সকাল থেকে উৎসব শুরু হয়ে শেষ দুপুরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে আজকে অনুষ্ঠিত ৮ টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব শেষ হয়েছে।
সব আঞ্চলিক উৎসবের চার ক্যাটাগরির সকল বিজয়ীকে দেওয়া হয় মেডেল, সার্টিফিকেট ও হলুদ রঙের টি শার্ট। সঙ্গে ছিল আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আমন্ত্রণ পত্র।
এছাড়াও দেয়া হয় প্রত্যেক বিজয়ীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের জন্য একটি চিঠি এবং একটি বিজয়ী ফরম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের চিঠির নির্দ্দিষ্ট অংশে প্রধানের নাম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম লিখে জমা দিয়ে আসবে।
এবং বিজয়ী ফরমটি পূরণ করে ফরমে থাকা গণিত উৎসবের ঠিকানায় দ্রত পাঠাতে হবে।
সকল বিজয়দেরকে অভিনন্দন !
উল্লেখ্র, আজ যে আটটি অঞ্চলে গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে ২৪, ২৫ জানুয়ারি ও ০১ ফেব্রুয়ারি বাকী অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড।
আজ সকাল ৯টা থেকে ৮টি অঞ্চলে গণিত উৎসব ২০১৪-এর আঞ্চলিক উৎসব শুরু হয়। ঠান্ডা ও কোয়াশার কারনে কয়েকটি স্থানে উৎসব শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়। এর অাগে ভোর থেকে প্রতিটি ভেন্যুতে ভেন্যু জেলা এবং তার অন্তভূর্ক্ত বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে কেউবা দলগতভাবে উৎসব স্থলে এসে উপস্থিত হয় । পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভেন্যু মাঠে পতাকা মঞ্চের পাশে সবাইকে লাইনগতভাবে দাড় করানো হয় এবং পরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও আন্তজার্তিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় সব অঞ্চলের উৎসব।
উদ্বোধনীর পর মাঠ থেকে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্লাস রুমে। সেখানে ১.১৫ মনিটির একটি পরীক্ষায় (গণিত অলিম্পিয়াডে) অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
তারপর ক্লাস রুম থেকে মাঠে এসে শিক্ষার্থীরা। অংশ নেয় বন্ধুত্বা পর্বে।
এখন গণিতের গান দিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব
আপডেট আসছে.....
আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক উৎসব। শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এ উৎসব শুরু হচ্ছে।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক; আর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। এবার ২২টি অঞ্চলে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আজ একযোগে আটটি অঞ্চলে উৎসব শুরু হবে। এই অঞ্চলগুলো হলো রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে বাকি অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৩ সাল থেকে এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন হয়ে আসছে।
২২টি আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে। দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সেরাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে দশম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্পের। বড়দের সঙ্গে সেই ক্যাম্পে যোগ দেবে জুনিয়র গণিতবিদেরাও। এরপর গণিত ক্যাম্পের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে গঠিত হবে বাংলাদেশ গণিত দল। এই দল এ বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আইএমওতে যোগ দেবে।
উৎসব শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। উৎসবে পরীক্ষার সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা যাবে না। অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, কলম ও পেনসিল সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। গণিত উৎসবের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে প্রথম আলোর অনলাইনে (www.prothom-alo.com)।
গণিত উৎসবের সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার পাঁচটি উৎসব বেশি হচ্ছে। উৎসব আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
