শীতের কুয়াশা মোড়ানো সকাল। কনকনে বাতাস। কখনো সামান্য সূর্যের ছটা। কখনোবা মুষলধারে বৃষ্টি। রোদ-বৃষ্টির এমন খেলার মধ্যেই আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান সামনে রেখে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৫০৭ জন শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশ নেয়।
সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রংপুর শাখার ব্যবস্থাপক শিশ মুহম্মদ আবু হানিফা ও রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। এরপর জেলা প্রশাসক বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উৎসব উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেন, গণিতের ভীতি দূর করতে প্রথম আলো দেশব্যাপী গণিত উৎসবের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেছে। তারা সফলও হয়েছে। প্রমাণ আজকের (গতকাল) এই সকাল। শীতের মধ্যে এই সকালে এত শিক্ষার্থী-অভিভাবকের উপস্থিতি তা প্রমাণ করেছে।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে শ্রেণিকক্ষে চলে যায় গণিত প্রতিযোগিতার পরীক্ষা দিতে। ৯টা ৫০ মিনিট থেকে সোয়া ঘণ্টার পরীক্ষা শেষে স্কুলমাঠের টানানো শামিয়ানার নিচে এসে বসে তারা। এরপর বন্ধুসভার বন্ধুদের পরিবেশনায় গণিতের গান ছাড়া আরও কয়েকটি গান পরিবেশিত হয়।
গান শেষে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ প্রশ্নোত্তর পর্ব যখন শুরু হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আকাশটা ছেয়ে যায় কালো মেঘে। একটু পর নামে বৃষ্টি। শুরু হয় সবার ছোটাছুটি। আবারও শ্রেণিকক্ষে গিয়ে অবস্থান। এভাবে কাটে দুপুর সাড়ে ১২টা। বৃষ্টি থেমে যায়। তবে সূর্য-মেঘের লুকোচুরি খেলা চলে থেমে থেমে।
এমন লুকোচুরির মধ্যে শুরু প্রশ্নোত্তর পর্ব। ‘চাঁদে লেখার জন্য বিশেষ ধরনের কলম কেন ব্যবহার করতে হয়’, ‘জ্যোৎস্নার আলোতে রং দেখা যায় না কেন?’, ‘আকাশের তারা কেন গণনা করা যায় না’, ‘রাতের বেলা যখন আমরা চলাচল করি তখন আকাশের চাঁদ-তারাও কেন আমাদের সঙ্গে সঙ্গে যায়’—এমন মজার সব প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের। আর তাদের অনুসন্ধিৎসার জবাবও দেন মঞ্চ থেকে শিক্ষকেরা। মজার প্রশ্ন, মজার উত্তরে জমে ওঠে প্রশ্নোত্তর পর্ব।
প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিন, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রুহুল আমিন এবং রংপুর জিলা স্কুলের গণিতের শিক্ষক শফিয়ার রহমান।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে জয়ী ৮০ খুদে গণিতবিদের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় মেডেল। ছিল টি-শার্টও।
মাঝরাতে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা। সঙ্গে হাড়কাঁপানো শীত। তাতে কী? গণিত উৎসবে প্রতিযোগীদের ভিড় কমেনি একটুও। গরম পোশাক গায়ে চাপিয়ে ঠিক সময়ে রংপুর জিলা স্কুলের মাঠে হাজির সবাই।
আজকের তরুণ প্রজন্ম গণিত জয়ের যে স্বপ্ন দেখছে, তা সত্যি হবেই। গণিত নিয়ে সব ভীতি কাটিয়ে তারা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাবেই। সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়। বগুড়ার বিয়াম মডেল ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে গতকাল শনিবার ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের আঞ্চলিক আসর থেকে এমন প্রত্যয়ের কথা শোনা গেল শিক্ষার্থী ও অতিথিদের কণ্ঠে।
রংবেরঙের স্কুল পোশাক পরে আসা সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর হইচই আর উল্লাসে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কলেজ চত্বর। তাদের মুখরতা কনকনে শীতের সকালে উৎসবে আসা অতিথি ও অভিভাবকদেরও যেন ছুঁয়ে গিয়েছিল। উৎসবে বগুড়া ছাড়াও জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এ অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
সকাল নয়টায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন জাতীয় পতাকা, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুস্তাফিজুর রহমান জাতীয় অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বগুড়া শাখার ব্যবস্থাপক ফজলুল কবির আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।
গণিত শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, গণিত নিয়ে একসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্ক ছিল। এখন তা ভীতির বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা আনন্দ নিয়ে এই গণিত উৎসবে যোগ দিচ্ছে। ভীতি কাটিয়ে এই বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো। গণিত জয়ের স্বপ্ন একদিন সত্যি হবেই।
