৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ : আরও ভালো করার প্রত্যাশা

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো

....................................................

থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহরে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) যোগ দিতে আজ রাতে রওনা দিচ্ছে বাংলাদেশের ছয়জন খুদে গণিতবিদ। ৯ জুলাই শুরু হবে এই অলিম্পিয়াড। গণিতের এই মহাযজ্ঞে অংশ নেওয়া খুদে গণিতবিদদের গতকাল সোমবার ঢাকার এক হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ছয় খুদে গণিতবিদ হলো সিলেট এমসি কলেজের আসিফ-ই-ইলাহী, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের আদিব হাসান ও মো. সানজিদ আনোয়ার, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাজিদ আখতার, নটর ডেম কলেজের মো. সাব্বির রহমান এবং বরিশাল জিলা স্কুলের এ এম নাঈমুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ আইএমওতে ভালো করছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। পাশাপাশি গণিত অলিম্পিয়াডের অনুকরণে বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের অলিম্পিয়াডও হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমরা খুশি এবং গর্বিত যে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত আছি।’ তিনি আশা করেন, ‘বিগত সময়ের চেয়ে ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করবে।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এই তরুণেরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এরাই আগামী দিনে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই দরকার। এ কারণেই প্রথম আলো এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান এবং গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
বাংলাদেশের ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার গত শনিবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। উপদলনেতা মুনির হাসান ছয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ রওনা দেবেন।
চলতি বছর সারা দেশে ২৪টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অংশ নেয় সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বিগত ১০ বারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ গণিত দল এ পর্যন্ত দুটি রৌপ্যপদক, ১০টি ব্রোঞ্জপদক ও ২০টি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ছাড়া গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইটে www.matholympiad.org.bd, গণিত অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজে (www.facebook.com/ BdMOC) অলিম্পিয়াডের আপডেট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং বাস্তবায়নে রয়েছে প্রথম আলো।

৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ : আরও ভালো করার প্রত্যাশা

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো

থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো

....................................................

থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহরে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) যোগ দিতে আজ রাতে রওনা দিচ্ছে বাংলাদেশের ছয়জন খুদে গণিতবিদ। ৯ জুলাই শুরু হবে এই অলিম্পিয়াড। গণিতের এই মহাযজ্ঞে অংশ নেওয়া খুদে গণিতবিদদের গতকাল সোমবার ঢাকার এক হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ছয় খুদে গণিতবিদ হলো সিলেট এমসি কলেজের আসিফ-ই-ইলাহী, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের আদিব হাসান ও মো. সানজিদ আনোয়ার, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাজিদ আখতার, নটর ডেম কলেজের মো. সাব্বির রহমান এবং বরিশাল জিলা স্কুলের এ এম নাঈমুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ আইএমওতে ভালো করছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। পাশাপাশি গণিত অলিম্পিয়াডের অনুকরণে বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের অলিম্পিয়াডও হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমরা খুশি এবং গর্বিত যে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত আছি।’ তিনি আশা করেন, ‘বিগত সময়ের চেয়ে ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করবে।’
প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এই তরুণেরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এরাই আগামী দিনে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই দরকার। এ কারণেই প্রথম আলো এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান এবং গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
বাংলাদেশের ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার গত শনিবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। উপদলনেতা মুনির হাসান ছয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ রওনা দেবেন।
চলতি বছর সারা দেশে ২৪টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অংশ নেয় সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বিগত ১০ বারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ গণিত দল এ পর্যন্ত দুটি রৌপ্যপদক, ১০টি ব্রোঞ্জপদক ও ২০টি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ছাড়া গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইটে www.matholympiad.org.bd, গণিত অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজে (www.facebook.com/ BdMOC) অলিম্পিয়াডের আপডেট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং বাস্তবায়নে রয়েছে প্রথম আলো।

৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ গণিত দল ঘোষণা

56-international-math-olympiad-bangladesh-team

আগামী ৪ থেকে ১৬ জুলাই থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহরে বসবে প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় আসর ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও)-২০১৫। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছয় কৃতী শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে ১১৪টি দেশের ৪৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ গণিত দলের শিক্ষার্থীরা হলো আসিফ-ই-ইলাহী (সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সিলেট),আদিব হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ), মো. সানজিদ আনোয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ), সাজিদ আখতার তূর্য (বিএল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ), এস এম নাঈমুল ইসলাম ( বরিশাল জিলা স্কুল) ও সাব্বির রহমান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা)।
এ ছাড়া দলের সঙ্গে দলনেতা, উপদলনেতা হিসেবে যাবেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ মাহবুব মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় ৫৬তম আইএমওর জন্য ছয় জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন ও এর আনুষাঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
বাংলাদেশ গণিত দলের জন্য রইল শুভ কামনা !
জয় গণিত উৎসব !

বিস্তারিত জানা যাবে: http://www.imo-official.org/year_reg_team.aspx?year=2015&code=BGD

জাতীয় উৎসবের ফলাফল

প্রাইমারি

ফার্স্ট রানারআপ: পূর্বিতা পিয়াসী (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), শামিম রহমান (স্কলাস্টিকা), রাফিদ রহমান চৌধুরী (মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. আরাফাত রহমান (বগুড়া জিলা স্কুল), মো. কাইউম (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), অর্ঘ্য সেন (খুলনা পাবলিক কলেজ), অম্লান দে অভিক (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), তারেক আবরাব (শাহীন ক্যাডেট স্কুল)।

সেকেন্ড রানারআপ: ফারহান আনজুম (বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সাইফুল মাহমুদ রিফাত (সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয়, খুলনা), ফাইরুজ চৌধুরী ওয়েভ (সরকারি পিএন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাজশাহী), মো. মুনতাহি হাসান আখতার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), ইমতিয়াজ আলিম (ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ)।

চ্যাম্পিয়ন: তানিম আহমেদ (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল), ইশমাম খান (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা), স্পন্দন সাহা সন্ময় (গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), তামিম নূর জাহিন (ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল)।


জুনিয়র

চ্যাম্পিয়ন: সামিয়ী ইসলাম (আইডিয়াল স্কুল), মো. আব্দুল্লাহ আল সামি (নওগাঁ কেডি গভ. হাইস্কুল), মো. গোলাম মুসাব্বির জয় (বরিশাল জিলা স্কুল), অতনু রায় চৌধুরী (কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম), রাইয়ান জামিল (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল)।

ফার্স্ট রানারআপ: দিগন্ত সারওয়ার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), সৌম্যদীপ সান্যাল (সানিডেল), ফারহান তাহমিদুল করিম (বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), অনন্যা শাহরিন প্রমি (দিনাজপুর গভ. গার্লস হাইস্কুল), রামিসা তাসনিয়া (মনিপুর হাইস্কুল), সাদ বিন কুদ্দুস (বরিশাল জিলা স্কুল), সাদিয়া তাবাসসুম (ভিকারুননিসা নূন স্কুল)।

সেকেন্ড রানারআপ: ফাহিম ফয়সাল (খুলনা পাবলিক কলেজ, খুলনা), মাহরিন আলম মামিয়া (ফরিদপুর গভ. গার্লস হাইস্কুল), সাদমিন সুমাইয়া (বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. তাহসিনুল ইসলাম (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), সাব্বির আহমেদ (রংপুর জিলা স্কুল), নাহিন মুনকার (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।


সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন: সিয়াম আব্দুল্লাহ-আল ইলাহ (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), এস এম নাইমুল ইসলাম সোয়াদ (বরিশাল জিলা স্কুল), মেহেদি হাসান নওশাদ (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল), জয়দ্বীপ সাহা (নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ)।