| অঞ্চল | অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহ | উৎসবের স্থান | উৎসবের তারিখ |
|---|---|---|---|
| রংপুর | নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট লালমনিরহাট ও রংপুর | রংপুর জিলা স্কুল | ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার |
| ঝিনাইদহ | মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ | ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ | |
| যশোর | নড়াইল ও যশোর | যশোর জিলা স্কুল | |
| ফরিদপুর | মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ | ফরিদপুর জিলা স্কুল | |
| ব্রাহ্মণবাড়িয়া | হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী | অন্নদা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া | |
| ময়মনসিংহ | কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহ | ময়মনসিংহ জিলা স্কুল | |
| ফেনী | লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী | ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
| রাঙামাটি | রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি | রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজ | |
| দিনাজপুর | দিনাজপুর | দিনাজপুর জিলা স্কুল | ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার |
| বগুড়া | সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া | বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া | |
| বরিশাল | ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ও বরিশাল | বরিশাল মডেল স্কুল ও কলেজ | |
| সিলেট | সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট | ব্ল–-বার্ড স্কুল ও কলেজ, সিলেট | |
| কুমিল্লা | চাঁদপুর ও কুমিল্লা | কুমিল্লা জিলা স্কুল | |
| চট্টগ্রাম | চট্টগ্রাম ও বান্দরবান | চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল | |
| খুলনা | সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা | সেন্ট জোসেফ্ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা | |
| নারায়ণগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ | নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও কলেজ | |
| ঠাকুরগাঁও | পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও | ইকো পাঠশালা ও কলেজ, ঠাকুরগাঁও | ২৫ জানুয়ারি শনিবার |
| রাজশাহী | পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী | রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ | |
| পটুয়াখালী | বরগুনা ও পটুয়াখালী | পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
| ভোলা | ভোলা | টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলা | |
| কক্সবাজার | কক্সবাজার | কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | |
| ঢাকা | ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ | ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ | ০১ ফেব্রুয়ারি শনিবার |
| জাতীয় উৎসব | সব আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা | পরে জানানো হবে | ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি, শুক্র ও শনিবার |
গতকাল ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ২২টি অঞ্চলে একযোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় দিন অাজ শনিবার ৪ টি অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
যেসব অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে সেগুলো হলো...
১. ঢাকা
২. রংপুর
৩. ময়মনসিংহ
৪. কক্সবাজার
আরো ২টি অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন প্রায় শেষ পর্যায়ে
১. চট্টগ্রাম
২.নারায়নগঞ্জ
বাকী অঞ্চলগুলো রেজিস্ট্রেশনও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুতরাং, এখনও যারা রেজিস্ট্রেশন করবে বলে সময় গুনছ, তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না...!
বিস্তারিত
http://matholympiad.org.bd/news/109-bdmo-2014-registration-notice
