বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড
নিয়মাবলী
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
১. পটভূমি
১.১ |
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ সাধন এবং দেশের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ-এই দুই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গণিত অলিম্পিয়াড কার্যক্রমের সূচনা। ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ দৈনিক প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা দৈনিক প্রথম আলোর পাতাতে একটি গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করার প্রস্তাব করেন। প্রথম আলোর সম্পাদক সম্মতি দিলে এই কার্যক্রম শুরু হয়। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিঃ নামক রেডিক্যাশ কার্ডের স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান এই কর্মকান্ডকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানে সম্মত হয়। |
১.২ |
২০০১ সালের ১৭ জুন প্রথম আলোর বিজ্ঞান বিষয়ক সাপ্তাহিক আয়োজন বিজ্ঞান প্রজন্ম পাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় নিউরনে অনুরণন - প্রথম আলো রেডিক্যাশ গণিত অলিম্পিয়াড। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ নিউরনে অনুরণন পরিচালনার দায়িত্ব নেন। সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব বর্তায় মুনির হাসানের ওপর। সেই থেকে প্রথম আলোর বিজ্ঞান প্রজন্ম পাতায় প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি করে গণিতের সমস্যা ছাপা হয়। সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান কখনো প্রকাশ করা হয় না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের সমাধান প্রথম আলো কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। নিউরনে অনুরণন থেকে জানানো হয় যে, সমাধান সঠিক হয়েছে কী না। এই জন্য প্রথম আলো কার্যালয়ে একজন সমম্বয়কারী কাজ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের পাঠানো সমাধান মিলিয়ে দেখেন এবং তা সঠিক কীনা যাচাই করে সমাধানকারীকে পোস্টকার্ডের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। তাছাড়া সকল সমাধানকারীদের একটি ডেটাবেসও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যে এ কার্যক্রমে প্রকাশিত ৪০০টি গানিতিক সমস্যা পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে। |
১.৩ |
এই কার্যক্রমের কিছুটা বিকাশের পর আঞ্চলিক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারী ঢাকায়, ১৫ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জে এবং ১৯ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলাতে আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডেই আশাতীত সাড়া পাওয়া যায়। দেশের বরেণ্য গণিতবিদদের অনেকেই এই অলিম্পিয়াডসমহে যোগ দেন। গণিতবিদদের মধ্যে ছিলেন খুলনা থেকে অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত মজুমদার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেব রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি ডঃ মুনিবুর রহমান চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। ২৬ জানুয়ারী ঢাকার মিনি অলিম্পিয়াডে অধ্যাপক গৌরাঙ্গ দেব রায় ২০০২ সালের জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড সিলেটে অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ গণিত সমিতি প্রতি দু’বছর অন্তর একটি আন্তর্জাতিক গণিত সম্মেলন করে থাকে। ২০০২ সালের সম্মেলনটি সিলেটে শাবিপ্রবি-তে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় একই সময়ে গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। |
২. প্রথম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড
২.১ |
দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ের গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয় ৩১ জানুয়ারী ও ১লা ফেব্রুয়ারী ২০০৩। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের মল আয়োজক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ গণিত সমিতির পক্ষ থেকে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজনের জন্য শাবিপ্রবিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি দেওয়া হয়। দেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো এই আয়োজনে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। ১০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০-এর অধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনে প্রথম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়। |
৩. বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি
৩.১ |
আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড-২০০৩ সাফল্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এই কার্যক্রমকে একটি সাংবাৎসরিক ইভেন্টে পরিনত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৩ সালের ১৩ এপ্রিল ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি Bangladesh Mathematical Olympiad Committee সংক্ষেপে BdMOC) নামের এই কমিটি বর্তমানে দেশে গণিত অলিম্পিয়াডের সকল দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি আইএমও তথা আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। এই কমিটির মল কাজ হলো বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা এবং আইএমও-এর জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দল নির্বাচন করা। |
৩.২ |
আগামীতে একটি চাকরী (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-> জেলা -> বিভাগ-> জাতীয় পর্যায়) অলিম্পিয়াড কাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম দিকে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াডসমহের আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ের গণিত অলিম্পিয়াডের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড বা Bangladesh Mathematical Olympiad সংক্ষেপে BdMO। |
৩.৩ |
.বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সকল অলিম্পিয়াডের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। কোন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অলিম্পিয়াডের ‘হোস্ট’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। |
৩.৪ |
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির ১৩ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দৈনিক প্রথম আলো সবকটি অলিম্পিয়াডের মল স্পন্সর হবে। তবে প্রথম আলোর সঙ্গে এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান স্পন্সর হতে পারবে। ২০০৪ সাল থেকে দেশের শীর্ষ বেসরকারী ব্যাংক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড দেশজুড়ে আয়োজিত গণিত উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে। |
৪.বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড
৪.১ |
সময়কাল : প্রতিবছরের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াড বছর হিসাবে পরিগণিত হবে। এই সময় জুড়ে বাৎসরিক আয়োজন সমুহ অনুষ্ঠিত হবে। |
৪.২ |
অংশগ্রহণকারী : আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে কেবল প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু দেশে গণিতকে জনপ্রিয় করার জন্য প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হচ্ছে। এই পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কয়েকটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হল ক্যাটাগরি বাংলা মাধ্যম/শিক্ষাবোর্ডের অধীন ইংরেজী মাধ্যম/ব্রিটিশ সিস্টেম ক.প্রাইমারী তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী Std III - Std V খ.জুনিয়র ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী Std VI - Std VIII গ.সেকেন্ডারী নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী O Level and O Level's Examinee ঘ.হায়ার সেকেন্ডারী একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী A Level and A Level's Examinee |
৪.৩ |
ক্যাটাগরী নির্ধারণঃ অংশগ্রহণকারীদের ক্যাটাগরী নির্ধারণের জন্য গণিত বছরের ডিসেম্বর মাসে অংশগ্রহণকারী যে শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকবে সেটিই বিবেচিত হবে। যেমন ৪র্থ বাংণাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ডিসেম্বর ২০০৫ সালের অধীত শ্রেনী শির্ক্ষাথীর ক্যাটাগরী নির্ধারণ করবে। ইংরেজী মাধ্যমের বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। |
৪.৪ |
ব্যক্তিগত ও দলগতঃ প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। |
৪.৫ |
দলগত অলিম্পিয়াডঃ দলগত অলিম্পিয়াডে একই ক্যাটাগরির তিনজন মিলে একটি দল গঠিত হবে। দল হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক। প্রত্যেক দলে কেবল একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই দল নির্বাচন করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কতৃক প্রত্যায়িত দলকেই ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দলের সদস্যরা প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ভাবে অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে। দলের সদস্যদের প্রত্যেকের নম্বর যোগ করে দলের মোট নম্বর ও ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। |
