়রে দিনাজপুর জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর রেশমান মুবতাসিম, তার সহপাঠী এম জি এম শাহরিয়ার, একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর সাহিব আল কাউসার ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর জিনিয়াস চ্যাম্পিয়ন হয়। মাধ্যমিকে চ্যাম্পিয়ন হয় সেন্ট ফিলিফস উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর কুশল পোদ্দার, দিনাজপুর জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর মো. রেজানুর রহমান, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর সোমলতা দেব, একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর রিচিতা খন্দকার ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মুহামঞ্চদ আদিব আল হামিম।
উচ্চমাধ্যমিকে চ্যাম্পিয়ন পাঁচজনই দিনাজপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এরা হলো: ভাস্বর রায়, মুবাশ্বির রহমান, অভিষেক আগরওয়াল, মো. সাহিব নিহাল ও রাহাত আহমেদ।

আঞ্চলিক গণিত উৎসব ২০১৩ কবে কোথায়

অঞ্চল: রংপুর

ভেন্যু স্কুলের নাম: রংপুর জিলা স্কুল।
উৎসবের তারিখ: ৪ জানুয়ারি, শুক্রবার ২০১৩।


অঞ্চল: বগুড়া

ভেন্যু স্কুলের নাম: বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, নিশিন্দারা, বগুড়া।
উৎসবের তারিখ: ৫ জানুয়ারি, শনিবার ২০১৩।

 

অঞ্চল: বরিশাল

উৎসবের স্থান: বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল।

উৎসবের তারিখ: ৯ জানুয়ারি, বুধবার ২০১৩।

 

অঞ্চল: খুলনা

উৎসবের স্থান: সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল, খুলনা।

উৎসবের তারিখ: ১০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার ২০১৩।


অঞ্চল: যশোর

উৎসবের স্থান: যশোর জিলা স্কুল।

উৎসবের তারিখ: ১১ জানুয়ারি, শুক্রবার ২০১৩।


অঞ্চল: ফরিদপুর

উৎসবের স্থান: ফরিদপুর জিলা স্কুল, ফরিদপুর।

উৎসবের তারিখ: ১২ জানুয়ারি, শনিবার ২০১৩।


অঞ্চল: ঢাকা-১ 

উৎসবের স্থান:বি সি এস আই আর উচ্চ বিদ্যালয়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি , ঢাকা।

উৎসবের তারিখ: ১৮ জানুয়ারি, শুক্রবার ২০১৩।


অঞ্চল: জামালপুর:

উৎসবের স্থান: জামালপুর জিলা স্কুল, জামালপুর।
উৎসবের তারিখ: ১৪ জানুয়ারি, সোমবার ২০১৩


অঞ্চল: ময়মনসিংহ

উৎসবের স্থান: প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল, ময়মনসিংহ।
উৎসবের তারিখ: ১৫ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ২০১৩


অঞ্চল: রাঙামাটি

উৎসবের স্থান: লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রাঙামটি।
উৎসবের তারিখ: ২০ জানুয়ারি, রোবার ২০১৩


অঞ্চল: চট্টগ্রাম

উৎসবের স্থান: চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম।
উৎসবের তারিখ:২১ জানুয়ারি, সোমবার


অঞ্চল: সিলেট:
উৎসবের স্থান: কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট।
উৎসবের তারিখ: ২২ জানুয়ারি, মঙ্গলবারৱ


অঞ্চল: ঢাকা- ২

উৎসবের স্থান: রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।
উৎসবের তারিখ: ২৫ জানুয়ারি, শুক্রবার ২০১৩


অঞ্চল: রাজশাহী

ভেন্যু স্কুলের নাম: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ।
উৎসবের তারিখ: ২৬ জানুয়ারি, রোববার ২০১৩।


 ....................................................................................................................