জেলা প্রশাসক বলেন, যারা সেরা তারা কখনো মাদক নেয় না। মিথ্যা বলে না। দুর্নীতি করে না। আর সেরা মেয়েরা কখনো বাল্যবিবাহে রাজি হয় না।
এরপর গণিতের ওপর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মূল্যায়ন পরীক্ষা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। বগুড়ার আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠীর নৃত্যশিল্পীরা অনুষ্ঠানে দুটি নাচ পরিবেশন করেন। সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লাবণ্য ও তার দল গণিতের গান গেয়ে শোনায়। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ পর্ব সঞ্চালন করেন জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড দলের মাহমুদুল হাসান সোহাগ। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল আলম, সরকারি আজিজুল হক কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলম মণ্ডল, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ এবং পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মাহফুজুর রহমান। এ পর্বে শিক্ষার্থীদের মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে ‘না’ বলে শপথ করান মাহমুদুল হাসান। অতিথিদের বক্তব্য ও আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অতিথির বক্তব্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বগুড়ার ব্যবস্থাপক ফজলুল কবির বলেন, গণিত শিখে জীবন সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সুন্দর আগামীর জন্য শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হতে হবে। গণিত জয়ের এই চ্যালেঞ্জের জন্য শিক্ষার্থীদের নিজেকে তৈরি থাকতে হবে। গণিত জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকে জয় করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল আলম, প্রথম আলোর বগুড়ার অফিস ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম ও আঞ্চলিক বিক্রয় নির্বাহী জাকির হোসাইন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রাথমিক ক্যাটাগরিতে ১৬, জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ১৩, সেকেন্ডারিতে ১৫ এবং হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে ১৫ জনসহ মোট ৫৮ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করে তাদের হাতে মেডেল, টি-শার্ট ও ঢাকার চিঠি তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয় ভেন্যু স্মারক।
পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ি গতকাল ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ সকাল থেকে ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসবের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। রেজিস্ট্রেশন শুরুর দ্বিতীয় দিন অাজ ২৪ ডিসেম্বর ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।
যখন অঙ্ক করি, মনে হয় শুধু অঙ্কই করি। আবার কখনো কিছুতেই অঙ্ক ভালো লাগে না। কেন এমন হয়? গণিত দিয়ে কেন নিজের নাম লেখা যায় না? আকাশের তারাগুলো কেন পাঁচকোনা বিশিষ্ট মনে হয়? খুদে গণিতবিদদের এমনই নানা মজার প্রশ্ন আর মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের উত্তরের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণিত উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব।
ছুটির দিনে কুয়াশায় ঢাকা চারপাশ; সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস—কিছুই ঠেকাতে পারেনি খুদে গণিতবিদদের। সাতসকালেই ভরে গিয়েছিল রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের মাঠটি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই যেন শুরু হয়ে যায় গণিত উৎসব। প্রথম আলো বন্ধুসভার স্টল ও বইয়ের দোকানে তখনো উপচে পড়া ভিড়। তবে ঘড়িতে যখন সকাল সাড়ে আটটা, তখনই মঞ্চে বেজে উঠল জাতীয় সংগীত। শুরু হলো গণিত উৎসব। সহস্র কণ্ঠে ঘোষিত হলো সবার কাছে সহজ হয়ে গেছে গণিত।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় গতকালের এ উৎসবে অংশ নেয় রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯০৩ জন শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বেগম ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের স্থানীয় ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম। বেলুন উড়িয়ে জেলা প্রশাসক উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্রথম আলো নবীন শিক্ষার্থীদের সুন্দর পথের সন্ধান দেখাচ্ছে। চমৎকার এ আয়োজনের জন্য তিনি প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী শেষে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষায়। সোয়া ১১টায় হল থেকে বেরিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। এ সময় মঞ্চে বেজে ওঠে গণিতের গান। সঙ্গে সঙ্গে কে কার আগে মঞ্চের সামনে বসবে, তা নিয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা।