৪.৬ |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রেরিত দলের সংখ্যাঃ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রত্যেকে ক্যাটাগরীতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি মাত্র দল অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে যে সকল প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিফট রয়েছে সে সব প্রতিষ্ঠানকে আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হবে। |
৫.গণিত বিভাগীয় আয়োজনঃ
৫.১ |
প্রতিবছর ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে গণিত বিভাগীয় অলিম্পিয়াডসমূহ অনুষ্টিত হবে। |
৫.২ |
২০০৫ সাল থেকে সারাদেশের ১০টি স্থানে গণিত বিভাগীয় আয়োজনসমহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিন্মোক্ত তালিকা অনুসারে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়ে থাকে। আগামীতে বিভাগীয় আয়োজনের সংখ্যা বাড়তে পারে। আয়োজন স্থান অন্তর্ভুক্ত জেলা সমূহ ১ রংপুর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা ২ রাজশাহী জয়পুরহাট, বগুড়া, নওগাঁ, নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা ৩ খুলনা খুলনা বিভাগের সকল জেলা ৪ বরিশাল বরিশাল বিভাগের সকল জেলা ৫ মংমনসিংহ জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল ৬ ঢাকা গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ৭ ফরিদপুর রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ ৮ কুমিল্লা ব্রাহ্মনবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও লহ্মীপুর জেলা ৯ চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বিভাগের বাকী জেলা সমূহ ১০ সিলেট সিলেট বিভাগের সকল জেলা |
৫.৩ |
বিভাগীয় আয়োজনগুলো হবে দিনব্যাপী। |
৫.৪ |
প্রতিবছর বিভাগীয় অলিম্পিয়াডের ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করার জন্য একটি বিভাগীয় আয়োজক কমিটি গঠন করা হবে। ঐ কমিটি বিভাগীয় আয়োজনের সকল দায়িত্বে থাকবে। |
৫.৫ |
প্রত্যেক বিভাগীয় আয়োজনের বিস্তারিত সময় সচী আয়োজনের পর্বাহ্নে শিক্ষার্থীদের জানানো হবে। |
৫.৬ |
ব্যক্তিগত অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাঃ বিভাগীয় পর্যায়ের আয়োজনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ কতজন অংশগ্রহণ করতে পারবে তা বিভাগীয় আয়োজক কমিটি নির্ধারণ করবে। |
৫.৭ |
পুরস্কার প্রাপ্তরা ছাড়াও বিভাগীয় অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হবে। |
৫.৮ |
বিভাগীয় উৎসবে গণিত অলিম্পিয়াড ছাড়াও অন্যান্য আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে। |
৫.৯ |
দলীয় পর্যায়ে সকল ক্যাটাগরিতে তিনটি করে দলকে পুরস্কৃত করা হবে। দলের সদস্যদের জন্য থাকবে মেডেল ও সার্টিফিকেট। |
৫.১০ |
ব্যক্তিগতভাবে বিজয়ীদের অনুরূপ পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। |
৫.১১ |
বিজয়ীদের মেধানুসারে চ্যাম্পিয়ান, প্রথম রানার-আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ হিসাবে পুরস্কৃত করা হবে। |
৬.বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড
৬.১ |
বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াড তথা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। |
৬.২ |
অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে পরিচিতিমলক পরিচয় পত্র দেওয়া হবে। |
৬.৩ |
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড হবে দু’দিন ব্যাপী। |
৬.৪ |
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের মেডেল ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। |
৬.৫ |
প্রতিটি ক্যাটাগরীতে দলীয় ও ব্যক্তিগত ভাবে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার-আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ-কে পরস্কৃত করা হবে। |
৬.৬ |
প্রতিটি ক্যাটাগরীতে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তকে বলা হবে চ্যাম্পিয়ন অব দি চ্যাম্পিয়নস এবং তাকে সোনার পদক দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। |
৭.প্রশ্নপত্র ও ধরণ
৭.১ |
একাডেমিক উপ-কমিটি অলিম্পিয়াডের জন্য প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ করবেন। |
৭.২ |
বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই প্রশ্ন করা হবে। |
৭.৩ |
বিভাগীয় অলিম্পিয়াডে প্রশ্নপত্রের নির্ধারিত স্থানে উত্তর লিখতে হবে। এই অলিম্পিয়াডের সময় হবে ৫০ মিনিট। |
৭.৪ |
বিভাগীয় অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর কিংবা জ্যামিতি বাক্স ব্যবহার করা যাবে না। |
৭.৫ |
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে রুলার ও কম্পাস ব্যবহার করা যাবে। তিন ঘন্টা ব্যাপী এই অলিম্পিয়াডে ১০-১২টি প্রশ্ন থাকবে। উত্তর করার জন্য আলাদা উত্তরপত্র (খাতা) সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে। |
৭.৬ |
