বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রস্তাবিত গণিত ক্লাবগুলো নিয়ে প্রথমবারের মতো গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার পলাশীতে ফ্রেপড মিলনায়তনে হয়ে গেল প্রথম গণিত ক্লাব সমাবেশ। শুধু প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলোই নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী অনেকে যোগ দেন এই সমাবেশে। গণিত ক্লাব কেন দরকার, কীভাবে একটি ক্লাব এলাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত বিষয়ে সচেতনতা জন্ম দিতে পারে—এ রকম নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে পরিচিতিমূলক বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান। গণিত ক্লাবের পথচলা কীভাবে শুরু হতে পারে, কীভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমিক দলের সদস্য তানভীর আরাফাত।
অলিম্পিয়াডকে লক্ষ্য করে ক্লাবের কার্যক্রম কীভাবে চালানো যেতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমিক দলের অপর সদস্য ফরহাদ মহসিন। এ সময় রামানুজন গণিত সংঘের উদ্যোগে প্রস্তুত করা একটি পাঠ্যসূচি মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়। কার্যক্রমের পরবর্তী অংশে অলিম্পিয়াড-ভিত্তিক কার্যক্রমের বাইরেও একটি ক্লাব অন্য কী কী কাজ করতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা করেন একাডেমিক সমন্বয়ক অভীক রায়। একাডেমিক কাউন্সিলর সৌমিত্র চক্রবর্তী ময়মনসিংহ প্যারালাল ম্যাথ স্কুল পরিচালনায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া নওগাঁর সাইকাস ম্যাথ সার্কেলের তানভীর গালিব বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন আমাদের ক্লাবগুলোর নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়ক হবে।
এ রকম সমাবেশের আয়োজন নিয়মিত করা উচিত।’ তিনি জানান, সম্ভব হলে ঢাকার বাইরে আঞ্চলিকভাবে এ ধরনের আয়োজন করা উচিত। সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪০টি গণিত ক্লাবের ৮২ জন সদস্য সমাবেশে অংশ নেন। গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে শেষ হয় সমাবেশ। ক্লাব সমাবেশের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন গণিত অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া ও মুভার্স কেন্দ্রীয় সার্কেলের সদস্য আইয়ুব সরকার, কামরুজ্জামান, তুষার চক্রবর্তী, মোহাইমিন, তাহনিন জাহান, সকাল রায়, সুদীপ্ত দেবনাথ, দিপু সরকার, পবিত্র কুমার, রকিবুল ইসলাম, জয়দীপ সরকার, রাকিব, সাদিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল রকমারি ডট কম।
অভীক রায়