এরপর শুরু হয় উৎসবের সবচেয়ে মজার পর্ব—প্রশ্নোত্তর। এ সময় মঞ্চে ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল মতিন, অধ্যাপক ফিরুজ আলম, সহকারী অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকিব, রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ আবদুস সামাদ প্রমুখ। এই পর্বে শিক্ষার্থীরা মজার মজার প্রশ্ন করে পুরস্কার জিতে নেয়।
দুপুরের বিরতির পর উৎসব শুরু হয় বন্ধুসভার বন্ধু রেজাউল করিমের গান দিয়ে। উপস্থিত সবাই গানের সঙ্গে ঠোঁট মেলায়। কয়েকজন শিক্ষার্থী গান ও কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সদস্য জাহিদ হুসাইন শিক্ষার্থীদের মুখস্থ, মাদক ও মিথ্যাকে না বলার অঙ্গীকার করান।
পুরস্কার বিতরণের আগে এক মিনিট পর্বে অতিথিরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এ সময় অধ্যাপক ইকবাল মতিন অমসৃণ খেজুরগাছ থেকে মিষ্টি রস বের করার সঙ্গে তুলনা করে গণিতের অধ্যয়ন করার কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, গণিত কঠিন নাকি সহজ? উত্তরে খুদে গণিতবিদেরা সহস্র কণ্ঠে বলে ওঠে, উৎসবে এসে সহজ হয়ে গেছে গণিত।
উৎসবের সমাপনী পর্বে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে প্রাথমিক ক্যাটাগরিতে ১২, জুনিয়রে ২৪, সেকেন্ডারিতে ১৭ ও হায়ার সেকেন্ডারিতে ১২ জনকে পদক ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান বেগমের হাতে ভেন্যু স্মারক তুলে দেন।
বছর ঘুরে দেশব্যাপী আবার শুরু হলো আঞ্চলিক গণিত উত্সব। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান সামনে রেখে কুমিল্লা থেকে শুরু হলো এবারের উত্সব। এতে যোগ দিতে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই খুদে গণিতবিদদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে কুমিল্লা নগরের নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। উৎসবে গণিতকে জয়ের অঙ্গীকার করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি দূর করে গণিতের প্রতি তাদের আগ্রহী করে তোলা এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচনের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৭। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব।
গতকাল গণিত উত্সবে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১ হাজার ৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
দিনব্যাপী এই উত্সবের মূল আয়োজন ছিল গণিত অলিম্পিয়াড (প্রতিযোগিতা), প্রশ্নোত্তর পর্ব, রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতা, সমাপনী পর্ব ও পুরস্কার বিতরণ। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সকাল নয়টায় শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে উত্সব উদ্বোধন করেন নবাব ফয়জুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার। এ সময় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সুনীল চন্দ্র দাস। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন উদ্বোধনী পর্বের প্রধান অতিথি ব্রিটেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ গণিত সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার। উদ্বোধনী পর্বের বক্তব্যে অধ্যাপক মো. আবদুস সাত্তার বলেন, ‘গণিতের প্রতি মানুষের ভীতি এখন আর নেই। স্কুলে পড়া অবস্থায় আমরা গণিতকে ভয় পেতাম। এখন খুদে শিক্ষার্থীরা গণিতকে জয় করছে।’
৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় উৎসবের মূল আয়োজন গণিত প্রতিযোগিতা। এতে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। খুদে গণিতবিদদের প্রশ্নের উত্তর দেন অধ্যাপক সুনীল চন্দ্র দাস ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. আবুল খায়ের, আন্তর্জাতিক ক্লাউড কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞ মাহাদী উজ জামান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। এ পর্ব পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। এ পর্ব শেষে শিক্ষার্থীরা হাত উঁচিয়ে মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে ‘না’ বলার অঙ্গীকার করে।
