ঢাকা আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। নিবন্ধন চলবে প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের ২০১৫ সালে অধীত শ্রেণী অনুসারে তার ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে, তবে রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র/বেতনের রসিদ,/ফলাফলের বিবরণী যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
ক্যাটাগরি চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ক. প্রাইমারি : তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫। খ. জুনিয়র : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮। গ. সেকেন্ডারি : নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও-লেভেল এবং ও-লেভেল পরীক্ষার্থী। ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি : একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার্থী।
অন্তর্ভুক্ত জেলা:ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ।
রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ:প্রথম আলো অফিস, ৫ম তলা (লিফট-৪), সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
প্রয়োজনে: ০১৭১৭৫৭১৩৩৮, ০১১৯১৩৮৫৫৫১ ও ০১৯১৩৯১৬৬৩১।
ঘন কুয়াশা ভেদ করে রাজশাহীর আকাশে উড়ে গেল এক ঝাঁক বেলুন। শিক্ষার্থীদের করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজের মাঠ। শুরু হলো ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রথম আলো রাজশাহী আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড উৎসব। আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বেলুন উড়িয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৭২ শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন ও গণিতের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক আবু মো. আরিফুর রহমান। এ পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইকবাল মতিন, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জালাল উদ্দিন। উদ্বোধনের সময় মকবুল হোসেন বলেন, আজকের উৎসবে যারা অংশ নিয়েছে, তাদের হাতেই আগামী দিনের বাংলাদেশের দায়িত্ব অর্পিত হবে। তিনি বলেন, প্রথম আলো বরাবরই একটি বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনের জন্য গণিত অলিম্পিয়াডের মতো কর্মসূচির আয়োজন করে যাচ্ছে। এ জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি। উদ্বোধনী পর্বের পর গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া ৯৭২ শিক্ষার্থী এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের একটি পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা শেষে চলবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব। খাতা দেখা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই পর্ব চলবে।
জামিলুর রেজা চৌধুরী সভাপতি, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে চতুর্দশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আয়োজন শুরু হয়েছে। এবারও দেশের ২৪টি জেলায় আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। আঞ্চলিক পর্বে সারা দেশের হাজারো শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অংশ নেবে। আর সব অঞ্চলের বিজয়ীদের নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় উৎসব। জাতীয় উৎসবে যারা ভালো করবে, সেখান থেকে কয়েক ধাপে বাছাই করে নির্বাচন করবে বাংলাদেশ গণিত দল, যারা অংশ নেবে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় ৫৭তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও)। আমরা ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে আইএমওতে উন্নতি করছি। গত বছর ছিল আমাদের গণিত দলের সবচেয়ে ভালো ফল। আমার আশা করছি, এ বছরও আঞ্চলিক গণিত উৎসবের মাধ্যমে সারা দেশের মেধাবী ছাত্ররা অংশ নেবে। যেখান থেকে আমরা খুঁজে পাব আমাদের সেরা খুদে গণিতবিদদের, আগামী দিনের গণিতবিদদের। যারা আইএমওতে অংশ নিয়ে আরও ভালো ফলাফলের মাধ্যমে দেশের জন্য অনেক গৌরব বয়ে আনবে। সব অংশগ্রহণকারীর জন্য রইল শুভকামনা।
কে এস তাবরেজ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বছর ঘুরে আবারও শুরু হয়েছে গণিত উৎসব ২০১৬। তাই আমি অনেক আনন্দিত। এই উৎসব শুরু হলে শিক্ষার্থীদের মতো আমিও অনেক খুশি হই। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশ নিতে ভেন্যুগুলোতে হাজির হতে থাকে, সারা দিন গণিতের সঙ্গে থাকে। এই উৎসবের জন্য এখন শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করে সারা বছর। এবার ২৪টি গণিত উৎসব আয়োজন করা হচ্ছে। এ উৎসবে এখন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা দারুণভাবে যুক্ত হয়েছে। আর এই উৎসবকে সুসংগঠিতভাবে সম্পন্ন করছে একদল স্বেচ্ছাসেবী। ধন্যবাদ সবাইকে। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে আমাদের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে সাফল্য লাভ করছে। আমাদের গণিত দল এ বছর আইএমওতে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থান অর্জন করে প্রমাণ করেছে, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের মেধা ও দক্ষতা বিশ্বমানের। আমার বিশ্বাস, একসময় আমাদের শিক্ষার্থীরা সারা দুনিয়ার প্রতিযোগীদের মধ্যে শীর্ষে উঠে আসবে। বরাবরের মতো এবারও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গণিত উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বিগত বছরগুলোর মতো এবারের গণিত উৎসবের সব আয়োজন সফল হবে বলে আমি আশাবাদী। গণিত উৎসবে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং আয়োজকদের জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আব্দুল কাইয়ুম সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো
গণিত উৎসবের প্রেরণা দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায় প্রতিবছর। এবার আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। গত বছরের চেয়েও বড় সাফল্য আনতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমাদের উৎকর্ষ বাড়াতে হবে। আইএমওতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা ফল করেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সেরা ফল অর্জন। প্রায় দেড় দশক ধরে লালিত স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে এখন, স্বর্ণপদক জয় করতে হবে। এই দুটি চ্যালেঞ্জ অতিক্রমের প্রেরণাই হোক এবারের গণিত উৎসব ও অলিম্পিয়াডের মূল চালিকাশক্তি। আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা ও মেধায় অনেক এগিয়ে। কিন্তু সুযোগ ও চর্চার অভাবে অনেক প্রতিভা অনাবিষ্কৃত থেকে যায়। গণিত উৎসব ও অলিম্পিয়াড তাদের সামনে নিয়ে আসে। শুরু থেকেই প্রথম আলো এ উৎসবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, আমাদের তরুণেরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে আরও এগিয়ে যাবে, আরও বড় বিজয় নিয়ে আসবে। আমরা সেদিকেই চেয়ে আছি।
সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। নিবন্ধন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের ২০১৫ সালে অধীত শ্রেণী অনুসারে তার ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে, তবে রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
ক্যাটাগরি চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ক. প্রাইমারি, (বাংলা মাধ্যম) – তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫। খ. জুনিয়র, (বাংলা মাধ্যম) – ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮। গ. সেকেন্ডারি, (বাংলা মাধ্যম)- নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও-লেভেল এবং ও-লেভেল পরীক্ষার্থী। ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি, (বাংলা মাধ্যম)- একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার্থী।
১১টি অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশনের
বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো: ..............................................................................
পটুয়াখালী অঞ্চল: পটুয়াখালী ও বরগুনা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, সমবায় ব্যাংক লি. ভবন, নতুন বাজার, পটুয়াখালী।
ফোন: ০১৭১২১৭৩৮৫১ ও ০১৭৩৪৮৮১৫৬৪
বরিশাল অঞ্চল: বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো বরিশাল অফিস,
১৭ প্যারারা রোড (দ্বিতীয় তলা), বরিশাল। প্রয়োজনে: ০১৭১১৪৭০৭৩৬ ও ০১৯১৩৮৯৫৬৬৫
সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। নিবন্ধন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের ২০১৫ সালে অধীত শ্রেণী অনুসারে তার ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে, তবে রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
ক্যাটাগরি চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ক. প্রাইমারি, (বাংলা মাধ্যম) – তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫। খ. জুনিয়র, (বাংলা মাধ্যম) – ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮। গ. সেকেন্ডারি, (বাংলা মাধ্যম)- নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও-লেভেল এবং ও-লেভেল পরীক্ষার্থী। ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি, (বাংলা মাধ্যম)- একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার্থী।
১২টি অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশনের
বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো: ..............................................................................
দেশের শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষ করে তোলা এবং সেই সঙ্গে হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় ৫৭তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) যোগদানের জন্য বাংলাদেশ দলের সদস্য বাছাইয়ের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে ডাচ&-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উত্সব ২০১৬ ও চতুর্দশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষার পর ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে এবারের লড়াই। বরাবরের মতো এবারের উত্সবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ&-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড; আর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। এবার ২৪টি গণিত অঞ্চলে আঞ্চলিক গণিত উত্সব অনুষ্ঠিত হবে। অঞ্চলগুলো হচ্ছে- বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, সিলেট, মেৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, ফেনী, কুমিল্লা, শরিয়তপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার।
আঞ্চলিক উত্সবের বিজয়ীরা আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রয়ারি ২০১৬ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় চতুর্দশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সেরাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্প। গণিত ক্যাম্পের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে গঠিত হবে বাংলাদেশ গণিত দল, যা আগামী জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে যোগ দেবে। এ ছাড়া থাকবে ২৮তম এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় গণিত অলিম্পিয়াডে (এপিএমও) অংশগ্রহণের সুযোগ।
ক্যাটাগরি
চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে।
ক. প্রাইমারি, বাংলা মাধ্যম তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫।
খ. জুনিয়র, বাংলা মাধ্যম ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮।
গ. সেকেন্ডারি, বাংলা মাধ্যম নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও-লেভেল এবং ও-লেভেল পরীক্ষার্থী।
ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি, বাংলা মাধ্যম একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ-লেভেল এবং এ-লেভেল পরীক্ষার্থী।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ২৭তম আয়োজনে বাংলাদেশ সাতটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এপিএমও কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে (http://cms.math.ca/Competitions/APMO/results/apmo2015-res.pdf) এই ফলাফল ঘোষণা করে। ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ছয় শিক্ষার্থী হচ্ছে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ-ই-এলাহী, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের আদিব হাসান ও মো. সানজিদ আনোয়ার, নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের এফ এম জাকারিয়া, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাজিদ আখতার তূর্য, নটরডেম কলেজের সিয়াম হাবিব এবং ঢাকা কলেজের প্রিতম কুন্ডু। বাংলাদেশের সফলতায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ পদক বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। এপিএমওতে এ বছর ৩৩টি দেশের ২৯৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। গত ১০ মার্চ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এপিএমওতে সারা দেশ থেকে আসা প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ১০ জনকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও এপিএমওর পরীক্ষা হয় অভিন্ন প্রশ্নে। অলিম্পিয়াডে গণিতের পাঁচটি সমস্যা সমাধানের জন্য চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী l ছবি: প্রথম আলো
থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহরে অনুষ্ঠেয় ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) যোগ দিতে আজ রাতে রওনা দিচ্ছে বাংলাদেশের ছয়জন খুদে গণিতবিদ। ৯ জুলাই শুরু হবে এই অলিম্পিয়াড। গণিতের এই মহাযজ্ঞে অংশ নেওয়া খুদে গণিতবিদদের গতকাল সোমবার ঢাকার এক হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। ছয় খুদে গণিতবিদ হলো সিলেট এমসি কলেজের আসিফ-ই-ইলাহী, ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের আদিব হাসান ও মো. সানজিদ আনোয়ার, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাজিদ আখতার, নটর ডেম কলেজের মো. সাব্বির রহমান এবং বরিশাল জিলা স্কুলের এ এম নাঈমুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ আইএমওতে ভালো করছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। পাশাপাশি গণিত অলিম্পিয়াডের অনুকরণে বাংলাদেশে বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের অলিম্পিয়াডও হচ্ছে।’ সংবাদ সম্মেলনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুল হাসান বলেন, ‘আমরা খুশি এবং গর্বিত যে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত আছি।’ তিনি আশা করেন, ‘বিগত সময়ের চেয়ে ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীরা আরও ভালো করবে।’ প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, এই তরুণেরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এরাই আগামী দিনে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে এ ধরনের উদ্যোগ খুবই দরকার। এ কারণেই প্রথম আলো এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান এবং গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। বাংলাদেশের ছয় প্রতিযোগীর দলনেতা বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড দলের কোচ মাহবুব মজুমদার গত শনিবার থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। উপদলনেতা মুনির হাসান ছয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ রওনা দেবেন। চলতি বছর সারা দেশে ২৪টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবে অংশ নেয় সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বিগত ১০ বারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ গণিত দল এ পর্যন্ত দুটি রৌপ্যপদক, ১০টি ব্রোঞ্জপদক ও ২০টি সম্মানজনক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ ছাড়া গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইটে www.matholympiad.org.bd, গণিত অলিম্পিয়াডের অফিশিয়াল ফেসবুক ফ্যান পেজে (www.facebook.com/ BdMOC) অলিম্পিয়াডের আপডেট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং বাস্তবায়নে রয়েছে প্রথম আলো।
আগামী ৪ থেকে ১৬ জুলাই থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই শহরে বসবে প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় আসর ৫৬তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড (আইএমও)-২০১৫। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ছয় কৃতী শিক্ষার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। এ বছর সারা বিশ্ব থেকে ১১৪টি দেশের ৪৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ গণিত দলের শিক্ষার্থীরা হলো আসিফ-ই-ইলাহী (সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় সিলেট),আদিব হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ), মো. সানজিদ আনোয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ), সাজিদ আখতার তূর্য (বিএল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সিরাজগঞ্জ), এস এম নাঈমুল ইসলাম ( বরিশাল জিলা স্কুল) ও সাব্বির রহমান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, ঢাকা)। এ ছাড়া দলের সঙ্গে দলনেতা, উপদলনেতা হিসেবে যাবেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের কোচ মাহবুব মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান । ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় ৫৬তম আইএমওর জন্য ছয় জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন ও এর আনুষাঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। বাংলাদেশ গণিত দলের জন্য রইল শুভ কামনা ! জয় গণিত উৎসব !
এশিয়া প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ২৭তম আয়োজন গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এপিএমওর সদস্য সব দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় পৃথিবীর এই সর্ববৃহৎ আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড। এতে বাংলাদেশের ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়ের ব্যবধানের কারণে দেশভেদে অলিম্পিয়াড আয়োজন ভিন্ন সময়ে হয়েছে। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও এপিএমওর পরীক্ষা হয় অভিন্ন প্রশ্নে। অলিম্পিয়াডে গণিতের পাঁচটি সমস্যা সমাধানের জন্য চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। প্রতিটি প্রশ্নের সর্বোচ্চ মান সাত। অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। প্রথম ১০ জনের ফলাফল এবং নমুনা হিসেবে প্রথম, তৃতীয় ও সপ্তম স্থান অধিকারীর উত্তরপত্র কাজাখস্তানে পাঠানো হবে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এপিএমওতে সারা দেশ থেকে আসা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। এতে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূইয়া ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে রৌপ্য পদকপ্রাপ্ত নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ।