ঢাকা উৎসবের বিজয়ীরা, গণিত উৎসব ২০১৪

ক্যাটাগরি: প্রাইমারি

চ্যাম্পিয়ন:

রায়া তাবাসসুম (ওয়াইডব্লিউসিএ গার্লস স্কুল), মেহনাজ হƒদি (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), নাহিয়ান সামা চৈতি (বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল), আফরিদা নসিন (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), ফারিসা আফরিন (বিডি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), ইসরাক রহমান (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), রিফাহ তাসফিয়া হাসান সাবা (অরণি বিদ্যানিকেতন), অর্ণব সাহা উৎস (সামারফিল্ড), মুশফিকুর রহমান সামি (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), ইসমাম খান (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), রাফিদ রহমান (মাইলস্টোন স্কুল), প্রজ্ঞা পারমিতা সৌমী (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), অভিষেক সাহা (ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুল)।

 

প্রথম রানারআপ

ইফতেহাজ ইয়াসিন, শামস মেহরিন (সিদ্দিকস, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), রাইয়ান সিদ্দিকী (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), দেওয়ান সাদমান হাসান (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), ওয়াসী রহমান চৌধুরী (স্কলাস্টিকা), শেখ মিসাস হাসান (স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. ফারহান সিফাত মাহী (আনমা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), নির্জন মোবারক (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), হƒদি হƒতিকা বসু (ওয়াইডব্লিউসিএ হাইস্কুল), তাসফিয়া রুবাইয়াত (লাইফ প্রিপারেটরি স্কুল), মেহরুননেসা রিতু (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), ফাহিমা মাহফুজ রোদোশী (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), রামিসা তাসনিয়া (মনিপুর হায়ার সেকেন্ডারি কলেজ)।

 

২য় রানারআপ

সৈয়দ সাদাত হাসান (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ), নাফিস আহমেদ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), আশফাকুল হুসনা নৌসি (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), বর্ণিল দেবনাথ (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), ওয়াহি ফারহান হক (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), শাফিন (লাইফ প্রিপারেটরি স্কুল), মহিরুল আলম (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মিনহাজুর রহমান চৌধুরী (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), প্রিতম বোস আপন (গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল), নাহিয়ান ইহসান নীলাভ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), এম এম সামিয়ুল বাশার (স্কলারস স্কুল), শেখ আশরাফুজ্জামান (মনিপুর হাইস্কুল), মুশফিকুর রহমান (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), সামিন ইয়াশির (উদয়ন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), এম মুনিম মোরশেদ (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), আবিদ মোস্তফা (রোটারি গভ. প্রাইমারি স্কুল), রায়িদ আবির আহসান (সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), ফাইয়াজ এনাম মুশালিফ (প্লেপেন স্কুল বসুন্ধরা), মো. জসিম-উস-জিহা (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), শাকিবুল শামির রাফি (আইডিয়াল গভ. প্রাইমারি স্কুল)।

 

ক্যাটাগরি: জুনিয়র

চ্যাম্পিয়ন:

তানজিম আজওয়াদ জামান (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), হাসান মেসবাউল আলী তাহের (মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ), রাজিব ফারহাত হাসান (বিএএফ শাহীন স্কুল), নাসিফ উল্লাহ (রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সুবা নাওয়ার পুষ্পিতা (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), মোহম সানজানাম সৌমিপ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), মাইনুল ইসলাম ফাহিম (মনিপুর হাইস্কুল), ফাবিহা ফাইরুজ জাহিন (মনিপুর হাইস্কুল), সামিয়া ইসলাম (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), তাওসিফ ফারহান (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), তানসিম তারাননাম হƒদি (উদয়ন হাইস্কুল), শাহরিয়ার সুলতান তš§য় (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ)।

 

