ক্যাটাগরি: প্রাইমারি
চ্যাম্পিয়ন:
ফাহিম মুনতাসির ভুইয়া (সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন), অহনা দাশ কথামণি (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), হুমায়রা নুরসেদ আদিবা (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), আবুল হাসান অনিক (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস)
প্রথম রানারআপ:
আতিকা ইশরাত ইথিলা (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), নোভা বেগম (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), মারিয়া ইসলাম (নরসিংদী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), মো. শিহাব (ভোনগারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়), প্রমিতি সাহা (শিউলীবাগ বিদ্যাপীঠ), সাদিয়া আরফিন (আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ)
দ্বিতীয় রানারআপ:
নাফিসা তৌসিন মাহা (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), অর্পিতা শিকদার তিথি (শিউলীবাগ বিদ্যাপীঠ), জাহারা তুজ জান্নাহ (নরসিংদী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), ফাহমিদা ইসলাম ইভা (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়)
ক্যাটাগরি জুনিয়র
চ্যাম্পিয়ন:
পঙ্কজ চক্রবর্তী পার্থ (ব্রাহ্মণদী কে কে এম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), নাজমুল হোসেন তানজীম (আনন্দ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), ইমামুল হোসাইন রাফি (আনন্দ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়)
প্রথম রানারআপ:
অভিজিৎ সাহা (ব্রাহ্মণদী কে কে এম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), তানজিমা বুশরা (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), নুরাই জান্নাত হুদা , মাইহন হাসান শান্ত (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস)
দ্বিতীয় রানারআপ:
নিশাত তাসনিম শিশির (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), জান্নাতুল সরকার সূচনা (ব্রাহ্মণদী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), সাকিব আল হাসান রাব্বি (এনকেএন হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস)
ক্যাটাগরি: সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন:
জুবায়ের রহমান নির্ঝর (আনন্দ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়), মাশিয়াত জানিন (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়)
প্রথম রানারআপ:
আবু (বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ), রেদওয়ান কবির (ব্রাহ্মণদী কে কে এম সরকারি বিদ্যালয়), অপরাজিতা সরকার (আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সুস্মিতা পাল (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়)
দ্বিতীয় রানারআপ:
মীম আফরোজ ঐশী (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়), মো. তানভীর ফেরদৌস (আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. আবিদ ভুইয়া (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), চৌধুরী ব্রিন্ত দাশ (এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস), ফারিহা কামাল অনিক (নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়)
ক্যাটাগরি: হায়ার সেকেন্ডারি
চ্যাম্পিয়ন:
মাহফুজ আনান (আব্দুল কাদির মহিলা সিটি কলেজ)
দ্বিতীয় রানারআপ:
সাজিদ হাসান (আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ), জাবিদ আশরাফ (আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল অ্যান্ড কলেজ), ইফতেখার উদ্দীন সোহান (আব্দুল কাদির মহিলা কলেজ), আরজোইলা সাহা অঞ্চল (আব্দুল কাদির মহিলা কলেজ)
শীতের সকালে কুয়াশা ফুঁড়ে বের হতে থাকে ঝলমলে রোদ। উষ্ণতার সঙ্গে বাড়তে থাকে উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যেই রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ পরিপূর্ণ। গতকাল শনিবার সেখানে অনুষ্ঠিত হয় গণিত উৎসব।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা আর প্রথম আলোর সার্বিক সহযোগিতায় রাজবাড়ীতে এ গণিত উৎসবে অংশ নেয় রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার ৮০০ শিক্ষার্থী। সকাল নয়টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম খান। পরে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজা খানম এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন।
এরপর ‘গণিত শেখো স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান লেখা উৎসবের ব্যানার উড়িয়ে দেওয়া হয় সকালের রোদেলা আকাশে। উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় রাজবাড়ী আঞ্চলিক গণিত উৎসবের।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গণিত যারা সমাধান করতে পারে তারাই বুঝতে পারে এতে কত আনন্দ। একটু মন দিয়ে চেষ্টা করলেই খুব সহজেই গণিত সমাধান করা যায়।’
সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় উৎসবের মূল পর্ব পরীক্ষা। এরপর বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় গণিত জয়ের গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা।
এরপর শুরু হয় মজার মজার প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রশ্ন করে, মানুষের মন কোথায় থাকে ও আকার কেমন? আলো একসঙ্গে কণা ও তরঙ্গের আচরণ করে কীভাবে—এ প্রশ্ন ছুড়ে দেয় ফরিদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসিফা তাসনিম। এ সময় বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিমুর রহমান, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গণিত প্রভাষক সুশান্ত কুমার দে, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সমীর ময় মণ্ডল, আরিফ হোসেন, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক রেজাউল হক, রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পদার্থের শিক্ষক ইতিকা রানী দাস।
পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) তাপতুন নাসরীন। তিনি বলেন, ‘গণিত মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায়। আর যারা যুক্তিবাদী তারা কখনো ইভ টিজিং, মাদক ও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। যুক্তিবাদী মন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।’
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, মাকে খুশি করলে ভালো মানুষ হওয়া যায়। আর মাকে বড় করলে সেটা হয় দেশমাতৃকা। এ সময় তিনি ‘মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যা’কে না বলতে শিক্ষার্থীদের শপথ করান।
উৎসবে অংশ নেয় শারীরিক প্রতিবন্ধী তামান্না আক্তার রিন্তু। সে ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি উৎসবে অংশ নেওয়ার অনুভূতি জানিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এতে অনেক অভিজ্ঞতা হলো, অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারলাম।
উৎসবের বিভিন্ন পর্ব সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর যুব কর্মসূচি সমন্বয়ক মুনির হাসান এবং রাজবাড়ী বন্ধুসভার উপদেষ্টা শামীমা আক্তার মুনমুন।
অনুষ্ঠানস্থলে গণিত একাডেমির বই, তাম্রলিপি, রকমারি ডটকম ও বন্ধুসভার স্টলে শিক্ষার্থীরা ভিড় জমায়। উৎসবে সার্বিক সহযোগিতা করেন রাজবাড়ী বন্ধুসভার বন্ধুরা।
গণিত গড়ে যুক্তিবাদী মন