ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার

আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি এই উৎসবের আয়োজন করেছে। সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের উপাধ্যক্ষ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) জন্য বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচনের লক্ষ্যে এ বছর ২২টি শহরে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে সব কটি আঞ্চলিক উৎসব শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আঞ্চলিক গণিত উৎসব।
ইতিমধ্যে ঢাকা উৎসবে অংশ নিতে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।
উৎসব শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। উৎসবে পরীক্ষার সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা যাবে না। অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, কলম ও পেনসিল সঙ্গে আনতে হবে।
উৎসবে খুদে গণিতবিদদের উৎসাহ জোগাতে উপস্থিত থাকছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বিশিষ্ট গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, অধ্যাপক লুৎফুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবদুল হাকিম খান, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী রেজাউর রহমান, গণিত দলের কোচ মাহবুব মজুমদার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. এহতেশামুল হক খানসহ বিশিষ্টজনেরা।
উল্লেখ্য, ২২টি আঞ্চলিক গণিত উৎসবের বিজয়ীরা আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্র ও শনিবার ঢাকার আসাদগেটসংলগ্ন সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে।

১৭ তারিখ অনুষ্ঠিত ৮ আঞ্চলিক গণিত উৎসবের খবর

 


 শীতের সকাল। কনকনে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। কোথাও কোথাও কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের উঁকিঝুঁকি। রোদ-কুয়াশার লুকোচুরি। মাঘের শিশিরভেজা এই সকাল আরও সিক্ত হলো হাজারো শিক্ষার্থীর উচ্ছ্বাসে।বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার দেশের আটটি অঞ্চলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক পর্বের এ উৎসবে অংশ নিয়ে খুদে গণিতবিদেরা উচ্ছ্বসিত। তাদের চোখেমুখে গণিতজয়ের স্বপ্ন।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। উৎসবের স্লোগান ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’।
উৎসবের প্রথম দিনে রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি অঞ্চলে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি অঞ্চলেই জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা, আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াড ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করা হয়। উৎসবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পরীক্ষার পাশাপাশি ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
‘দেশের আয়তন ঘনমিটারে না করে বর্গমিটারে প্রকাশ কেন’, ‘রোমান সংখ্যায় জিরো নেই কেন’, ‘পদার্থ ও রসায়নে গণিত প্রয়োজন হয়, জীববিজ্ঞানে কেন প্রয়োজন হয় না’, ‘শূন্য যৌগিক না মৌলিক’—শিক্ষার্থীদের এমন আরও অনেক বুদ্ধিদীপ্ত, সৃজনশীল ও যুক্তিনির্ভর মজার মজার জিজ্ঞাসায় জমে ওঠে প্রশ্নোত্তর পর্ব। অতিথিরাও উত্তর দেন উৎসাহ নিয়ে। ভালো প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গেই ছিল পুরস্কার।
উৎসবে বক্তারা বলেন, মানুষের উন্নতির জন্য দুটি বিষয় দরকার। একটি হলো ভাষাজ্ঞান, অন্যটি গণিতে দক্ষতা। কেউ কেউ বলেন, ‘গণিত বিশ্বময়, বিশ্ব গণিতময়। আমরা লেখাপড়া না শিখলেও গণিত আমাদের প্রয়োজন হয়।’ শিক্ষার্থীরা মুখস্থ, মিথ্যা ও মাদককে ‘না’ বলার শপথ নেয়।
অলিম্পিয়াডে সব অঞ্চলের বিজয়ীদের সনদ, ক্রেস্ট ও টি-শার্ট দেওয়া হয়। আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয় জাতীয় উৎসবের।
উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।


রংপুর: রংপুর জিলা স্কুলের মাঠে উৎসবের শুরু সকাল নয়টায়। উদ্বোধন করেন রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন। রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় মোট ৫৬ জন।
জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, প্রথম আলো প্রতিবছর গণিত উৎসব করে দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিত শেখার আন্দোলন জাগিয়ে দিয়েছে।
উৎসবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রধান হাফিজুর রহমান, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রংপুর শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি: রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজে সকাল সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। উৎসবে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির ২১টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চারটি বিভাগে বিজয়ী হয় ৩০ জন।
উৎসবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবেদ মোর্শেদ, রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজের উপাধ্যক্ষ বৈশিলী রায়, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. সদরুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষক মো. মনজু মিঞা, সনাতন দাস, মো. বশির আহমেদ, নূর মোহাম্মদ ও পরান্টু চাকমা।