আয়োজকদের পক্ষ থেকে পর্বাহ্নে পরিদর্শক দল প্রস্তুত রাখা হবে। |
৭.৭ |
সকল উৎসবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য আলাদা মল্যায়নকারী দল থাকবে। |
৮.কর্মশালা
৮.১ |
দেশের ছাত্রছাত্রীদের গাণিতিক উৎকর্ষ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হবে। |
৮.২ |
গণিত বিষয়ক শিক্ষকদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হবে। |
৯.ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড-প্রথম আলো গণিত উৎসব
১০. ২০০৫ সালের গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষক দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারী ব্যাংক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। বিভাগীয় ও জাতীয় উৎসবের নাম হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক -প্রথম আলো গণিত উৎসব-২০০৫।
১১.ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড-প্রথম আলো গণিত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা
১১.১ |
সকালে সমবেতভাবে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির পতাকা ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে গণিত উৎসবের সচনা হবে। |
১১.২ |
পতাকা স্ট্যান্ডে এমনভাবে পতাকা উত্তোলন করতে হবে যাতে যিনি পতাকা উত্তোলন করবেন তার সর্ব বামে আমাদের জাতীয় পতাকা থাকে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা থাকবে। |
১১.৩ |
যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান (প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ/উপাচার্য) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং উৎসবের উদ্বোধন করবেন। |
১১.৪ |
পুরস্কার বিতরনী সভায় সমবেতভাবে গণিতের গান (গণিত করবো জয় একদিন...) গাইতে হবে। |
১২.আইএমও - আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচন
১২.১ |
বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্পঃ জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ক্যাটাগরী ঘ-এর সেরা ২০ জন ও ও ক্যাটাগরী গ-এর সেরা ১০ জনকে নিয়ে আয়োজন করা হবে বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্প। এটি হবে সম্পূর্ণ আবাসিক। এই ক্যাম্পের সেরাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য জাতীয় দল নির্বাচন করা হবে। |
১২.২ |
এই ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত শিক্ষাথীরা এশিয়া প্যাসিফিক গণিত অলিম্পিয়াডে (অচগঙ) অংশগ্রহনের সুযোগ পাবে। (সম্ভব হলে) |
১২.৩ |
এই ক্যাম্পের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ৬(ছয়) সদস্যের প্রথম জাতীয় দল এবং ২(দুই) জন বিকল্প সদস্যের নির্বাচন করা হবে। |
১২.৪ |
জাতীয় দল এবং লিডার ও ডেপুটি লিডার আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। |
১৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক গণিত অলিম্পিয়াড
১৩.১ | বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত অলিম্পিয়াডআয়োজন করার ক্ষেত্রে স্থানীয় আয়োজক সংগঠনকে সহযোগিতা করা হবে। |
১৪.নিয়মাবলীর পরিবর্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জনা
১.৪.১ | বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি প্রয়োজনে এই নিয়মাবলী পবির্তন/পরিবর্ধন/পরিমার্জন করতে পারবে। |
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির ৩০ নভেম্বর ২০০৪ইং তারিখে অনুষ্টিত সভায় গৃহীত।
পরিশিষ্ঠ ক
জাতীয় সঙ্গীত
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ।।
ওমা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে-
ওমা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি।।
কি শোভা, কি ছায়া গো, কী স্নহ, কী মায়া গো-
কী আঁচল বিছায়েছ বটের মলে, নদীর ক‚লে ক‚লে।
মা তোর মুখের বানী আমার কানে লাগে সুধার মতো,
মরি হায়, হায় রে-
মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি।।
পরিশিষ্ঠ খ
গণিত জয়ের গান
We shall overcome
We shall overcome
We shall overcome some day
Oh, deep in my heart
I do believe
We shall overcome some day
আমরা করবো জয়
আমরা করবো জয়
আমরা করবো জয় একদিন
আহা বুকের গভীরে
আমরা জেনেছি যে
আমরা করবো জয় একদিন
We are not alone
We are not alone
We are not alone today
Oh, deep in my heart
I do believe
We are not alone today
আমরা নই একা
আমরা নই একা
আমরা নই একা আজকে
আহা বুকের গভীরে
আমরা জেনেছি যে
আমরা নই একা আজকে
We are not afraid of math
We are not afraid of math
We are not afraid of math today
Oh, deep in my heart
I do believe
Math will overcome someday
গণিতে নাই কোনো ভয়
গণিতে নাই কোনো ভয়
গণিতে নাই কোনো ভয় আজকে
আহা বুকের গভীরে
আমরা জেনেছি যে
গণিত করবো জয় নিশ্চয়।।