১ম রানারআপ

সামোরা সাকিবা (মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস স্কুল), সাব্বির শরিফ (তাহফিজুল কুরআনিল করিম ফাজিল মাদ্রাসা), আবদুল্লাহ আল নোমান (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ), নাহিন মুনকার (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সাজ্জাদুল হক (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), সৈয়দ ইহসান-উল-আলম (মনিপুর হাইস্কুল), আহনাফ রশীদ অলি (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), অর্ণব আজাদ (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), সানজীদ আহমেদ খান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), তাসনিম আলম তাওসিফ (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), রুহান হাবীব (কিডস টিউটোরিয়াল), রাইয়ান জামিন (মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সিহাব সা. র. র. আহমেদ (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), আহসান-আল-মাহির (এসওএস হারমান জিমেইনার কলেজ), হƒদিতা ইসলাম (হলি ক্রস গার্লস হাইস্কুল), আজমেইন তাহমিড (মনিপুর হাইস্কুল), আবদুল্লাহ আল যাবের (রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), ইনতেসার তাহমিদ (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), রাহুল সাহা (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), তাহসিন তাজ (সাউথ ব্রিজ স্কুল)।

 

২য় রানারআপ

কাসফিয়া ফারহিন (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), মারঝুক আকিব আসজাদ (সানিডেল), ইবতিসুম তাহের (উদয়ন হাইস্কুল), রিফা (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), আনিকা আনজুম তাবাসসুম (ওয়াইডব্লিউসিএ স্কুল), তাসমিম রেজা (এস ও এস হারমেন জিমেইনার স্কুল), দীপান্বিতা জান্নাত সারাহ (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), ইনতেসার রাজন পরশ (বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ), তামজিদ মোরশেদ রুবাব (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), অর্পণ বিশ্বাস (বারয়েউড মুসলিম হাইস্কুল), রাফসান রশিদ (তাহফিজুল কুরআনুল করিম ফাজিদ মাদ্রাসা, কাজী নাভিদ নেওয়াজ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), সারিয়া চৌধুরী (সানিডেল), অনিক মজুমদার (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), ফাহিম উদ্দীন (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), মীর রেজওয়ান নাভিদ (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ রাইফেলস পাবলিক কলেজ), এম এ ফাহিম (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), রাজিব মুহতাসিম (সামারফিল্ডস), প্রিতম এফ শাইখ (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), মো. রাকিবুল নাসিব (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), মো. ফাইয়াজ ফাহিম (বিয়াম মডেল স্কুল), সায়মা চৌধুরী (ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ), তাসনিম জেরিন (ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সৈয়দ আসিফ মাহবুব (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), তাহসিন কবীর (গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল), সৈয়দ মুহাইমিন-ই-রাব্বী (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), রিদওয়ান মাহবুব (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), রুম্মন ওয়ালিদ (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), আবদুল্লাহ-আল-রাফি (মনিপুর হাইস্কুল), মুশফিক উদ্দীন আহমেদ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), ফাতেমা-তুজ-জোহরা (লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ), সাদিয়া আফরিন (উদয়ন উচ্চমাধ্যমিক স্কুল)।

 

ক্যাটাগরি: সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন:

সাদমান সাকিব (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), প্রিতম কুণ্ডু (সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল), তানভির হোসেন (আদমজী ক্যান্ট. পাবলিক কলেজ), সাফিম বিন হোসেন (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), আবিদুর রহমান (মনিপুর হাইস্কুল)।

 

১ম রানারআপ

মো. এহসানুল হক (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), মো. সাইদুল ইসলাম আকিব (লালবাগ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ), ফারহানুর রহমান (মতিঝিল গভ. বয়েজ হাইস্কুল), মো. ইফতেখার উদ্দীন সিয়াম (গভ. বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল), মরিয়ম আক্তার (ভিকারুননিসা নূন স্কুল), আশীষ ঘোষ (মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ), মো. মুশফিকুর রহমান (সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল), মো. আরিয়ান আশফাক (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ), জাকিয়া সুলতানা জেবা (রাজউক উত্তরা মডেল কলজ), জিনান বিন নুর (জয়দেবপুর গভ. গার্লস হাইস্কুল), জাফরিন সুলতানা (জয়দেবপুর গভ. গার্লস হাইস্কুল), আনওয়ারুল আলম আবীর (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।

 

২য় রানারআপ

ইকবাল হাসান স্বাগত (শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ), ফারহানা ফুয়াদ হক, ইফতেখার উদ্দীন লেমন (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ), মাইসা মনোয়ারা প্রমি (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), আরিয়ান সামীম (বিএএফ শাহীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল), সোমনাথ আকবর (স্কুল অব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট), ফাইরোজ মালিহা (খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ), সাকিব কামরুল (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল), মো. জুলকারনাইন হায়দার (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), ওয়াসিক হাসান (মেরি কুরি স্কুল), সুহƒক্ত জান্নাত (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), সৈয়দ এনান মুনজার (সানবিমস), সাব্বীর রাহমান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), ফাহিম শাহরিয়ার আসিব (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), ফারদিন রায়হান (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ), মাসকানাত কাদের ওহী (গভ. বিজ্ঞান কলেজ সংযুক্ত হাইস্কুল)

 

ক্যাটাগরি: হায়ার সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন:

দেবপ্রিয় বিশ্বাস (সানিডেল), মেশকাতুল জান্নাত (নটর ডেম কলেজ)।

 

১ম রানারআপ:

মো. কামরুল হাসান সাব্বির (নটর ডেম কলেজ), মো. রাকিবুল হাসান তুষার (ঢাকা কলেজ), মো. সামিউর রহমান মীর (নটর ডেম কলেজ), তানভির মুত্তাকিন (ঢাকা কলেজ), মো. শাহাদত হোসেন শাহিন (নটর ডেম কলেজ), সাদমান প্রতীক (ঢাকা কলেজ), আহমেদ রাফায়াত (মাস্টারমাইন্ড স্কুল), মো. এহসানুল কবীর (সানিডেল), ফাহিম শাহরিয়ার স্বাক্ষর (নটর ডেম কলেজ), নাসিফ তিহাম (ঢাকা সিটি কলেজ)।

 

২য় রানারআপ

মো. শাহিবুর রহমান (মিয়াদ) (নটর ডেম কলেজ), নিবরাশ উদ্দুত খান (সানিডেল), মো. নাজমুল হোসেন (নটর ডেম কলেজ), হাসান নাহিয়ান (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), নরিন সুহাইলা আসজাদ (সানিডেল), রাইহান রশীদ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), আজোয়াদ আওসাফ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ)

জাতীয় গণিত উত্সবে বিজয়ী যারা, গণিত উৎসব ২০১৪

ঢাকার সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘১২তম বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ২০১৪’। এতে সারা দেশের ২২টি আঞ্চলিক উত্সবের বিজয়ীরা অংশ নেয়। উত্সবের প্রথম দিনে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনে ফলাফল ঘোষণা এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। জাতীয় উত্সবে বিজয়ীদের তালিকা:


ক্যাটাগরি: প্রাইমারি

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস ২০১৪: শাহাদাত হোসেন নাঈম (কারিকাহোনিয়া দক্ষিণ কুরুয়া হাইস্কুল)।
চ্যাম্পিয়ন: এম এম সামিউল বাশার (স্কলার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ) ও মো. জিয়াদুল হাসান (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)।
প্রথম রানারআপ: জুলফিকার জাওয়াদ (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), দেওয়ান সাদমান হাসান (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা), ইসরাক নূর (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), হাসিব হাসান মুন্সি (এস এম মডেল গভ. হাইস্কুল, ফরিদপুর), তাসনিম তাজ অবন্তি (ভোলা গভ. গার্লস হাইস্কুল), নাফিস আহমেদ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ) ও শেখ আশরাফুজ্জামান নাফিস (মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ)।
দ্বিতীয় রানারআপ: তামজিদ আহমেদ (বিএএফ শাহীন কলেজ, যশোর), রায়েদ আবির আহসান (সামারফিল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল), আশফাকুল হুসনা নাওশি (ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ), মো. ফাইয়্যেদ ইমতিয়াজ (বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), আমির আবদুল্লাহ জাকারিয়া (সেন্ট ফিলিপস স্কুল, দিনাজপুর), মুস্তাফা মুহাইমিন (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা), রাইয়ান সিদ্দিকী (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা), ইসমাম খান (অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা) ও রায়া তাবাসসুম (ওয়াই ডব্লিউ সি এ জুনিয়র গার্লস হাইস্কুল, ঢাকা)।


