সাহসী আনিকা
২০ দিন ধরে জ্বর কমছেই না আনিকার। কখনো ১০৩, কখনো বা ১০৪। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে তাকে। তবে শারীরিক এই কষ্ট তাকে দমাতে পারেনি। হাতে ইনজেকশন দেওয়ার ক্যানোলা নিয়েই সে চলে এসেছে গণিত উৎসবে।
২০ দিন ধরে জ্বর কমছেই না আনিকার। কখনো ১০৩, কখনো বা ১০৪। অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে তাকে। তবে শারীরিক এই কষ্ট তাকে দমাতে পারেনি। হাতে ইনজেকশন দেওয়ার ক্যানোলা নিয়েই সে চলে এসেছে গণিত উৎসবে।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার প্রত্যন্ত ষোলটাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা খাতুন। আজ শুক্রবার কুষ্টিয়া আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অংশ নিতে হাসপাতাল থেকে চলে এসেছে সে। সকাল ১০টায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষায় অংশ নিল ছোট এই মেয়েটি।
আনিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, বরাবরই আনিকা ভালো ছাত্রী। স্কুলে সব পরীক্ষায় ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান থাকে তার। বাড়ি থেকে আসার সময় আনিকা বই নিয়ে এসেছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়েছে। তার পড়ার প্রতি খুবই আগ্রহ। যেকোনো প্রতিযোগিতায় সে অংশ নেয়। তাকে থামানো যায় না।

হাতে ক্যানোলা নিয়ে গণিত উৎসবে পরীক্ষা দিচ্ছে আনিকা। ছবি: প্রথম আলো
Share with others
Recent Posts
Recently published articles!
-
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
-
মুনির হাসান; বাথ, যুক্তরাজ্য থেকে