ফার্স্ট রানারআপ: রাহুল সাহা (ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ), কাজী মো. ইরশাদ ফারুকি (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), মহিদুল হক মৃদুল (অনজুমান আদর্শ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), রাগিব ফরহাত হাসান (বিএএফ শাহিন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল), প্রসেনজিৎ বসাক (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. নিশাত শাহরিয়ার রনি (দিনাজপুর জিলা স্কুল), তানজিউজ্জামান সাকিব (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), তামজিদ মোরশেদ রুবাব (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।

সেকেন্ড রানারআপ: তানজির ওয়াসিফ (ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ), হাসান মেসবাউল আলি তাহের (মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ), আশরাফুল ইসলাম শান্ত শিকদার (সিলেট গভ. পাইলট হাইস্কুল), তাওসিফ আহসান (উদয়ন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), তানজিম আজওয়াদ জামান (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), মো. মইনুল হোসেন রাতুল (বিন্দুবাসিনী গভ. বয়েস হাইস্কুল), দেবজিৎ পণ্ডিত (মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।


হায়ার সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন: তাসনিম জুবায়ের (এএইচ কলেজ, বগুড়া), মুতাসিম মিম (রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী), জাওয়াদ আব্দুল্লাহ (ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ), সানওয়ার আহমেদ অভি (এমসি কলেজ, সিলেট), সাদমান সাকিব (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা)।

ফার্স্ট রানারআপ: সাজিদ আখতার তূর্য (সিরাজগঞ্জ গভ. কলেজ), আসিফ আনজুম খান (চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম), মো. কাজিম রেজা চৌধুরী (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), মুরসালিন হাবিব (নটর ডেম কলেজ, ঢাকা), প্রিতম কুণ্ডু (ঢাকা কলেজ), তানভির মুত্তাকিন (ঢাকা কলেজ), তাহমিদ আনজুম বিনহারুন (গভ. এম এম সিটি কলেজ, খুলনা)।

সেকেন্ড রানারআপ: রিচিতা খন্দকার (দিনাজপুর গভ. কলেজ), এ এস এম যুবায়ের খান (রংপুর গভ. কলেজ), মুয়াজ মাহমুদ (বিএএফ শাহিন কলেজ, যশোর), মো. নাজমুল হাসান সাকিব (আনন্দ মোহন কলেজ)।


চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন্স

প্রাইমারি: মো. ইরফান আসিফ রহমান (সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।
জুনিয়র: মাশরুর হাসান ভুঁইয়া (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ)।
সেকেন্ডারি: মো. সাব্বির রহমান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল)।
হায়ার সেকেন্ডারি: আদিব হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ)।


বিশেষ পুরস্কার

সজল-কাজল স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয়: ইসরাত জাহান ইমু (দিনাজপুর গভ. গার্লস হাইস্কুল)।

আবিদ রেজা স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
জুনিয়র ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয়: জুলফিকার জাওয়াদ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)।

দেলোয়ারা বেগম পুরস্কার ২০১৫
সেকেন্ডারিতে দ্বিতীয়: আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল)

প্রকৌশলী লুৎফর রহমান স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
হায়ার সেকেন্ডারিতে দ্বিতীয়: মো. সানজিদ আনওয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ)।

এম সেকেন্দার আলি স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
জুনিয়রে তৃতীয়: মিশকাত আহমেদ নওশাদ (বরগুনা প্রি-ক্যাডেট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।

গৌরাঙ্গ দেব রায় স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
সেকেন্ডারিতে তৃতীয়: তাহনিক নূর সামিন (ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল)।

জেবুন্নেসা হাশেম পুরস্কার ২০১৫
প্রাইমারি মেয়েদের মধ্যে সেরা: ইপশিতা জাহান (ওয়াসিম-বিয়াম ল্যাব. স্কুল)।

জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি পুরস্কার ২০১৫
চ্যাম্পিয়ন অব দি অলিম্পিয়াড: আদিব হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ)।

তাজিমা এইচ মজুমদার পুরস্কার ২০১৫
মেয়েদের মধ্যে সেরা: সুমাইয়া জাহান মিশু (জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।