যশোর: সকাল সাড়ে নয়টায় যশোর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে উৎসবের শুরু। উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি সুন্দর বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের জন্য এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। দূর হয়েছে গণিতভীতি।
যশোর ও নড়াইলের ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৬০০ শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নেয়। এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চারটি বিভাগে ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।উৎসবে গণিতবিদ অধ্যাপক এ এ কে এম লুৎফুজ্জামান, মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ এলিয়াস হোসেন, যশোরের ডাক্তার আবদুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সকাল নয়টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মূল্যায়ন পরীক্ষায় ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বক্তৃতা পর্বে ফরিদা নাজমীন বলেন, গণিতকে ভয় পাওয়ার দিন আর নেই। এখন সময় বিশ্বকে জয় করার। আরেক শিক্ষক চিন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে হলে গণিতের প্রয়োজন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আইডিয়াল রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর সৌমিত্র চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার ব্যবস্থাপক জহিরুল হক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রমুখ।

ফরিদপুর: ফরিদপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুর্গারানী সিকদার। ফরিদপুর অঞ্চলের উৎসবে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের ৪৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। উৎসবে ৪৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
উৎসবে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রবীণ শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ স ম আবদুল হক, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক পরিমল কুমার কুণ্ডু, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর তামিম শাহরীয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হরিদাস হালদার তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘গণিত বিশ্বময়, বিশ্ব গণিতময়। আমরা লেখাপড়া না শিখলেও গণিত আমাদের প্রয়োজন হয়।’

ফেনী: ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ। এরপর শুরু হয় মূল প্রতিযোগিতা। এতে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। চারটি বিভাগে ৪৬ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, অধ্যাপক ফসিউল আলম, ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক মো. সফিউল আজম ভূঞা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

ঝিনাইদহ: সকাল থেকেই কুয়াশাছন্ন ঝিনাইদহ। কুয়াশা ভেদ করে ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাজির প্রায় ৮০০ খুদে গণিতবিদ। তারা এসেছে ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও মাগুরা জেলা থেকে।
সাড়ে নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, মানুষের উন্নতির জন্য দুটি জিনিস দরকার। একটি হলো ভাষায় দক্ষতা, অন্যটি হলো গণিতে পারঙ্গমতা।
এরপর এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষায় চারটি বিভাগে মোট ৫০ জন বিজয়ী হয়। সেরাদের সেরা হয়েছে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র তাসনিম ফারহান।
উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ওয়াজির আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, প্রবীণ শিক্ষক আলতাফ হোসেন প্রমুখ।

 

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের মাঠে সকাল নয়টায় উৎসবের উদ্বোধন করেনময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) মো. ফিরোজ আহমেদ। উৎসবে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার ৫২টি স্কুলের এক হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। বিজয়ী হয় ৫৯ জন।
উৎসবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান শেখ সুজন আলী, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক অভীক রায়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ময়মনসিংহ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সামসুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সফল ভাবে শেষ হলো ৮ টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব

সকাল থেকে উৎসব শুরু হয়ে শেষ দুপুরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে আজকে অনুষ্ঠিত ৮ টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব শেষ হয়েছে।
সব আঞ্চলিক উৎসবের চার ক্যাটাগরির সকল বিজয়ীকে দেওয়া হয় মেডেল, সার্টিফিকেট ও হলুদ রঙের টি শার্ট। সঙ্গে ছিল আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আমন্ত্রণ পত্র।
এছাড়াও দেয়া হয় প্রত্যেক বিজয়ীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের জন্য একটি চিঠি এবং একটি বিজয়ী ফরম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের চিঠির নির্দ্দিষ্ট অংশে প্রধানের নাম এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম লিখে জমা দিয়ে আসবে।
এবং বিজয়ী ফরমটি পূরণ করে ফরমে থাকা গণিত উৎসবের ঠিকানায় দ্রত পাঠাতে হবে।

সকল বিজয়দেরকে অভিনন্দন !