বেলা একটায় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কুন্ডু গোপীদাস, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল খালেক, কুমিল্লা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দা বিলকিস আরা বেগম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য আলী আশরাফ বলেন, ‘সারা দেশে এই উত্সব গণিতের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দৈনন্দিন জীবনে গণিত ছাড়া কেউ চলতে পারে না। হিসাব করেই মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। যে গণিতে ভালো, সে সব বিষয়ে ভালো।’
উৎসবে প্রাইমারি ক্যাটাগরিতে ১৩, জুনিয়রে ২১, সেকেন্ডারিতে ১৫ ও হায়ার সেকেন্ডারিতে ১১ জনকে পুরস্কার হিসেবে মেডেল, সনদ, টি-শার্ট ও প্রথম আলো পত্রিকা দেওয়া হয়। নবাব ফয়জুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে দেওয়া হয় ক্রেস্ট।
এবার ১৫টি আঞ্চলিক উৎসবে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করছে আয়োজক কমিটি। এই উৎসবের বিজয়ীরা আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় গণিত উৎসবে অংশ নেবে।

ঢাকা অঞ্চল
অন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহ: ঢাকা মহানগর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ৷
যোগাযোগ: প্রথম আলো কার্যালয়, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ানবাজার, ঢাকা–১২১৫।
ফোন: ০১৯৭১৩৮৫৫৫১, ০১৭১১০০৪৬০০ ও ০১৬৮৩৮৫৫৫৮৩।
ক্যাটাগির:
প্রাইমারি—তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫।
জুনিয়র—ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮।
সেকেন্ডারি—নবম, দশম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও লেভেল এবং ও লেভেল পরীক্ষার্থী।
হায়ার সেকেন্ডারি—একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার্থী।
লক্ষ রাখুন
- ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
- চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে।
- ২০১৬ সালের অধীত শ্রেণী অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।
- ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে।
- রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
আমাদের জীবন চলার পথে গণিত খুব দরকার, গণিতকে ভয় না পেয়ে জয় করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান।
কুমিল্লা থেকে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি দূর করে তাদের গণিতের প্রতি আগ্রহী করে তোলা এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের জন্য দল নির্বাচনের উদ্দেশ্য নিয়ে আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৭। আজ সকালে কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সারা দেশের আঞ্চলিক গণিত উৎসব।
এবার ১৫টি আঞ্চলিক উৎসবে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করছে আয়োজক কমিটি। সব আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা আগামী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে ঢাকায় জাতীয় গণিত উৎসবে অংশ নেবে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় এই উৎসব দেশের হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় মেধার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
সাধারণভাবে গণিত উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাংশের গণিতের প্রতি ভীতি কমে যাচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আইএমওতে ভালো করার পাশাপাশি দেশেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।’
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, ‘গণিত উৎসব কোনো প্রতিযোগিতার নয়, একটি আনন্দ আয়োজনের নাম। আমি মনে করি, গণিত উৎসব আমাদের জাতীয় জীবনের অর্জন।’
কাল ২০ ডিসেম্বর গণিত উৎসব হবে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।

অঞ্চল: কুমিল্লা আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুমিল্লা
তারিখ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, সোমবার
ফেনী আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফেনী
তারিখ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
রাজশাহী আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ, রাজশাহী
তারিখ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, শুক্রবার
বগুড়া আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু:বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া