২৭তম এপিএমওতে অংশ নিল বাংলাদেশের ৬৫ শিক্ষার্থী

এশিয়া প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ২৭তম আয়োজন গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এপিএমওর সদস্য সব দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় পৃথিবীর এই সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড। এতে বাংলাদেশের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়ের ব্যবধানের কারণে দেশভেদে অলিম্পিয়াড আয়োজন ভিন্ন সময়ে হয়েছে। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও এপিএমওর পরীক্ষা হয় অভিন্ন প্রশ্নে। অলিম্পিয়াডে গণিতের পাঁচটি সমস্যা সমাধানের জন্য চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। প্রতিটি প্রশ্নের সর্বোচ্চ মান সাত। অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। প্রথম ১০ জনের ফলাফল এবং নমুনা হিসেবে প্রথম, তৃতীয় ও সপ্তম স্থান অধিকারীর উত্তরপত্র কাজাখস্তানে পাঠানো হবে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এপিএমওতে সারা দেশ থেকে আসা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূইয়া ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে রৌপ্য পদকপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।

১০ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ২৭ তম এপিএমও

আগামী ১০ মার্চ ২০১৫ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ২৭ তম এশিয়া প্যাসিফিক গণিত অলিম্পিয়াড (এপিএমও) সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকায় (ঢাকা কলেজের পাশে ) অনুষ্ঠিত হবে। এপিএমও-তে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা অংশনিতে পারবে। এপিএমও-তে অংশগ্রহনের জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের  রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ:  প্রথম আলো অফিস, ১৯ কাওরানবাজার, ঢাকা। রেজিস্ট্রেশনের তারিখ-  ৮ ও ৯ মার্চ ২০১৫ । আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে প্রথম ১০০ জনকে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন চলবে।


এপিএমওর তারিখ   : ১০ মার্চ মঙ্গলবার ২০১৫।

এপিএমওর স্থান       : টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা (ঢাকা কলেজের পাশে)।

জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৫ : গণিত নিয়ে মজার উৎসব

5গণিত নিয়ে মজার উৎসবে মেতেছিল সহস্রাধিক শিশু-কিশোর। গণিতের জটিল সব সমস্যায় তাদের ছিল না কোনো ভয়। পরীক্ষার সময় তাদের চোখেমুখে ছিল গণিতের চিন্তার ছাপ। পরীক্ষাকক্ষে এ দৃশ্য দেখে কয়েকজন স্বনামধন্য বিজ্ঞানী-গণিতবিদ বললেন, শিশুরা গণিত নিয়ে চিন্তা করছে। অথচ কয়েক বছর আগেও গণিতের প্রশ্ন হাতে নেওয়া শিশুর মুখে ভয়ের ছাপ চোখে পড়ত।
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগানে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে দিনব্যাপী এই উৎসবে মেতেছিল বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। সারা দেশ থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর গতকাল তারা অংশ নেয় জাতীয় গণিত উৎসবে। এটি ছিল ১৩তম জাতীয় উৎসব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এ উৎসবের আয়োজন করে।
হরতাল-অবরোধের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় এসে জাতীয় উৎসবে অংশ নেয় শিশু-কিশোরেরা। দিনটি পরীক্ষা ও আনন্দ আয়োজনে পার করে তারা। শেষ বিকেলে ফল ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্তদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। তবে যারা পুরস্কার পায়নি, তাদের মধ্যে হতাশা দেখা যায়নি।
খুলনার সাইফ আল মাহমুদ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। বাবার সঙ্গে আসা সাইফ জানাল, ‘আমার ইচ্ছে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার। অঙ্ক করতে আমার ভালো লাগে। একদিন আমিও আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে যাব।’
সিরাজগঞ্জ থেকে চতুর্থ ও অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে সোমা রাণী পাল এসেছেন উৎসবে। আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ছোট ছেলে রানার্সআপ এবং বড় ছেলে চ্যাম্পিয়ন অব চ্যাম্পিয়নস হয়েছে। সোমা রাণী বলেন, ‘মেধা বিকাশের উৎকৃষ্ট মাধ্যম এ উৎসব। পাঁচ বছর ধরে বড় ছেলে অংশ নিচ্ছে। যত দিন ওদের যোগ্যতা থাকবে, তত দিন অংশ নিতে উৎসাহ দিয়ে যাব।’
এবারের জাতীয় উৎসবে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ৮৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ান অব দ্য চ্যাম্পিয়নস হয়েছে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের শিক্ষার্থী আদিব হাসান। সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় সে চ্যাম্পিয়ান অব দ্য অলিম্পিয়াড পুরস্কারেও ভূষিত হয়। এ ছাড়া সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের মো. সাব্বির রহমান, জুনিয়রে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের মাশরুর হাসান ভূঁইয়া ও প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জ ক্যালেক্টরেট স্কুলের মো. ইরফান আসিফ রহমান চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস পুরস্কার পেয়েছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে ২৪টি জেলা শহরে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেওয়া প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বাছাই করা ১ হাজার ২৮১ জন জাতীয় উৎসবে অংশ নিয়েছে।
পৌনে নয়টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জাতীয় উৎসব। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন। গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ। এরপর অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ ও প্রযুক্তিতে উন্নতি করতে গেলে গণিতে ভালো হতে হবে।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, সমাজে যত পশ্চাৎপদতা আছে, সব দূর হবে গণিতের মাধ্যমে।
কে এস তাবরেজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা শিক্ষক-অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
সকাল পৌনে ১০টায় লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি—এই চার ক্যাটাগরিতে অংশ নেয়। প্রাইমারি ও জুনিয়র ক্যাটাগরি দেড় ঘণ্টা এবং সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে খুদে গণিতবিদেরা আবারও মাঠে জড়ো হলে রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব হয়। বিডি গোস্ট রাইডার্সের সাইকেল স্টান্টের পর বিরতি হয় উৎসবে। গণিত ও বিজ্ঞানবিষয়ক বই দিয়ে সাজানো বইমেলা এই উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগ করে। বিরতির পর বেলা সোয়া দুইটায় ওয়াটার রকেট উড্ডয়ন করা হয়। এরপর সিসিমপুর ও আলোর ঝিলিক পরিবেশন করা হয়। মঞ্চে নৃত্যরঙের নাচও উপভোগ করে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অতিথিরা। এ ছাড়া রুবিকস কিউব ও সুডোকু প্রতিযোগিতা হয়।
এবার গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি দুজনকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। এঁরা হলেন বিশিষ্ট গণিতবিদ অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী ও অধ্যাপক ফরিদা বানু। দিনব্যাপী উৎসবের বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান, বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, জ্যোতির্বিদ এফ আর সরকার, অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল হাকিম খান, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রয়াত অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া ইসলাম, অধ্যাপক কাওসার জাহান, মনোচিকিৎসক মোহিত কামাল, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুল হাসান প্রমুখ।
বিভিন্ন পর্ব সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, কমিটির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান ও তামিম শাহরিয়ার। উৎসবে সহায়তা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা এবং ম্যাথ অলিম্পিয়াড ভলান্টিয়ার্সের (মুভার্স) ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক।

কাল ৬ মার্চ, শুক্রবার জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৫

গণিত উৎসব ২০১৫

কাল ৬ মার্চ শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদগেট এলাকায় অবস্থিত সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৫ ও ত্রয়োদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি উৎসবের আয়োজন করেছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে এ বছর সারা দেশের ২৪টি জেলা শহরে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ২৪টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবের ১ হাজার ২৮১ জন বিজয়ী অংশ নেবে জাতীয় উৎসবে।
সকাল আটটায় আঞ্চলিক গণিত উৎসবের সব বিজয়ীকে সনদ ও লাল রঙের টি-শার্ট পরে উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে আয়োজক কমিটি। সবাইকে উৎসব প্রাঙ্গণে এসে নিজ অঞ্চলের বুথ থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। সকাল আটটা ৪৫ মিনিটে উদ্বোধনী পর্বের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের জাতীয় গণিত উৎসব।
আঞ্চলিক আয়োজকদের পুরস্কৃত করা ছাড়াও অনুষ্ঠানে থাকবে ২০১৪ সালের সেরা গণিত ক্লাবের পুরস্কার প্রদান এবং আজীবন সম্মাননা। বিকেল চারটায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের উৎসব।