রেজিস্ট্রেশন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে, তবে রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৩ সালের অধীত শ্রেণী অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।
| ক্যাটাগরি | বাংলা মাধ্যম/শিক্ষাবোর্ডের অধীন | ইংরেজী মাধ্যম/ব্রিটিশ সিস্টেম | |
| ক. | প্রাইমারী | তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী | Std III - Std V |
| খ. | জুনিয়র | ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী | Std VI - Std VIII |
| গ. | সেকেন্ডারী | নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী | O Level and O Level's Examinee |
| ঘ. | হায়ার সেকেন্ডারী | একাদশ , দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী | A Level and A Level's Examinee |
ঠাকুরগাঁও অঞ্চল: পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও
যোগাযোগ: আমাদের বাজার, দোকান নং-৪১ (দ্বিতীয় তলা), মোহাম্মদ আলী সড়ক, ঠাকুরগাঁও।
প্রয়োজনে: ০১৭৫১০৬৩২২০ ও ০১৭৩৮৭১০৩৭৯
দিনাজপুর অঞ্চল: দিনাজপুর জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, স্টেশন রোড, হোটেল কণিকার নিচতলা, দিনাজপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭২১৭৮৬৩১২ ও ০১৭১৯০৪২৯৩৪।
রংপুর অঞ্চল: নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট ও রংপুর।
যোগাযোগ: প্রথম আলো রংপুর অফিস, আইনজীবী সমিতি ভবন, কাচারী বাজার, রংপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭১৫৯৪৯৪৪২ ও ০১৭৩৭৩৪৫৫১৭
বগুড়া অঞ্চল: সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, সোবহান প্লাজা (তৃতীয় তলা), কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক সাতমাথা, বগুড়া।
প্রয়োজনে: ০১৭১৯০২৩৩২২ ও ০১৭২৭৪৬৪০২৯
রাজশাহী অঞ্চল: পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী
যোগাযোগ: প্রথম আলো রাজশাহী অফিস, ২০৯ কুমারপাড়া, বোয়ালিয়া থানার মোড়, রাজশাহী।
প্রয়োজনে: ০১১৯৫২০৯৫২৬ ও ০১৭২২৮৫৬৮৬৭
ঝিনাইদহ অঞ্চল: মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ
যোগাযোগ: ফরেন ভিউ, এইচ এস এস সড়ক (পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে), ঝিনাইদহ। প্রয়োজনে: ০১৭২১৬৯৩৫২০ ও ০১৯১৯৭৫২৮৬৮
সিলেট অঞ্চল: সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট
যোগাযোগ: প্রথম আলো সিলেট অফিস, অ্যাপেক্স গ্যালারির বিপরীতে, বারুতখানা, সিলেট।
প্রয়োজনে: ০১৭৩৬৮৫২০২৫ ও ০১৬৮২৮১০৫৫৫
যশোর অঞ্চল: নড়াইল ও যশোর
যোগাযোগ: প্রথম আলো যশোর অফিস, সমবায় ইউনিয়ন ভবন, এম এম আলী রোড, যশোর
প্রয়োজনে: ০১৭১৫২৯৩১৪১ ও ০১৯১৩৫৮৭৫৫৩।
খুলনা অঞ্চল: সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা
যোগাযোগ: প্রথম আলো খুলনা অফিস, ত্রিভিন টাওয়ার (চতুর্থ তলা), ৩/১ কেডিএ এভিনিউ, শিববাড়ি মোড়, খুলনা।
প্রয়োজনে: ০১৯৩৭৭১৭১৪১ ও ০১৭১৮৪৮৫৬৬৫
ফরিদপুর অঞ্চল: মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফরিদপুর অফিস, নিলটুলী, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭২৪০৭৮২১০ ও ০১৭৩৪৩১০৬৪৭।
বরিশাল অঞ্চল: ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরিশাল
যোগাযোগ: প্রথম আলো বরিশাল অফিস, ১৭ প্যারারা রোড (দ্বিতীয় তলা), বরিশাল।
প্রয়োজনে: ০১৯২৩৫৯১০৩৩ ও ০১৯১৩৮৯৫৬৬৫
পটুয়াখালী অঞ্চল: বরগুনা ও পটুয়াখালী
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, সমবায় ব্যাংক লিঃ, নতুন বাজার, পটুয়াখালী।
প্রয়োজনে: ০১৭৩৪৮৮১৫৬৪ ও ০১৭১৬২৭৮১২২
ভোলা অঞ্চল: ভোলা জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো ভোলা অফিস, তালুকদার মহল (২য় তলা) মোল্লা পট্টি, কালীনাথ রায়ের বাজার, ভোলা।
প্রয়োজনে: ০১৯১৮০০৬৮৭২ ও ০১৭৩৫৭০৬৪৯২
ময়মনসিংহ অঞ্চল: কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহ
যোগাযোগ: প্রথম আলো ময়মনসিংহ অফিস, রাইয়ান ভিলা,
১৪ সাহেব আলী রোড, নতুন বাজার, ময়মনসিংহ।
প্রয়োজনে: ০১৭২৮৮৭৭৪০৫ ও ০১৭১৩৬৮৩৬৫২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল: হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী
যোগাযোগ: ফ্রেন্ডস কম্পিউটার সিস্টেম এন্ড অনলাইন, (সোনালী ব্যাংক, টিএ রোড শাখা সংলগ্ন) মন্তাজ ম্যানশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রয়োজনে: ০১৭১২৪৪৬১৪৬ ও ০১৭১২৮৫৬৪৩৯।
কুমিল্লা অঞ্চল: চাঁদপুর ও কুমিল্লা
যোগাযোগ: প্রথম আলো কুমিল্লা অফিস, কাজী অহিদুজ্জামান ম্যানশন (তৃতীয় তলা), কান্দিরপাড়, কুমিল্লা।
প্রয়োজনে: ০১৭১৭৫২০০৯২ ও ০১৭২২৪৬১৭২০।
ফেনী অঞ্চল: লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফেনী অফিস, ট্রাংক রোড, ফেনী।
প্রয়োজনে: ০১৮৪০৪৪৪৩৪৩ ও ০১৮১৮৭৪৩৯৩৮
রাঙামাটি অঞ্চল: রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
যোগাযোগ: রাঙামাটি অফিস, বই একাডেমির ওপর তলা (ফরেস্ট রেস্ট হাউসের সামনে), বনরূপা, রাঙামাটি।
প্রয়োজনে: ০১৫৫৬৭০২৩৫৯ ।
চট্টগ্রাম অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও বান্দরবান
যোগাযোগ: প্রথমা, সানমার স্প্রিং গার্ডেন, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, চট্টগ্রাম।
প্রয়োজনে: ০১৬৭০৪৬২৮৪৪ ও ০১৮২৩৭১৫০৮৪
কক্সবাজার অঞ্চল: কক্সবাজার জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, হোটেল সাগরগাঁও, ঝাউতলা, কক্সবাজার।
প্রয়োজনে: ০১৭১৪৩৭৪৬৩৪ ও ০১৭৬৬৬৮৬০০৬।
নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল: নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ
যোগাযোগ: নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, চাষাড়া (প্রিপারেটরি স্কুলের পাশে), নারায়ণগঞ্জ।
প্রয়োজনে: ০১৭১১০৪০২১৬ ও ০১৭১১২২৭৬৪২
ঢাকা অঞ্চল: ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
প্রয়োজনে: ০১৫৩৪৮৯৯১২৩ ও ০১৯১৩৯১৬৬৩১
‘গণিত ক্যাম্প! শুনলেই কেমন ভয় ভয় লাগত। মনে হয়েছিল, এখানে সবাই সারাক্ষণ ডুবে থাকবে গণিতের মহাসমুদ্রে!’ বলল চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী সমাপ্তি শিকদার। তবে ক্যাম্পে ভাবনার সঙ্গে কোনো মিল পেল না সে। কেননা এখানে আড্ডা, গান, গল্প সবই আছে। আর সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিল একটি বিষয়—গণিত!
‘গণিতের সমস্যা এত আনন্দের সঙ্গে সমাধান করা যায়, তা জানা ছিল না। সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন অনেক কৌশল শিখেছি। এ ছাড়া ছিল রুটিনমাফিক ক্লাস, একসঙ্গে আড্ডা ও নতুন বন্ধুতা। সব মিলিয়ে অনেক মজা।’ বলে অয়ন্তিকা রিন্তি বোস। এবারই প্রথম আবাসিক গণিত ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে।
আঞ্চলিক ও জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে মেয়েদের সাফল্য তুলনামূলকভাবে কমতে থাকায় শুধু মেয়েদের জন্যই যদি কোনো ক্যাম্পের আয়োজন করা যায়, তাহলে কেমন হয়? এমন ভাবনা থেকেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। যার নাম দেওয়া হয় ‘লীলাবতী গণিত ক্যাম্প’। একাদশ শতকের ভারতীয় গণিতবিদ লীলাবতীর নামে এই ক্যাম্প। এর আগেও মেয়েদের নিয়ে এমন একটি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এটি ছিল দ্বিতীয় আয়োজন।
২২ থেকে ২৪ আগস্ট ঢাকার আদাবরে পদক্ষেপ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডরমিটরিতে অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পটি। দশম ও একাদশ গণিত অলিম্পিয়াডের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত সেরা ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এই ক্যাম্পে। ক্যাম্পে অংশ নেওয়া সবাই ছিল ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ক্যাম্পটির পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন ২০০৯ সালের অলিম্পিয়াডে আন্তর্জাতিক গণিত (আইএমও) ব্রোঞ্জপদকজয়ী ও বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) অধ্যয়নরত নাজিয়া চৌধুরী।