উল্লেখ্র, আজ যে আটটি অঞ্চলে গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো হচ্ছে রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে ২৪, ২৫ জানুয়ারি ও ০১ ফেব্রুয়ারি বাকী অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ এবং দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড।

 

সব অঞ্চলে উদ্বোধনী ও পরীক্ষা পর্ব শেষ


 আজ সকাল ৯টা থেকে ৮টি অঞ্চলে গণিত উৎসব ২০১৪-এর আঞ্চলিক উৎসব শুরু হয়। ঠান্ডা ও কোয়াশার কারনে কয়েকটি স্থানে উৎসব শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়। এর অাগে ভোর থেকে প্রতিটি ভেন্যুতে ভেন্যু জেলা এবং তার অন্তভূর্ক্ত বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে কেউবা দলগতভাবে উৎসব স্থলে এসে উপস্থিত হয় । পরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভেন্যু মাঠে পতাকা মঞ্চের পাশে সবাইকে লাইনগতভাবে দাড় করানো হয় এবং পরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও আন্তজার্তিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয় সব অঞ্চলের উৎসব।
উদ্বোধনীর পর মাঠ থেকে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্লাস রুমে। সেখানে ১.১৫ মনিটির একটি পরীক্ষায় (গণিত অলিম্পিয়াডে) অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
তারপর ক্লাস রুম থেকে মাঠে এসে শিক্ষার্থীরা। অংশ নেয় বন্ধুত্বা পর্বে।
এখন গণিতের গান দিয়ে শুরু হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব

আপডেট আসছে.....

আজ শুরু হচ্ছে গণিত উৎসব

আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক উৎসব। শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ গণিত দলের সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে এ উৎসব শুরু হচ্ছে।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক; আর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। এবার ২২টি অঞ্চলে আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আজ একযোগে আটটি অঞ্চলে উৎসব শুরু হবে। এই অঞ্চলগুলো হলো রংপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, ফেনী ও রাঙামাটি। এরপর ক্রমান্বয়ে বাকি অঞ্চলগুলোতে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৩ সাল থেকে এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন হয়ে আসছে।
২২টি আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় গণিত উৎসব ২০১৪ ও দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নেবে। দ্বাদশ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সেরাদের নিয়ে আয়োজন করা হবে দশম বাংলাদেশ গণিত ক্যাম্পের। বড়দের সঙ্গে সেই ক্যাম্পে যোগ দেবে জুনিয়র গণিতবিদেরাও। এরপর গণিত ক্যাম্পের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে গঠিত হবে বাংলাদেশ গণিত দল। এই দল এ বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ৫৫তম আইএমওতে যোগ দেবে।
উৎসব শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। উৎসবে পরীক্ষার সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা যাবে না। অলিম্পিয়াডে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাক পরে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র, কলম ও পেনসিল সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। গণিত উৎসবের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য জানা যাবে প্রথম আলোর অনলাইনে (www.prothom-alo.com)।
গণিত উৎসবের সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার পাঁচটি উৎসব বেশি হচ্ছে। উৎসব আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৪ সম্ভাব্য সময়সূচী

