ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডে দুটি ব্রোঞ্জপদক পেল বাংলাদেশ
ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডে (ইজিএমও) দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের সদস্য ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুজহাত আহমেদ ১৭ পয়েন্ট এবং হলিক্রস কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইয়ান বিনতে মোস্তাফা ১৬ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে।
ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডে (ইজিএমও) দুটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দলের সদস্য ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুজহাত আহমেদ ১৭ পয়েন্ট এবং হলিক্রস কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইয়ান বিনতে মোস্তাফা ১৬ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে।
এ ছাড়া দলের আরও দুই সদস্য সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা আলম ১১ পয়েন্ট এবং হলিক্রস উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসানা আকতার ১৩ পয়েন্ট পেয়ে সম্মানসূচক স্বীকৃতি পেয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দলীয় মোট ৫৭ পয়েন্ট পেয়ে ৫৭টি দেশের মধ্যে ২৯তম হয়েছে বাংলাদেশ দল।
বিজ্ঞাপন
গণিতের মেধাবী মেয়েদের টুপি খোলা অভিবাদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কায়কোবাদ। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, ‘দুটি ব্রোঞ্জ, দুটি সম্মানসূচক স্বীকৃতি। চারজনের কেউ খালি হাতে ফেরেনি। আমাদের গর্বের জায়গাটা আরও একটু ওপরে তুলে দিয়েছে।’
এ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ দলের দলনেতা গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর ঈপ্সিতা বহ্নি বলেন, ‘গত বছরের দলীয় মোট ২৭ পয়েন্টের তুলনায় এবারের মোট অর্জন ৫৭ পয়েন্ট। নিঃসন্দেহে আমাদের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। আমি আমাদের মেয়েদের জন্য খুব খুশি ও গর্বিত!’
এর আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের ৪ সদস্য ঢাকার একটি কেন্দ্র থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। হাঙ্গেরি থেকে আয়োজক কমিটি এ অলিম্পিয়াড পরিচালনা করেছে।
ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াড (ইজিএমও) মূলত মেয়েদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড। ২০১২ সালে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। সর্বোচ্চ ২০ বছর বয়সী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। প্রতিযোগীদের এখানে ৬টি গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হয়। এ বছর এই অলিম্পিয়াডে ৫৭টি দেশের ২২২ মেয়ে প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন ৩টি করে সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের।
বাংলাদেশ দলে আরও ছিলেন উপদলনেতা হিসেবে গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মুরসালিন হাবিব এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন একাডেমিক কাউন্সিলর নিশাত আনজুম।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির তত্ত্বাবধানে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Share with others
Recent Posts
Recently published articles!
-
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
-
মুনির হাসান; বাথ, যুক্তরাজ্য থেকে