২২ আগস্ট সকালে শুরুতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে ক্যাম্পটি শুরু করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। তার পর থেকে শুরু হয় ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, হোমওয়ার্ক ও সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা। দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের গণিতের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, ধারণা দেওয়া হয় জটিল সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আগের আইএমওতে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী। গণিত ক্যাম্প, তাই বলে কি আনন্দ থেমে থাকবে? বাড়ি থেকে অনেক দূরে অন্য রকম একটি পরিবেশে গণিতের এ ক্যাম্পকে আনন্দমুখর করে রাখতে ছিল বিভিন্ন আয়োজন। চমক হাসানের ‘গণিতের রঙ্গ’-এর ভিডিও প্রদর্শন। দেখানো হয়েছে সিনেমা। ছিল ক্যাম্পারদের অংশগ্রহণে গান, আবৃত্তি, খেলাধুলা, গল্প বলাসহ নানা আয়োজন।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে যোগ দিয়েছিলেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আইএমওতে বাংলাদেশের এমন একটি দল দেখতে চাই, যেখানে ছয় সদস্যের মধ্যে ছয়জনই থাকবে মেয়ে।’ ক্যাম্পে আরও যোগ দিয়েছিলেন গণিত অলিম্পিয়াডের সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, অভীক রায়, গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর চিকিৎসক সৌমিত্র চক্রবর্তীসহ অনেকে। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর জন্য ছিল সনদপত্র। ক্যাম্পের পুরো আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং ব্যবস্থাপনায় ছিল প্রথম আলো।
| জুলাই ২৯, ২০১৩ |
মানুষে মানুষে সখ্য, ঐক্য, ভালোবাসা এবং মুক্তির জন্য বিজ্ঞান ও গণিতের উত্তরোত্তর ব্যবহারের আহ্বানের মধ্য দিয়ে গত শনিবার শেষ হলো ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) আসর। সমাপনী অনুষ্ঠানটি ছিল লাতিন আমেরিকার মুক্তিকামী মানুষের অগ্রণী নায়ক সাইমন বলিভারের জাদুঘরের সামনে। অনুষ্ঠানে সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ীদের গলায় পদক পরিয়ে দেওয়া হয়। বক্তারা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দেশে শিক্ষাদূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের বলেন, ভাষা ও গণিতে উৎকর্ষ অর্জনের মাধ্যমেই কেবল মানব জাতির বৃহত্তর সমস্যাগুলোর উত্তরণের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। ২০১৪ সালের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিদের হাতে আইএমওর পতাকা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয় এবারের আনুষ্ঠানিকতা। ২০১৪ সালের ৩ থেকে ১৩ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে ৫৫তম আইএমও অনুষ্ঠিত হবে। পরে হোটেল আইরোতমাতে ফিরে দলনেতা, উপদলনেতা, শিক্ষার্থীরা নৈশভোজে অংশ নেয়। গতকাল রোববার সকাল থেকে প্রতিযোগীরা সান্টা মার্তা শহর ত্যাগ করতে শুরু করেছে। তিনটি ব্রোঞ্জপদক বিজয়ী বাংলাদেশ দলের কাল মঙ্গলবার ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। এ আয়োজনের মাধ্যমে আইএমওর জন্য বাছাই করা হয় প্রতিযোগী।
| জুলাই ২৮, ২০১৩
এবার তিনটি ব্রোঞ্জপদক ও একটি সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ গণিত দল। কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে এ অর্জনের (আইএমও) মাধ্যমে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। গত শুক্রবার রাতে আইএমওর বিচারকেরা পদকের নম্বর চূড়ান্ত করেন।ব্রোঞ্জপদক পাওয়া বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যরা হলো ঢাকা কলেজের নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, সৌরভ দাশ ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান পেয়েছে সম্মানসূচক স্বীকৃতি। গণিতের এ বিশ্ব আসরে মোট ৪২ নম্বরের মধ্যে সফিউল্লাহ ২১, আদীব ১৭, সৌরভ ১৫ এবং জাহিদুল ৭ পেয়েছে। ৩১ বা তার চেয়ে বেশি নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সোনা, ২৪-৩০-এ রৌপ্য এবং ১৫-২৩-এ ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। ৯৭টি দেশের ৫২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ২৭৮ জন পদক পেয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন সোনা, ৯২ জন রুপা ও ১৪১ জন ব্র্রোঞ্জ এবং ১৪১টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেয়েছে।