অঞ্চলঅন্তর্ভুক্ত জেলাসমূহউৎসবের স্থানউৎসবের তারিখ
রংপুর নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট লালমনিরহাট ও রংপুর রংপুর জিলা স্কুল ১৭ জানুয়ারি
শুক্রবার
ঝিনাইদহ মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঝিনাইদহ
যশোর নড়াইল ও যশোর যশোর জিলা স্কুল
ফরিদপুর মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ ফরিদপুর জিলা স্কুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী অন্নদা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া
ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
ফেনী লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
রাঙামাটি রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল ও কলেজ
দিনাজপুর দিনাজপুর দিনাজপুর জিলা স্কুল ২৪ জানুয়ারি
শুক্রবার
বগুড়া সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া
বরিশাল ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ও বরিশাল বরিশাল মডেল স্কুল ও কলেজ
সিলেট সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট ব্ল–-বার্ড স্কুল ও কলেজ, সিলেট
কুমিল্লা চাঁদপুর ও কুমিল্লা কুমিল্লা জিলা স্কুল
চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ও বান্দরবান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল
খুলনা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা সেন্ট জোসেফ্ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা
নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ও কলেজ
ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও ইকো পাঠশালা ও কলেজ, ঠাকুরগাঁও ২৫ জানুয়ারি
শনিবার
রাজশাহী পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজ
পটুয়াখালী বরগুনা ও পটুয়াখালী পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
ভোলা ভোলা টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলা
কক্সবাজার কক্সবাজার কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
ঢাকা ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ০১ ফেব্রুয়ারি
শনিবার
জাতীয় উৎসব সব আঞ্চলিক উৎসবের বিজয়ীরা পরে জানানো হবে ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি,
শুক্র ও শনিবার

গণিত উৎসব ২০১৪-এর রেজিস্ট্রেশনের আপডেট


গতকাল ১০ জানুয়ারি শুক্রবার ২২টি অঞ্চলে একযোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় দিন অাজ শনিবার ৪ টি অঞ্চলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
যেসব অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন শেষ হয়েছে সেগুলো হলো...
১. ঢাকা
২. রংপুর
৩. ময়মনসিংহ
৪. কক্সবাজার

আরো ২টি অঞ্চলে রেজিস্ট্রেশন প্রায় শেষ পর্যায়ে
১. চট্টগ্রাম
২.নারায়নগঞ্জ

বাকী অঞ্চলগুলো রেজিস্ট্রেশনও খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুতরাং, এখনও যারা রেজিস্ট্রেশন করবে বলে সময় গুনছ, তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না...!

বিস্তারিত
http://matholympiad.org.bd/news/109-bdmo-2014-registration-notice

১০ জানুয়ারি ২০১৪ শুক্রবার থেকে গণিত উৎসবের রেজিস্ট্রেশন শুরু

রেজিস্ট্রেশন চলবে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমের বেলায় এটি প্রযোজ্য হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যে কেউ অংশ নিতে পারবে, তবে রেজিস্ট্রেশন করার সময় শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র, বেতনের রসিদ, ফলাফলের বিবরণী কিংবা এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র যেকোনো একটি প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে।

সব আঞ্চলিক উৎসবে ‘আগে এলে আগে’ ভিত্তিতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
চারটি ক্যাটাগরিতে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৩ সালের অধীত শ্রেণী অনুযায়ী ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।

ক্যাটাগরি বাংলা মাধ্যম/শিক্ষাবোর্ডের অধীন ইংরেজী মাধ্যম/ব্রিটিশ সিস্টেম
ক. প্রাইমারী তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী Std III - Std V
খ. জুনিয়র ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী Std VI - Std VIII
গ. সেকেন্ডারী নবম, দশম শ্রেণী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী O Level and O Level's Examinee
ঘ. হায়ার সেকেন্ডারী একাদশ , দ্বাদশ শ্রেণী ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী A Level and A Level's Examinee


ঠাকুরগাঁও অঞ্চল: পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও
যোগাযোগ: আমাদের বাজার, দোকান নং-৪১ (দ্বিতীয় তলা), মোহাম্মদ আলী সড়ক, ঠাকুরগাঁও।
প্রয়োজনে: ০১৭৫১০৬৩২২০ ও ০১৭৩৮৭১০৩৭৯

দিনাজপুর অঞ্চল: দিনাজপুর জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, স্টেশন রোড, হোটেল কণিকার নিচতলা, দিনাজপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭২১৭৮৬৩১২ ও ০১৭১৯০৪২৯৩৪।

রংপুর অঞ্চল: নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট ও রংপুর।
যোগাযোগ: প্রথম আলো রংপুর অফিস, আইনজীবী সমিতি ভবন, কাচারী বাজার, রংপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭১৫৯৪৯৪৪২ ও ০১৭৩৭৩৪৫৫১৭