শেষ হল ঠাকুরগাও আঞ্চিলক গণিত উৎসব ২০১৩

আজ বিকেল প্রায় তিনটার দিকে শেষ হলো ঠাকুরগাও আঞ্চলিক গণিত উৎসব ২০১৩ । ফোনে পাওয়া তথ্য মতে খুবই সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে উৎসবটি। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত উৎসবে স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ ঐ এলাকার মানুষদের অংশগ্রহন ও সহযোগিতা ছিল খুব ভালো। উৎসবে মোট ৫০ জনকে জাতীয় অলিম্পিয়াডের জন্য মনোনীত করে তাদের ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। বিজয়ীরা আগামী ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় উৎসবে যোগ দেবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় গণিত দল এখন ঠাকুরগাও থেকে রংপুরের দিকে রওনা দিবে। আগামীকাল রংপর জিলা স্কুলে রংপুর অঞ্চলের উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
জয়তু গণিত উৎসব !

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব গণিত দিয়েই বিশ্বজয়ের অঙ্গীকার

আবু তাহের, ফেনী | তারিখ: ৩০-১২-২০১২

মা কষ্ট পায়—এমন কাজ না করা আর গণিত দিয়েই বিশ্বজয়ের অঙ্গীকার করল খুদে গণিতবিদেরা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফেনী অঞ্চলের গণিত উৎসব-২০১৩-এ গতকাল শনিবার ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ওই অঙ্গীকার করে। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এ উৎসব হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উৎসবের শুরু হয়। উদ্বোধন ঘোষণা করেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. খালেদ রহিম।
কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশা অদম্য গণিতপ্রেমীদের ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোর পাঁচটায় বের হয়ে উৎসবে যোগ দেয় লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইশতিয়াক কামাল। পথে তিনবার বাস পরিবর্তন করতে হয়েছে তাকে। প্রতিজ্ঞা—গণিতকে জয় করতেই হবে। ফলও হয়েছে তা-ই। সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পেরেছে। ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী গণিত উৎসবে অংশ নেয়। সকাল ১০টা থেকে সোয়া ঘণ্টা চলে গণিত অলিম্পিয়াড। বিকেল তিনটায় প্রাথমিক ক্যাটাগরিতে ১১ জন, জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ১২ জন, মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে ১৫ জন, উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে ১২ জনসহ মোট ৫০ জনকে জাতীয় অলিম্পিয়াডের জন্য মনোনীত করে তাদের ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। বিজয়ীরা আগামী ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় উৎসবে যোগ দেবে। অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফেনী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাফায়েত উল্লাহ। সে উচ্চমাধ্যমিক ক্যাটাগরির। প্রাথমিক ক্যাটাগরিতে নোয়াখালী জিলা স্কুলের আবরার জামিল, জুনিয়র ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফেনীর ছাগলনাইয়া একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আবরার আবদুল্লাহ এবং মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসাদুজ্জমান তানজিম। খাতা মূল্যায়নের ফাঁকে চলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীরা একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মৌলিক সংখ্যা কত, ৬৪-কে সুপার পারপেক্ট নম্বর বলা হয় কেন, পৃথিবীতে কখন-কোথায় পরীক্ষাপদ্ধতি চালু হয় ইত্যাদি।
খুদে গণিতবিদেরা ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে কাছে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে। দীর্ঘ সময় তারা প্রিয় স্যারকে ঘিরে রেখে সনদপত্রে, প্রবেশপত্রে এমনকি টি-শার্টের বুকে-পিঠে অটোগ্রাফ আদায় করে। চলে ছবি তোলার হিড়িক।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে মো. খালেদ রহিম বলেন, গণিত উৎসবে খুদে গণিতবিদদের সমাবেশ ও উৎসাহ দেখে আনন্দ লাগছে। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘গতকাল (আজ শনিবার) আমার লেখা কাজলের দিনরাত্রি ছবির প্রিমিয়ার শো প্রদর্শিত হয়েছে। আমি তাতে যোগ না দিয়ে তোমাদের কাছে ছুটে এসেছি। তোমাদের দেখে আমার আনন্দ হয়। তোমরা হচ্ছ সঠিক, আমরা ভেজাল। তোমরা আমাদের দেশের দায়িত্ব নেবে।’
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, ‘এ ধরনের উৎসবের জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পেরে আনন্দবোধ করছি। এতে লাভ দুটি। একটি হচ্ছে আমরা আনন্দ উপভোগ করছি, অন্যটি হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণিত সম্পর্কে জানা-বোঝার সুযোগ পাচ্ছে।’
আরও বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হাম্মাদ আলী, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ফেনী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আফতাব উদ্দিন, প্রথম আলো ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবু তাহের, ফেনী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার। পুরো উৎসবে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা, ফেনীর সদস্যরা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব শুরু হলো গণিতের অভিযাত্রা