৬ মার্চ জাতীয় গণিত উৎসব

৬ মার্চ ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৫ ও ত্রয়োদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি উৎসবের আয়োজন করেছে।
২০০৫ সাল থেকে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) অংশগ্রহণ শুরু করেছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যদের নির্বাচনের লক্ষ্যে এ বছর সারা দেশের ২৪টি জেলা শহরে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ২৪টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ীরা অংশ নেবে জাতীয় উৎসবে।
শিক্ষার্থীদের সকাল আটটায় উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে আয়োজক কমিটি। সবাইকে উৎসব প্রাঙ্গণে এসে নিজ অঞ্চলের বুথ থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। সকাল আটটা ৪৫ মিনিটে উদ্বোধনী পর্বের মাধ্যমে শুরু হবে এবারের জাতীয় গণিত উৎসব। সাড়ে নয়টায় শুরু হবে পরীক্ষা পর্ব। প্রাইমারি ও জুনিয়র ক্যাটাগরির পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। পরীক্ষার হলে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। তবে কলম, পেনসিল, জ্যামিতি বক্স সঙ্গে আনতে হবে। বিকেল ৪ টায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, আঞ্চলিক উৎসবের সব বিজয়ীদের লাল রঙের টি শার্ট ও বিজয়ী সার্টিফিকেট সঙ্গে আনতে হবে।

রাঙ্গামাাটি আঞ্চলিক গণিত উত্সবের ফলাফল


ক্যাটাগরি: প্রাইমারি
চ্যাম্পিয়ন
ইরফান হোসেন
প্রথম রানারআপ
প্রজ্ঞা চাকমা
দ্বিতীয় রানারআপ
অভ্রদ্বীপ সাহা, মিরাজ আল মতর্ুজা
ক্যাটাগরি: জুনিয়র
চ্যাম্পিয়ন
মৈত্রী যশ, মেহরীন রহমান, তারিফুল ইসলাম, প্রিয়াম দাস, (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. সোহেদুল ইসলাম (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়)
ক্যাটাগরি: জুনিয়র
প্রথম রানারআপ
মো. সাকিব হোসেন(রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), রবিউল হোসেন ইয়ামেন (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), রহিম সুরিয়া খান (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), অঙ্কুর সিকদার (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), কনক চন্দ্র ভেৌমিক (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), তাসিন নূর (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), নিয়াজ মাহমুদ ইমন (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ)
দ্বিতীয় রানারআপ
সুরাইয়া সুলতানা (রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), সামীচিং মারমা (রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), জাফরীন আক্তার (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সুকান্ত বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. শামীম আফতাহী (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), শাইরা ইসলাম (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ)
ক্যাটাগরি: সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বজিত্ শীল (শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি), তানভীর মাহমুদ(রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), নাঈমুর রহমান (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ)
প্রথম রানারআপ
ধ্রুবা দাস (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), স্বাগতা দাস (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মনজুরুল ইসলাম সজীব (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়) এস কে আব্দুল কাইয়ুম (লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ) শামীম খান হেভেন (রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়)
দ্বিতীয় রানারআপ
জ্যোতি চাকমা, আব্দুল মুহাইমিন আদিব, ফারিয়া ইসলাম ইরা, আরিফ হোসেন, কাশমীম আফনান
ক্যাটাগরি: হায়ার সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন
এস এম গোলাম সারোয়ার অপু
প্রথম রানারআপ
এসহানুল ইসলাম জোবায়ের
দ্বিতীয় রানারআপ
আফরোজা আক্তার, মো. এমদাদুল হক, সুদীপ্ত রায় চেৌধুরী