বগুড়া অঞ্চল: সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও বগুড়া
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, সোবহান প্লাজা (তৃতীয় তলা), কবি কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক সাতমাথা, বগুড়া।
প্রয়োজনে: ০১৭১৯০২৩৩২২ ও ০১৭২৭৪৬৪০২৯

রাজশাহী অঞ্চল: পাবনা, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী
যোগাযোগ: প্রথম আলো রাজশাহী অফিস, ২০৯ কুমারপাড়া, বোয়ালিয়া থানার মোড়, রাজশাহী।
প্রয়োজনে: ০১১৯৫২০৯৫২৬ ও ০১৭২২৮৫৬৮৬৭

ঝিনাইদহ অঞ্চল: মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ
যোগাযোগ: ফরেন ভিউ, এইচ এস এস সড়ক (পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে), ঝিনাইদহ। প্রয়োজনে: ০১৭২১৬৯৩৫২০ ও ০১৯১৯৭৫২৮৬৮

সিলেট অঞ্চল: সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট
যোগাযোগ: প্রথম আলো সিলেট অফিস, অ্যাপেক্স গ্যালারির বিপরীতে, বারুতখানা, সিলেট।
প্রয়োজনে: ০১৭৩৬৮৫২০২৫ ও ০১৬৮২৮১০৫৫৫

যশোর অঞ্চল: নড়াইল ও যশোর
যোগাযোগ: প্রথম আলো যশোর অফিস, সমবায় ইউনিয়ন ভবন, এম এম আলী রোড, যশোর
প্রয়োজনে: ০১৭১৫২৯৩১৪১ ও ০১৯১৩৫৮৭৫৫৩।

খুলনা অঞ্চল: সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনা
যোগাযোগ: প্রথম আলো খুলনা অফিস, ত্রিভিন টাওয়ার (চতুর্থ তলা), ৩/১ কেডিএ এভিনিউ, শিববাড়ি মোড়, খুলনা।
প্রয়োজনে: ০১৯৩৭৭১৭১৪১ ও ০১৭১৮৪৮৫৬৬৫

ফরিদপুর অঞ্চল: মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফরিদপুর অফিস, নিলটুলী, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর।
প্রয়োজনে: ০১৭২৪০৭৮২১০ ও ০১৭৩৪৩১০৬৪৭।

বরিশাল অঞ্চল: ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরিশাল
যোগাযোগ: প্রথম আলো বরিশাল অফিস, ১৭ প্যারারা রোড (দ্বিতীয় তলা), বরিশাল।
প্রয়োজনে: ০১৯২৩৫৯১০৩৩ ও ০১৯১৩৮৯৫৬৬৫

পটুয়াখালী অঞ্চল: বরগুনা ও পটুয়াখালী
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, সমবায় ব্যাংক লিঃ, নতুন বাজার, পটুয়াখালী।
প্রয়োজনে: ০১৭৩৪৮৮১৫৬৪ ও ০১৭১৬২৭৮১২২

ভোলা অঞ্চল: ভোলা জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো ভোলা অফিস, তালুকদার মহল (২য় তলা) মোল্লা পট্টি, কালীনাথ রায়ের বাজার, ভোলা।
প্রয়োজনে: ০১৯১৮০০৬৮৭২ ও ০১৭৩৫৭০৬৪৯২

ময়মনসিংহ অঞ্চল: কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর ও ময়মনসিংহ
যোগাযোগ: প্রথম আলো ময়মনসিংহ অফিস, রাইয়ান ভিলা,
১৪ সাহেব আলী রোড, নতুন বাজার, ময়মনসিংহ।
প্রয়োজনে: ০১৭২৮৮৭৭৪০৫ ও ০১৭১৩৬৮৩৬৫২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল: হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী
যোগাযোগ: ফ্রেন্ডস কম্পিউটার সিস্টেম এন্ড অনলাইন, (সোনালী ব্যাংক, টিএ রোড শাখা সংলগ্ন) মন্তাজ ম্যানশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রয়োজনে: ০১৭১২৪৪৬১৪৬ ও ০১৭১২৮৫৬৪৩৯।