তারিখ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
রংপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর
তারিখ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, সোমবার
বরিশাল আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল
তারিখ: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬, শনিবার
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: সেন্ট প্লাসিড উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, চট্টগ্রাম
তারিখ: ০৬ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
কক্সবাজার আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজার
তারিখ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৭, শনিবার
মৌলভীবাজার আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মৌলভীবাজার
তারিখ: ১০ জানুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ফরিদপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়, ফরিদপুর
তারিখ: ১২ জানুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার
খুলনা আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা
তারিখ: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
যশোর আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: যশোর জিলা স্কুল, যশোর
তারিখ: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭, শনিবার
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া
তারিখ: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭, রোববার
ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা
তারিখ: ২০ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক গণিত উৎসব
ভেন্যু: বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
তারিখ: ২৭ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার

৯ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে রেজিস্ট্রেশন শুরু যেসব অঞ্চলে
চট্টগ্রাম অঞ্চল: চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি।
যোগাযোগ: জেলা শিল্পকলা একাডেমী, এম এম আলী রোড, দামপাড়া, চট্টগ্রাম।
ফোন: ০১৮২৩৫৫৭৪১৭ ও ০১৮৫৮৮৫৬৯১১
কক্সবাজার অঞ্চল: কক্সবাজার ও বান্দরবান
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, হোটেল সাগরগাঁও, ঝাউতলা, কক্সবাজার।
ফোন: ০১৭৭৫৪২৪৬৪৬
ফরিদপুর অঞ্চল: শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী।
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফরিদপুর অফিস, নিলটুলী, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর।
ফোন: ০১৭৩৪৩১০৬৪৭ ও ০১৭৫৪৪৯৬৯৮৪
খুলনা অঞ্চল: খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, ৩৩৫ শেরেবাংলা রোড, ময়লাপোতার মোড়, খুলনা।
ফোন: ০১৭১৫৯৫১০৩৬ ও ০১৭১৬০২৫৮২৪
কুষ্টিয়া অঞ্চল: ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা।
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, চৌধুরী কওসের উদ্দিন আহম্মেদ সড়ক, ফজলুল বারী চৌধুরী মার্কেট (তৃতীয় তলা),
শিল্পকলার সামনে, মজমপুর গেট, কুষ্টিয়া।
ফোন: ০১৭১৭৪৪৫৫০৪ ও ০১৭৩৮৬৭৮২১৭
যশোর: মাগুরা, যশোর ও নড়াইল।
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, আর এস ভবন, জেল রোড, ঘোপ, যশোর।
ফোন: ০১৯৮২৬১১৭৭৪ ও ০১৭১৫২৯৩১৪১
মৌলভীবাজার অঞ্চল: সুনামগঞ্জ , সিলেট , হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।
যোগাযোগ: প্রথম আলো বন্ধুসভা কার্যালয়, (রাজমহলের বিপরীতে), কোর্ট রোড,
চৌমোহনা, মৌলভীবাজার।
ফোন: ০১৭৩৮১৮০২৮০ ও ০১৭২৬৬৯০৬০০
ময়মনসিংহ অঞ্চল: নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ।
যোগাযোগ: ময়মনসিংহ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ।
৫৩ বাউন্ডারি রোড, ময়মনসিংহ।
ফোন: ০১৭১০৬৭৯৭০১ ও ০১৯১৯১২৪৫৫৫১
২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ঢাকা অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশন শুরু:
ঢাকা অঞ্চল: ঢাকা মহানগর, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ৷
যোগাযোগ: প্রথম আলো কার্যালয়, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ানবাজার, ঢাকা–১২১৫।
ফোন: ০১৯৭১৩৮৫৫৫১, ০১৭১১০০৪৬০০ ও ০১৬৮৩৮৫৫৫৮৩।
ক্যাটাগির:
প্রাইমারি—তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫।
জুনিয়র—ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮।
সেকেন্ডারি—নবম, দশম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও লেভেল এবং ও লেভেল পরীক্ষার্থী।