ক্যাটাগরি: জুনিয়র

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস ২০১৪: তাহমিদ আনজুম খান (রংপুর জিলা স্কুল)।
চ্যাম্পিয়ন: হাসান মেসবাউল আলি তাহের (মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ), তানজিম আজওয়াদ জামান (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা), রাহুল সাহা (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ) ও প্রভা মল্লিকা পণ্ডিত (বিদ্যাময়ী গভ. গার্লস হাইস্কুল)।
প্রথম রানারআপ: স্বরূপ সিদ্ধার্থ মণ্ডল (নওগাঁ কে ডি গভ. হাইস্কুল, রাজশাহী), এ এইচ এম ওসামা হক (এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি হাইস্কুল, ময়মনসিংহ), মো. ওয়াসি আল মোস্তাকিম (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহী), রাগিব ফারহাত হাসান (বিএএফ শাহীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ঢাকা), এম হাসিন ইসমাম জিত (ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ), দেবজিত পণ্ডিত (দিনাজপুর জিলা স্কুল) ও আইমান জহির আকিফ, (সিলেট গভ. পাইলট হাইস্কুল)।
দ্বিতীয় রানারআপ গোধূলি রায় (নাইহাটি সেকেন্ডারি গার্লস হাইস্কুল, খুলনা), সৌভিক সাহা রায় (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), সোহম সানজানান সৌমিপ (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), অনুপমা দেবনাথ (বিদ্যাময়ী গভ. গার্লস হাইস্কুল), কানিজ জাহান (বিদ্যাময়ী গভ. গার্লস হাইস্কুল), অর্ণব চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ), আশরাফুল ইসলাম শান্ত সিকদার (সিলেট গভ. পাইলট হাইস্কুল), সৈয়দ আশফাক তাসিন (পটুয়াখালী গভ. জুবিলী হাইস্কুল), মো. ফারহান মাসুদ (বগুড়া জিলা স্কুল) ও মো. গোলাম মোসাব্বির জয় (বরিশাল জিলা স্কুল)।


ক্যাটাগরি: সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস ২০১৪: প্রীতম কুণ্ডু (সেন্ট গ্রেগরিজ হাইস্কুল)।
চ্যাম্পিয়ন: সাদমান সাকিব (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ), আসিফ-ই-ইলাহী (সিলেট গভ. পাইলট হাইস্কুল), ফাহিম তাজওয়ার (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল, রাজশাহী), মো. সাব্বির রহমান (গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুল), কাজী মো. মারফুম আবিদ (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল), সাজ্জাদ পারভেজ শুভ (পঞ্চগড় বি. পি. গভ. হাইস্কুল), সাজিদ আখতার তূর্য (সিরাজগঞ্জ বিএল গভ. হাইস্কুল) ও সাইফুল্লাহ তালুকদার (বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া)।
প্রথম রানারআপ: আদিব হাসান (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল), মো. মুশফিকুর রহমান (সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা), এস এম হাসিবুল হক হিমেল (নওগাঁ কে ডি গভ. হাইস্কুল, রাজশাহী), জুনায়েদ আহমেদ (দিনাজপুর জিলা স্কুল) ও জুবায়ের রহমান নির্ঝর (অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
দ্বিতীয় রানারআপ: জুলকার নাইন ভুঁইয়া (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল), রাবিব ইবরাত (ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহ), মো. নাফিস ফাইয়াজ (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল) ও আরিয়ান শামীম (শাহীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল)।


ক্যাটাগরি: হায়ার সেকেন্ডারি

চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়নস ২০১৪: নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (ঢাকা কলেজ)।
চ্যাম্পিয়ন: মো. জাহিদুল হাসান (আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ)।
প্রথম রানারআপ: এম এম আল ফারাবী (গভ. আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া), ফাহিম শাহরিয়ার সাক্ষর (নটর ডেম কলেজ), আজওয়াদ আনজুম ইসলাম (এমসি কলেজ, সিলেট), নাফিস তিহাম (ঢাকা সিটি কলেজ), মো. সামিউর রহমান মীর (নটর ডেম কলেজ), মোয়াজ মাহমুদ (বিএএফ শাহীন কলেজ, যশোর), মো. শাহীবুর রহমান মিয়াদ (নটর ডেম কলেজ) ও শেখ ইসমাইল হোসেন (সাতক্ষীরা গভ. কলেজ)।
দ্বিতীয় রানারআপ: দিব্যাতনয় ভট্টাচার্য (চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল), তানভীর মুত্তাকীন (ঢাকা কলেজ), সাফায়াত উল্লাহ (ফেনী সরকারি কলেজ), মুস্তাকিম মিম (রাজশাহী কলেজ)