কুমিল্লা অঞ্চল: চাঁদপুর ও কুমিল্লা
যোগাযোগ: প্রথম আলো কুমিল্লা অফিস, কাজী অহিদুজ্জামান ম্যানশন (তৃতীয় তলা), কান্দিরপাড়, কুমিল্লা।
প্রয়োজনে: ০১৭১৭৫২০০৯২ ও ০১৭২২৪৬১৭২০।

ফেনী অঞ্চল: লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালী
যোগাযোগ: প্রথম আলো ফেনী অফিস, ট্রাংক রোড, ফেনী।
প্রয়োজনে: ০১৮৪০৪৪৪৩৪৩ ও ০১৮১৮৭৪৩৯৩৮

রাঙামাটি অঞ্চল: রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
যোগাযোগ: রাঙামাটি অফিস, বই একাডেমির ওপর তলা (ফরেস্ট রেস্ট হাউসের সামনে), বনরূপা, রাঙামাটি।
প্রয়োজনে: ০১৫৫৬৭০২৩৫৯ ।

চট্টগ্রাম অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও বান্দরবান
যোগাযোগ: প্রথমা, সানমার স্প্রিং গার্ডেন, জামালখান, চেরাগী পাহাড়, চট্টগ্রাম।
প্রয়োজনে: ০১৬৭০৪৬২৮৪৪ ও ০১৮২৩৭১৫০৮৪

কক্সবাজার অঞ্চল: কক্সবাজার জেলা
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, হোটেল সাগরগাঁও, ঝাউতলা, কক্সবাজার।
প্রয়োজনে: ০১৭১৪৩৭৪৬৩৪ ও ০১৭৬৬৬৮৬০০৬।

নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল: নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ
যোগাযোগ: নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, চাষাড়া (প্রিপারেটরি স্কুলের পাশে), নারায়ণগঞ্জ।
প্রয়োজনে: ০১৭১১০৪০২১৬ ও ০১৭১১২২৭৬৪২

ঢাকা অঞ্চল: ঢাকা মহানগর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ
যোগাযোগ: প্রথম আলো অফিস, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
প্রয়োজনে: ০১৫৩৪৮৯৯১২৩ ও ০১৯১৩৯১৬৬৩১

শেষ হলো ২য় লীলাবতী গণিত ক্যাম্প ২০১৩

‘গণিত ক্যাম্প! শুনলেই কেমন ভয় ভয় লাগত। মনে হয়েছিল, এখানে সবাই সারাক্ষণ ডুবে থাকবে গণিতের মহাসমুদ্রে!’ বলল চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী সমাপ্তি শিকদার। তবে ক্যাম্পে ভাবনার সঙ্গে কোনো মিল পেল না সে। কেননা এখানে আড্ডা, গান, গল্প সবই আছে। আর সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিল একটি বিষয়—গণিত!
‘গণিতের সমস্যা এত আনন্দের সঙ্গে সমাধান করা যায়, তা জানা ছিল না। সমস্যা সমাধানের নতুন নতুন অনেক কৌশল শিখেছি। এ ছাড়া ছিল রুটিনমাফিক ক্লাস, একসঙ্গে আড্ডা ও নতুন বন্ধুতা। সব মিলিয়ে অনেক মজা।’ বলে অয়ন্তিকা রিন্তি বোস। এবারই প্রথম আবাসিক গণিত ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিল দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে।