পাঁচটি সোনা ও একটি রৌপ্য নিয়ে ২০৮ নম্বর পেয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সমান পদক নিয়ে ২০৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের মোট নম্বর ৬০। অবস্থান ৬১তম। এবার ভারত ১২২ নম্বর পেয়ে ২৯তম, শ্রীলঙ্কা ৬৫ নম্বর পেয়ে ৫৬তম, পাকিস্তান ২৫ নম্বর পেয়ে ৭৯তম স্থানে রয়েছে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল।
বাংলাদেশের এবারের প্রাপ্তিতে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ দলের ফলাফল সন্তোষজনক। আশা করছি শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ সংগঠনের সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি এ ফলাফলে। আমাদের ছেলেরা অন্য দেশের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এটা সত্যিই অনেক আনন্দের খবর। দলের সবাইকে শুভেচ্ছা।’
কলম্বিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব আলম মজুমদারও শিক্ষার্থীদের ফলাফলে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার রৌপ্য না পেলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গড় নম্বর বেড়েছে। তবে তারা আরও ভালো করতে পারত।’
এবারের আইএমওতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএস তাবরেজ। তিনি জানান, ধারাবাহিক এ অর্জন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অতীতের মতো ভবিষ্যতেও গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আইএমওতে টানা নয় বছর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একটি রৌপ্য, নয়টি ব্রোঞ্জ এবং ১৬টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশ থেকে ১৭টি গণিত উৎসবের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে এবার ওই চারজন প্রতিযোগীকে বাছাই করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
| জুলাই ২৪, ২০১৩
পাঠকেরা যখন এই খবর পড়বেন, ততক্ষণে ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। সাড়ে চার ঘণ্টার এই পরীক্ষা বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত একটায় শেষ হয়।
পরীক্ষার কারণে প্রতিযোগীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। শুধু বিশেষ একটি স্থানে কয়েকটি কম্পিউটারে ই-মেইলসহ প্রাথমিক কিছু কাজের জন্য সংযোগসুবিধা রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শেষে ইন্টারনেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল আইএমওর অন্যতম সহযোগী বিরানকিউলাস শহরে অবস্থিত নর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনডোর বাস্কেটবল কোর্টে। অনুষ্ঠানে শহরের মেয়র এলসা নগুয়েরা জানালেন, বরানকিউলাসের নানান সাফল্য-ব্যর্থতার কথা। ২০০৬ সালে শহরটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। কিন্তু ২০০৮ সালে নতুন উদ্যমে শহরকে গড়ে তোলা হয়। এখন সেখানে সাক্ষরতার হার শতভাগ, যা দেশের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শহরের মর্যাদা এনে দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন কলম্বিয়ার শিক্ষামন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্ডো, আইএমও উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান নজর আগাখানভ।
স্প্যানিশ গানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে ৭ থেকে ১৯ বছরের একদল শিক্ষার্থী। সবচেয়ে জমজমাট অংশটি ছিল প্রায় ১০০ জন শিল্পীর কারুকার্যখচিত জামা পরে নৃত্য পরিবেশনা। এতে উঠে আসে দক্ষিণ আমেরিকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য।
সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা প্রতিটি দেশের গণিত দলকে নেচেগেয়ে মঞ্চে নিয়ে আসেন। প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল নিজ নিজ দেশের জাতীয় পতাকা। ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে প্রায় প্রথম দিকেই মঞ্চে ডাক পায় বাংলাদেশের সৌরভ, সফিউল্লাহ, জাহিদুল ও আদীব। অনুষ্ঠানে দেখা গেল আরএমওতে মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাড়ছে আরব দেশগুলোর মেয়েদের অংশগ্রহণ।
