শিশিরভেজা পৌষের ভোর, কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারপাশ। শীতের আমেজ কাটিয়ে সকাল নয়টার দিকে পুব আকাশে উঁকি দেয় সূর্য। তারও আগে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুদে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয় খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজ মাঠে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৩-এর খুলনা আঞ্চলিক পর্বে অংশ নিতে এসেছিল সবাই।
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগানে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজ মাঠে এ উৎসব শুরু হয়। খুলনার আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল উৎসবের উদ্বোধন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন খুলনা বন্ধুসভার সাংস্কৃতিক দল। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল জাতীয় পতাকা, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি মুমিত আল রশিদ আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন।
উদ্বোধনী পর্বে অধ্যক্ষ কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘গণিত মানুষকে শুদ্ধ করে, যুক্তিবাদী করে গড়ে তোলে। বছরের শুরুতেই গণিতচর্চার মতো প্রয়োজনীয় একটি অধ্যবসায়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে প্রথম আলো। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। বিজ্ঞানভিত্তিক সৃজনশীল মেধা বিকাশে গণিতচর্চার বিকল্প নেই।’

পরে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৩-এর খুলনা আঞ্চলিক পর্বে অংশ নেওয়া এসব শিক্ষার্থী এর আগে অনলাইনে গণিত উৎসবের বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়ে আঞ্চলিক পর্বের পরীক্ষায় বসে।

আজ সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্বে। এ সময় খুদে শিক্ষার্থীরা গণিত বিষয়ে তাদের নানা কৌতূহল ও প্রশ্ন তুলে ধরে শিক্ষকদের কাছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় গণিত উৎসবের আয়োজন করছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের সব খবর পাওয়া যাবে গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইট matholympiad.org.bd এবং facebook.com/BdMOC অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।