হায়ার সেকেন্ডারি—একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং এ লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার্থী।
- সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
- চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে।
- ২০১৬ সালের অধীত শ্রেিণ অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।
- ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে।
- রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।

কুমিল্লা অঞ্চল: চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা।
যোগাযোগ: প্রথম আলো কুমিল্লা অফিস,
কাজী অহিদুজ্জামান ম্যানশন (তৃতীয় তলা), কান্দিরপাড়, কুমিল্লা।
ফোন: ০১৬৭২৭৩৫২১১ ও ০১৯২৬৩২৮৫৩৫
রাজশাহী অঞ্চল: রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
যোগাযোগ: প্রথম আলো রাজশাহী অফিস, ২০৯ কুমারপাড়া, বোয়ালিয়া থানার মোড়, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১৭১৫৯৯১৩ ও ০১৭২৯৯৩৮৩২৬
বগুড়া অঞ্চল: জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া।
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, হেলাল ম্যানশন
(৩য় তলা), শেরপুর রোড, সূত্রাপুর, বগুড়া।
ফোন: ০১৭১৭৯৪৮৯৭৮ ও ০১৭৩৭৫৮১৯৫৮
রংপুর অঞ্চল: রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী।
যোগাযোগ: প্রথম আলো রংপুর অফিস,
আইনজীবী সমিতি ভবন, কাচারীবাজার, রংপুর।
ফোন: ০১৭৩৭৩৪৫৫১৭ ও ০১৭৩৪১০৭৬৮২
ফেনী অঞ্চল: লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী।
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফেনী অফিস, ট্রাংক রোড, ফেনী।
ফোন: ০১৬৮৭৭৬৬৩৪২ ও ০১৬৭৯৪১৩৯৫৯
বরিশাল অঞ্চল: পিরোজপুর, ঝালকাঠি,
পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও বরিশাল।
যোগাযোগ: প্রথম আলো বরিশাল অফিস,
১৭ প্যারারা রোড (দ্বিতীয় তলা), বরিশাল।
ফোন: ০১৭১১৪৭০৭৩৬ ও ০১৬৮৩২১৯৬৬৫
সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালের অধীত শ্রেণি অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।
ক্যাটাগরি
ক. প্রাইমারি—তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৩ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৫।
খ. জুনিয়র—ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান এবং স্ট্যান্ডার্ড-৬ থেকে স্ট্যান্ডার্ড-৮।
গ. সেকেন্ডারি—নবম, দশম শ্রেণি ও এসএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান এবং ও লেভেল
এবং ও লেভেল পরীক্ষার্থী।
ঘ. হায়ার সেকেন্ডারি—একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বা সমমান
এবং এ লেভেল এবং এ লেভেল পরীক্ষার্থী।
রেজিস্ট্রেশন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত।ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র—যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।
(ক্রমান্বয়ে অন্যান্য অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য প্রকাশ করা হবে)
বাংলাদেশ দলের সদস্যদের মধ্যে অাসিফ ই এলাহী-২৮ নম্বর (রৌপ্য পদক), আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী - ২১ নম্বর (ব্রোঞ্জ পদক), সাব্বির রহমান-১৯ নম্বর (ব্রোঞ্জ পদক), সাজিদ আকতার তূর্য-১৬ নম্বর (ব্রোঞ্জ পদক), নাঈমুল ইসলাম -১৫ নম্বর (অনারেবল মেনশন) ও সানজিদ আনোয়ার-১৩ নম্বর (অনারেবল মেনশন) পেয়েছে। অভিনন্দন বাংলাদেশ গণিত দল !
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলো র সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে গণিত উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে ৫৭তম আইএমওর জন্য ছয় জনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচিত হয়। নির্বাচন ও এর আনুষাঙ্গিক আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

আগামী ৬-১৬ জুলাই ২০১৬ হংকংয়ে অনুষ্ঠেয় ৫৭তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) জন্য ছয় সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। শিক্ষার্থীরা হলো আসিফ-ই-ইলাহী (সিলেট এমসি কলেজ, সিলেট), মো. সানজিদ আনোয়ার (আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ), সাজিদ আখতার তূর্য (সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ), মো. সাব্বির রহমান (নটর ডেম কলেজ), এ এম নাঈমুল ইসলাম (বরিশাল জিলা স্কুল) ও আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল, চট্টগ্রাম)। অভিনন্দন বাংলাদেশ গণিত দল।