আঞ্চলিক ও জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে মেয়েদের সাফল্য তুলনামূলকভাবে কমতে থাকায় শুধু মেয়েদের জন্যই যদি কোনো ক্যাম্পের আয়োজন করা যায়, তাহলে কেমন হয়? এমন ভাবনা থেকেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। যার নাম দেওয়া হয় ‘লীলাবতী গণিত ক্যাম্প’। একাদশ শতকের ভারতীয় গণিতবিদ লীলাবতীর নামে এই ক্যাম্প। এর আগেও মেয়েদের নিয়ে এমন একটি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এটি ছিল দ্বিতীয় আয়োজন।
২২ থেকে ২৪ আগস্ট ঢাকার আদাবরে পদক্ষেপ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডরমিটরিতে অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পটি। দশম ও একাদশ গণিত অলিম্পিয়াডের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশ থেকে নির্বাচিত সেরা ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এই ক্যাম্পে। ক্যাম্পে অংশ নেওয়া সবাই ছিল ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ক্যাম্পটির পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন ২০০৯ সালের অলিম্পিয়াডে আন্তর্জাতিক গণিত (আইএমও) ব্রোঞ্জপদকজয়ী ও বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) অধ্যয়নরত নাজিয়া চৌধুরী।
২২ আগস্ট সকালে শুরুতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে ক্যাম্পটি শুরু করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। তার পর থেকে শুরু হয় ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, হোমওয়ার্ক ও সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা। দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের গণিতের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, ধারণা দেওয়া হয় জটিল সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে আগের আইএমওতে কয়েকজন অংশগ্রহণকারী। গণিত ক্যাম্প, তাই বলে কি আনন্দ থেমে থাকবে? বাড়ি থেকে অনেক দূরে অন্য রকম একটি পরিবেশে গণিতের এ ক্যাম্পকে আনন্দমুখর করে রাখতে ছিল বিভিন্ন আয়োজন। চমক হাসানের ‘গণিতের রঙ্গ’-এর ভিডিও প্রদর্শন। দেখানো হয়েছে সিনেমা। ছিল ক্যাম্পারদের অংশগ্রহণে গান, আবৃত্তি, খেলাধুলা, গল্প বলাসহ নানা আয়োজন।
ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে যোগ দিয়েছিলেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আইএমওতে বাংলাদেশের এমন একটি দল দেখতে চাই, যেখানে ছয় সদস্যের মধ্যে ছয়জনই থাকবে মেয়ে।’ ক্যাম্পে আরও যোগ দিয়েছিলেন গণিত অলিম্পিয়াডের সহসভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, গণিতবিদ অধ্যাপক খোদাদাদ খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, অভীক রায়, গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর চিকিৎসক সৌমিত্র চক্রবর্তীসহ অনেকে। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর জন্য ছিল সনদপত্র। ক্যাম্পের পুরো আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এবং ব্যবস্থাপনায় ছিল প্রথম আলো।

দেশে ফিরল বাংলাদেশ গণিত দল

কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫৪তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও) তিনটি ব্রোঞ্জ পদক আর একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি নিয়ে দেশে ফিরল বাংলাদেশ গণিত দল। বাংলাদেশ গণিত দলের চার সদস্য ও উপদলনেতা মঙ্গলবার রাতে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে এসে পঁেৌছান।

রাত সাড়ে এগারটার দিকে লাল-সবুজের পোশাক পরে একে একে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসেন ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী ঢাকা কলেজের শিক্ষাথর্ী সেৌরভ দাশ, নূর মোহাম্মদ সফিউল্লাহ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের আদীব হাসান ও সম্মানসূচক স্বীকৃতি পাওয়া ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষাথর্ী মো. জাহিদুল হাসান এবং উপদলনেতা মুনির হাসান ।

মুনির হাসান সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ছেলেরা তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। দলের গড় প্রাপ্তনম্বর সনে্তাষজনক। তারা আন্তজার্তিক এই মেধার লড়াইয়ে নিজেদেরকে তুলে ধরতে চষ্টো করেছে এবং ভালো করেছে।'

বাংলাদেশ গণিত দলকে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে বরণ করে নেন প্রথম আলোর উপফিচার সম্পাদক পল্লব মোহাইমেন। এসময় গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সমন্বয়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া, গণিত দলের সদস্যদের আত্মীয়স্বজন, গণিত অলিম্পিয়াডের স্বেচ্ছাসেবক এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার নবমবারের মতো আইএমওতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। গত ১৮ থকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত কলম্বিয়ার সান্তা মার্তা শহরে অনুষ্ঠিত হয় গণিতের সবচেয়ে মর্যাদার এই প্রতিযোগিতা। ডাচ&-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় সারা দেশে গণিত উত্সব আয়োজনের মাধ্যমে ৫৪তম আইএমওর জন্য চারজনের বাংলাদেশ গণিত দল নির্বাচন করে করেছে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।