উপস্থাপকের জানানো তথ্য থেকে বুঝলাম এই আয়োজনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করার জন্য আবেদন করেছে কলম্বিয়া। তাদের দাবি, এটিই দক্ষিণ আমেরিকার আদি রেড ইন্ডিয়ানের ঐতিহ্যের অংশ। আর প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে কলম্বিয়ানরা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ঠিক তখন বুঝলাম কেন আমাদের এখানে আনা হয়েছে। কারণ তাতে বিশ্বের ১০৩টা দেশের সামনে কলম্বিয়ার দাবিটি উঠে এল।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশ থেকে ১৭টি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চারজনের বাংলাদেশ দল ঠিক করে।
| জুলাই ২৩, ২০১৩
শুরু হলো বিশ্বের প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেধার লড়াই আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও) ২০১৩। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে কলম্বিয়ার বিরানকিউলাস শহরে শুরু হয় এর আনুষ্ঠানিকতা।
অলিম্পিয়াডের ৫৪তম এ আসরে অংশ নিচ্ছে ১০৩টি দেশের পাঁচ শতাধিক খুদে গণিতবিদ। দুই দিনের প্রতিযোগিতা শুরু হবে আজ থেকে। প্রতিযোগীদের সাড়ে চার ঘণ্টায় তিনটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আইএমওতে নবমবারের মতো অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের গণিত দল। আইএমওর নিয়মানুসারে গতকাল নিজ নিজ দেশের দলনেতাদের সঙ্গে প্রতিযোগীদের ‘চোখের দেখা’ হয়েছে। বাংলাদেশ দলের দলনেতা মাহবুব আলম মজুমদার হাত নেড়ে তার দলের গণিতবিদদের শুভেচ্ছা জানায়। নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ১৮ জুলাই থেকে অন্য দলনেতাদের সঙ্গে ‘অজ্ঞাতবাসে’ রয়েছে। ইতিমধ্যে তারা মূল প্রতিযোগিতার জন্য সমস্যা নির্বাচনও করেছে।
বাংলাদেশ দলের চার খুদে গণিতবিদ হলো ঢাকা কলেজের সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান এবং ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান।
গত রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন দেশের গণিতবিদেরা সান্তা মার্তা শহরে উপস্থিত হয়। সান্তা মার্তার সমুদ্রতীরবর্তী রিসোর্ট ইরোটামায় সব দেশের প্রতিযোগীরা অবস্থান করছে। আজ পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত উপদলনেতারা সেখানেই অবস্থান করবে। এরপর তারা নগরের অন্য প্রান্তের একটি হোটেলে দলনেতাদের সঙ্গে যোগ দেবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে।
আকাশপথে দীর্ঘ যাত্রা শেষ করে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা বিশ্রামও নিয়েছে। মেজাজ বেশ ফুরফুরে। এখন কলম্বিয়ায় গরম কাল। তাপমাত্রাও প্রায় আমাদের দেশের মতোই। সান্তা মার্তা সমুদ্রতীরবর্তী শহর বলে এর তাপমাত্রা একটু বেশি।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি সারা দেশ থেকে ১৭টি আঞ্চলিক অলিম্পিয়াডের ২২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চারজন প্রতিযোগীকে লাল-সবুজের পতাকা বহনের জন্য নির্বাচন করেছে।
আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) শতাধিক দেশের বেশির ভাগেরই কর্মনৈপুণ্যের ক্ষেত্রে উত্থান-পতন দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর থেকে উত্তরোত্তর ভালো করছে। গত বছরের চেয়ে এবার আরও ভালো করার আশা নিয়ে আজ শুক্রবার রাতে ৫৪তম আইএমওতে যোগ দিতে চার প্রতিযোগীসহ পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ দল কলম্বিয়ার সান্তা মার্তা শহরের উদ্দেশে রওনা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলকে পরিচয় করিয়ে দিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক ও জাতীয় গণিত উৎসবের মাধ্যমে ২২ হাজার গণিতবিদ থেকে চার প্রতিযোগীকে আইএমওর জন্য মনোনীত করা হয়। তিনি এবারও ভালো করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ওই উৎসবের আয়োজন করে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো রৌপ্য পদক পায়। এ ছাড়া ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ছয়টি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ১৫টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
