ক্যাটাগরি: প্রাইমারি
চ্যাম্পিয়ন:
ইপ্সিতা জাহান (ওয়াসিস সিয়াম লা এসসি নেতরো), জাইমা শফিক নুহা (ভি জি জি এস), সাদ তাহমিদ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. কাইয়ুম (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. জিহাদুল ইসলাম (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
প্রথম রানারআপ:
অম্লান দে অভিক (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), নাফিজা ইসলাম কল্প (গভ. জিলা স্কুল), মো. রোবায়াত আহমেদ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), তাসফিয়া আলম অথৈ (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), নুসরাত তাসনিম (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়)।
দ্বিতীয় রানারআপ:
অর্ণব দাস (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), জান্নাতুল বিনতে আলীম (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), সংগীতা বিশ্বাস (.....), মুনতাহী হাসান আধিয়ার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. শাকাকাত আলম (কেবি হাইস্কুল)
ক্যাটাগরি: জুনিয়র
চ্যাম্পিয়ন
মো. মুবাসসির হোসেন (জামালপুর জিলা স্কুল), সারওয়ার রায়হান ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), জুলফিকার জায়াদ ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
প্রথম রানারআপ
রেহনুমা নাফিয়া প্রিনা (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), তাসনিয়া হক ফারিয়া (প্রিমিয়াম আইডিয়াল হাইস্কুল), শীষা সেনগুপ্তা (অন্বেষা ইন্টা. স্কুল), মেহেদী হাসান সুপ্ত ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. মারুফ হাসান রুবাব (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. আলমা আরিজ নোমান (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
দ্বিতীয় রানারআপ:
সুরাইয়া আলফি মোমা (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), দিগন্ত সারওয়ার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
কাজী আইমান রাফিদ স্বচ্ছ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মাহমুদুল হাসান (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), নাহিয়ান ইসলাম ইনান (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), সাদমান সাকিব (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
ক্যাটাগরি: সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন
প্রভা মল্লিক পণ্ডিত (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), যারীন তাসনিম (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), মুনতাসির আল জেমি (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), ইশরাক হোসেন রাফি (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
কৌশিক রায় চৌধুরী (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), ইশতিয়াক রহমান ফাহিম (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
প্রথম রানারআপ:
জাওয়াদুল হাসান সাদ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মিফতাহুল জান্নাত রিতু (বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), অনিক ইসলাম পান্থ (আগমনী ইউ সি), মো. ফারদিন ইসলাম আলভি (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
তানভির আহমেদ প্রান্ত (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
দ্বিতীয় রানারআপ:
পিয়াশ মাহমুদ (.......), মাহিদুল হক মৃদুল (আঞ্জুমান আদর্শ গভ. হাইস্কুল), সানজিদ শাহরিয়ার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), নিশাত তাসনিম তাবাসসুম রেফা (ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. রাফি উদ্দিন ((ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), সৌভিক সাহা জয় (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), প্রসেনজিৎ বাসাক (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)।
ক্যাটাগরি: হায়ার সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন:
আদিব হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ), মো. সানজিদ আনোয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ)
প্রথম রানারআপ:
মো. নাজমুল হাসান সাকিব (আনন্দ মোহন কলেজ), এস এম ফারহান শাহরিয়ার আলমগীর (মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ), মো. জাহিদ হাসান (আনন্দ মোহন কলেজ), সাইফ আল আরেফিন তকি (আনন্দ মোহন কলেজ)
দ্বিতীয় রানারআপ:
মো. হাদিদ হাসান (গুরুদয়াল গভ. কলেজ), মাহফুজুর রহমান (শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ), রাফি আল সামি যোজন (আনন্দ মোহন কলেজ)
শীতের সকালে কুয়াশা ফুঁড়ে বের হতে থাকে ঝলমলে রোদ। উষ্ণতার সঙ্গে বাড়তে থাকে উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ পরিপূর্ণ। গতকাল শনিবার সেখানে অনুষ্ঠিত হয় গণিত উৎসব।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা আর প্রথম আলোর সার্বিক সহযোগিতায় রাজবাড়ীতে এ গণিত উৎসবে অংশ নেয় রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার ৮০০ শিক্ষার্থী। সকাল নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খান। পরে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজা খানম এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন।
এরপর ‘গণিত শেখো স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান লেখা উৎসবের ব্যানার উড়িয়ে দেওয়া হয় সকালের রোদেলা আকাশে। উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় রাজবাড়ী আঞ্চলিক গণিত উৎসবের।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গণিত যারা সমাধান করতে পারে তারাই বুঝতে পারে এতে কত আনন্দ। একটু মন দিয়ে চেষ্টা করলেই খুব সহজেই গণিত সমাধান করা যায়।’
সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় উৎসবের মূল পর্ব পরীক্ষা। এরপর বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় গণিত জয়ের গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা।
এরপর শুরু হয় মজার মজার প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রশ্ন করে, মানুষের মন কোথায় থাকে ও আকার কেমন? আলো একসঙ্গে কণা ও তরঙ্গের আচরণ করে কীভাবে—এ প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ফরিদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসিফা তাসনিম। এ সময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিমুর রহমান, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গণিত প্রভাষক সুশান্ত কুমার দে, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সমীর ময় মণ্ডল, আরিফ হোসেন, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক রেজাউল হক, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পদার্থের শিক্ষক ইতিকা রানী দাস।
পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) তাপতুন নাসরীন। তিনি বলেন, ‘গণিত মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায়। আর যারা যুক্তিবাদী তারা কখনো ইভ টিজিং, মাদক ও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। যুক্তিবাদী মন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।’
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, মাকে খুশি করলে ভালো মানুষ হওয়া যায়। আর মাকে বড় করলে সেটা হয় দেশমাতৃকা। এ সময় তিনি ‘মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যা’কে না বলতে শিক্ষার্থীদের শপথ করান।
উৎসবে অংশ নেয় শারীরিক প্রতিবন্ধী তামান্না আক্তার রিন্তু। সে ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুভূতি জানিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এতে অনেক অভিজ্ঞতা হলো, অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম।
উৎসবের বিভিন্ন পর্ব সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান এবং রাজবাড়ী বন্ধুসভার উপদেষ্টা শামীমা আক্তার মুনমুন।
অনুষ্ঠানস্থলে গণিত একাডেমির বই, তাম্রলিপি, রকমারি ডটকম ও বন্ধুসভার স্টলে শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায়। উৎসবে সার্বিক সহযোগিতা করেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা।
গণিত গড়ে যুক্তিবাদী মন