যশোর, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর গণিত উৎসবের খবর
কনকনে শীত আর কুয়াশাঢাকা সকালে আকাশে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার যশোর, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় উৎসব আয়োজনে করেছ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছেন প্রথম আলোর বন্ধুসভার বন্ধুরা।
কনকনে শীত আর কুয়াশাঢাকা সকালে আকাশে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার যশোর, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় উৎসব আয়োজনে করেছ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছেন প্রথম আলোর বন্ধুসভার বন্ধুরা।
যশোর: সকাল ৯টার দিকে যশোরের এমএসটিপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, জাতীয় গণিত উৎসব ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই উৎসবের শুরু হয়। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দীন জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় এমএসটিপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম জাতীয় গণিত উৎসব ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার প্রতিনিধি মো. হাবিবুল্লাহ আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয়।
উদ্বোধনী পর্বে জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দীন বলেন, ‘প্রথম আলো গণিত উৎসবের মতো অনেক ভালো ভালো কাজ করছে। মাদক ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রথম আলোর সংগ্রাম রয়েছে। প্রথম আলোর এসব কার্যক্রম দেখে আমরা আন্দোলিত হই। আমাদের ভালো লাগে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীদের মজার মজার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য মঞ্চে উপস্থিত আছেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল আলিম ও গণিত বিভাগের প্রভাষক অনুপম কুমার দেবনাথ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ রহমান ও গণিত বিভাগের প্রভাষক ফরহাদ বুলবুল এবং বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবু দাউদ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান।
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বেলুন উড়িয়ে আঞ্চলিক গণিত উৎসবের উদ্বোধন করছেন অতিথিরা।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল নয়টার দিকে পঞ্চগড় আঞ্চলিক গণিত উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রানী দেবী জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক সাজ্জাদুল ইসলাম মণ্ডল জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করে এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও জেলার তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেলুন ওড়ানো হয়। এ সময় প্রথম আলো পঞ্চগড় প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, তেঁতুলিয়া গণিত ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করছেন অতিথিরা। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, পঞ্চগড়। ছবি: শহীদুল ইসলামউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেখা রানী দেবী বলেন, ‘গণিত একটি আনন্দের বিষয়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। তোমরা সেই ভীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে আজ বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছ। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের না দেখা স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারবে। কনকনে শীতের কুয়াশা ভেদ করে তোমরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছ; তোমাদের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। “গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো” স্লোগান একদিন তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে তোমরা একদিন স্বপ্ন জয়ের চূড়ায় উঠতে পারবে।’
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার প্রথম অংশে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দিনাজপুরের বিরল পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে বেলুন উড়িয়ে আঞ্চলিক গণিত উৎসবের উদ্বোধন করছেন অতিথিরা। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, বিরল। ছবি: এ এস এম আলমগীর
দিনাজপুর: বিরল উপজেলার বিরল পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয় দিনাজপুর অঞ্চলের জাতীয় গণিত উৎসবের আসর। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেলুন উড়িয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় বিরল পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনজুরুল হাসান জাতীয় পতাকা, প্রথম আলোর বিরামপুর প্রতিনিধি এ এস এম আলমগীর বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং বিরল সায়েন্স একাডেমির সভাপতি ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মামুনুর রশিদ আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন।
বিরল সায়েন্স একাডেমির সমন্বয়ক বিধান কুমার দত্তের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিরল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হাসান ও প্রথম আলোর বিরামপুর প্রতিনিধি এ এস এম আলমগীর। পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মাদক, মুখস্থ, মিথ্যা, বাল্যবিবাহ ও ইভ টিজিংকে ‘না’ বলার শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বিরল সায়েন্স একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চার গ্রুপে এবার ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
Share with others
Recent Posts
Recently published articles!
-
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
-
মুনির হাসান; বাথ, যুক্তরাজ্য থেকে