অনুষ্ঠানে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে উপস্থিত ছিল এবারের চার প্রতিযোগী ঢাকা কলেজের সৌরভ দাশ ও নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান। আর দলনেতা ও প্রশিক্ষক মাহবুব মজুমদার ইতিমধ্যে কলম্বিয়া পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের আরও ভালো করতে হলে গণিতের পেছনে আরও বেশি সময় দিতে হবে। আইএমওতে পদকজয়ী বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা এখন বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন একটি নিয়ম করেছে। এতে কোনো পদকজয়ী গণিতবিদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বিভাগে চাইলে ভর্তি হতে পারবে।
গণিত উৎসব ও আইএমওতে বাংলাদেশের যোগদানে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ বলেন, ‘আশা করি বাংলাদেশ কলম্বিয়ায় আরও ভালো করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ দলের উপ-দলনেতা মুনির হাসান।
মুনির হাসান, সান্তা মার্তা (কলম্বিয়া) থেকে
এবার তিনটি ব্রোঞ্জপদক ও একটি সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ গণিত দল। কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে এ অর্জনের (আইএমও) মাধ্যমে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। গত শুক্রবার রাতে আইএমওর বিচারকেরা পদকের নম্বর চূড়ান্ত করেন।
ব্রোঞ্জপদক পাওয়া বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্যরা হলো ঢাকা কলেজের নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, সৌরভ দাশ ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান। ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের মো. জাহিদুল হাসান পেয়েছে সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
গণিতের এ বিশ্ব আসরে মোট ৪২ নম্বরের মধ্যে সফিউল্লাহ ২১, আদীব ১৭, সৌরভ ১৫ এবং জাহিদুল ৭ পেয়েছে। ৩১ বা তার চেয়ে বেশি নম্বরপ্রাপ্তরা সোনা, ২৪-৩০-এ রৌপ্য এবং ১৫-২৩-এ ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। ৯৭টি দেশের ৫২৮ জন শিার্থীর মধ্যে মোট ২৭৮ জন পদক পেয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন সোনা, ৯২ জন রুপা ও ১৪১ জন ব্র্রোঞ্জ এবং ১৪১টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি।
পাঁচটি সোনা ও একটি রৌপ্য নিয়ে ২০৮ নম্বর পেয়ে শীর্ষে রয়েছে চীন। আর সমান পদক নিয়ে ২০৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দণি কোরিয়া। বাংলাদেশের মোট নম্বর ৬০। অবস্থান ৬১তম। এবার ভারত ১২২ নম্বর পেয়ে ২৯তম, শ্রীলঙ্কা ৬৫ নম্বর পেয়ে ৫৬তম, পাকিস্তান ২৫ নম্বর পেয়ে ৭৯তম স্থানে রয়েছে। গত বছর আইএমওতে বাংলাদেশ একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল।
বাংলাদেশের এবারের প্রাপ্তিতে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ দলের ফলাফল সন্তোষজনক। আশা করছি শিার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ সংগঠনের সহসভাপতি মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি এ ফলাফলে। আমাদের ছেলেরা অন্য দেশের তুলনায় ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। এটা সত্যিই অনেক আনন্দের খবর। দলের সবাইকে শুভেচ্ছা।’
কলম্বিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের কোচ মাহবুব আলম মজুমদারও শিার্থীদের ফলাফলে খুশি। তিনি বলেন, ‘এবার রৌপ্য না পেলেও বাংলাদেশের শিার্থীদের গড় নম্বর বেড়েছে। তবে তারা আরও ভালো করতে পারত।’
এবারের আইএমওতে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএস তাবরেজ। তিনি জানান, ধারাবাহিক এ অর্জন বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অতীতের মতো ভবিষ্যতেও গণিত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করবে।
আইএমওতে টানা নয় বছর অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একটি রৌপ্য, নয়টি ব্রোঞ্জ এবং ১৬টি সম্মানসূচক স্বীকৃতি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশ থেকে ১৭টি গণিত উৎসবের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার শিার্থী থেকে এবার চারজন প্রতিযোগীকে বাছাই করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।