Explore our latest blog post where we share articles, news, insights, and more!
উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে
মুনির হাসান, সান্তা মার্তা (কলম্বিয়া) থেকে | জুলাই ২৬, ২০১৩ |
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পরীক্ষার চাপ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আনন্দের সময় শুরু হয়েছে। বিচ ভলিবল ও টেবিল টেনিস ছাড়াও সমুদ্র আর সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ গণিত দলের সৌরভ, সফিউল্লাহ, জাহিদুল ও আদীব। তারা অন্য দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলেছে। তবে প্রতিযোগীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ফলাফল নিয়ে রয়েছে চিন্তা। কারণ, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং নম্বর সমন্বয়ের কাজ। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে গণিত উৎসবের মাধ্যমে আইএমওর জন্য চার সদস্যের দল নির্বাচিত করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। অলিম্পিয়াডে প্রথম দিনের পরীক্ষায় প্রশ্ন ছিল সংখ্যাতত্ত্ব, কম্বিনেটরিক্স আর জ্যামিতি থেকে। জ্যামিতির পরীক্ষাটি ছিল সেদিনের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন। তবে জ্যামিতি আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রিয় বিষয়। তাই তাদের তেমন একটা সাহায্য নিতে হয়নি। পরীক্ষার্থীদের মতে, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষার সমস্যাগুলো অনেকটা সহজ। জ্যামিতি ৪ নম্বরে থাকায় সেটি খুব সহজে সমাধান করা গেছে। সান্তা মার্তায় পৌঁছানোর তৃতীয় দিনের মাথায় আমরা শহরটি ঘুরে দেখার সুযোগ পেলাম। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শুরুর পর আমরা বাসে চড়ে বের হলাম। কিছুক্ষণ পর যেখানে থামলাম, সেটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে দেখতে অনেকটা উদ্যানের মতোই। ছেলেমেয়েরা সবাই গল্পগুজব আর হই হট্টগোলে ব্যস্ত। আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো পাঠাগারে। নীরবতা ভেঙে প্রথমে দেখানো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক একটা ভিডিওচিত্র। জানলাম, সেখানে ১৮টি শাখায় ২১৯টি ডিসিপ্লিনে পড়ানো হয় এবং বিভিন্ন ডিগ্রি দেওয়া হয়।