গাজীউল হক, কুমিল্লা | তারিখ: ২৯-১২-২০১২

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলে খুদে গণিতবিদেরা কী করবে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে দাঁড়ায় দুই ডজন শিক্ষার্থী। ওদের জবাবটা এমন, কোনো অবস্থাতেই পাঠ্যবই বারবার পরিবর্তন করব না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক ছড়িয়ে দেব। দুর্নীতি, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অশিক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
খুদে গণিতবিদদের এমন ভাবনাকে তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। চিত্রটি কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণের।
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান নিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো কুমিল্লা অঞ্চলের গণিত উৎসব-২০১৩ গতকাল কুমিল্লা জিলা স্কুলে হয়। এর মধ্য দিয়ে এবারের গণিত উৎসবের অভিযাত্রা শুরু হলো। এ বছর দেশের ১৭ জেলায় আঞ্চলিক গণিত উৎসব হবে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। উৎসবটি হচ্ছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায়।
কনকনে শীত ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই গতকাল কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী গণিত উৎসবে অংশ নেয়। সকাল সোয়া নয়টার দিকে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল আহসান বলেন, গণিতকে ভয় না পেয়ে ভালোবেসে জয় করতে হবে। গণিতের মধ্যেই মুক্তির জয়গান নিহিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সোয়া এক ঘণ্টার গণিত অলিম্পিয়াড হয়। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে খুদে গণিতবিদেরা দুই হাত উঁচিয়ে মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে ‘না’ বলে। শিক্ষার্থীরা দেশকে ভালোবাসার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
বেলা দুইটার দিকে সমাপনী পর্বে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান কুণ্ডু গোপীদাস বলেন, গণিত ছাড়া পদার্থবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দেওয়া অসম্ভব। ওই অসম্ভবকে দূর করতে গণিতকে জয় করতে হবে।
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতভীতি দূর করতে প্রথম আলো কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনে গণিতপ্রেমীরাই বদলে দেবে বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আবু জাফর খান, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হাম্মাদ আলী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক আবদুল্লাহ আল মাহবুব ও ইনামুল করিম, কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরিয়ার।
গণিত অলিম্পিয়াডে প্রাথমিক শ্রেণীতে ১২ জন, জুনিয়রে ১৬ জন, মাধ্যমিকে আটজন ও উচ্চমাধ্যমিকে ১৪ জন বিজয়ী হয়। তাদের ক্রেস্ট, সনদ ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। বিজয়ীরা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় উৎসবে যোগ দেবে। এরপর চূড়ান্ত বিজয়ীরা ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে কলম্বিয়ায় যাবে।
প্রাথমিকে সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে চ্যাম্পিয়ন নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসনিম আহমেদ, জুনিয়রে একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়ম বিনতে হানিফ, মাধ্যমিকে কুমিল্লা জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসবিউল এনাম ও উচ্চমাধ্যমিকে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাদিমুল আবরার চ্যাম্পিয়ন হয়। আবরার সব কটি প্রশ্নের সমাধান করে পূর্ণ নম্বর পেয়েছে।
পুরো উৎসবে সহযোগিতা করেন কুমিল্লা বন্ধুসভার সদস্য ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ ফেনীতে উৎসব: নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনী জানান, ফেনী অঞ্চলের গণিত উৎসব আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শুরু হবে। এতে ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।