বিশেষ পুরস্কার
সজল-কাজল স্মৃতি গণিত পুরস্কার ২০১৪: মো. ফারহান শিফা মাহি (আনাম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল)।
জেবুন্নেসা হাসেম গণিত পুরস্কার ২০১৪: মেহনাজ হূদি (ভিকারুননিসা নূন স্কুল)।
আবিদ রেজা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৪: আহমেদ জাওয়াদ চৌধুরী (ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।
ইঞ্জি. লুত্ফর রহমান স্মৃতি গণিত পুরস্কার ২০১৪: থানিক নূর সামিন (চট্টগাম গভ. হাইস্কুল)।
এম সেকান্দার আলি স্মৃতি গণিত পুরস্কার ২০১৪: এস এম নায়েমুল ইসলাম (বরিশাল জিলা স্কুল)।
তাজিমা এইচ মজুমদার গণিত পুরস্কার ২০১৪: প্রভা মল্লিকা পণ্ডিত (বিদ্যাময়ী গভ. গার্লস হাইস্কুল)
দেলোয়ারা বেগম গণিত পুরস্কার ২০১৪: মো. সানজিদ আনোয়ার (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)
গৌরাঙ্গ দেব রায় স্মৃতি গণিত পুরস্কার ২০১৪: তাসনিম ফারহান ফাতিন (কুষ্টিয়া জিলা স্কুল)।
জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি গণিত পুরস্কার ২০১৪: নূর মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (ঢাকা কলেজ)।
সুফিয়া-নুরুল গণিত পুরস্কার ২০১৪: তাহমিদ হাসান (গভ. এম এম সিটি কলেজ, খুলনা)।

জাতীয় রুবিক্স কিউব প্রতিযোগিতা ২০১৪
চ্যাম্পিয়ন: হাসান জহিরুল ইসলাম (নটর ডেম কলেজ)।
প্রথম রানারআপ: হুমায়ুন কবির রাসেল (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।
দ্বিতীয় রানারআপ: সাকিব বিন রশিদ (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ)।


সুডোকু প্রতিযোগিতা ২০১৪

চ্যাম্পিয়ন: রিফা মুহাইমিনা রহমান (ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর)।
প্রথম রানারআপ: সাহিকা আহমেদ (ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যশোর)।
দ্বিতীয় রানারআপ: হাশিম ইসরাক (ময়মনসিংহ জিলা স্কুল)।

গণিত উৎসব ২০১৪ বিজয়ীদের তালিকা


গণিত উৎসব ২০১৫ বিজয়ীদের তালিকা

গণিত উৎসব ২০১৫ বিজয়ীদের তালিকা

রংপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসবের খবর

দেশ জাগানোর অঙ্গীকার

কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু, কিন্তু জানার আকাঙ্ক্ষার শেষ ছিল না। শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রশ্ন করছে এক শিক্ষার্থী। গতকাল রংপুর জিলা স্কুল মাঠে গণিত উৎসবে l ছবি: প্রথম আলো

গণিতের জিয়ন কাঠিতে দেশ জাগানোর অঙ্গীকার করল শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে তিন ‘ম’—মুখস্থ, মিথ্যা ও মাদককে না বলার শপথ করেছে তারা। 
রংপুর জিলা স্কুল মাঠে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১৫-এর আঞ্চলিক পর্বে শিক্ষার্থীরা এই অঙ্গীকার করে। গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো—স্লোগানের এই উৎসবে রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের ১০৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো।
কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের আগেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা রংপুর জিলা স্কুলের মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল নয়টার আগেই পুরো মাঠ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এ টি এম মাহবুব-উল-করিম। আন্তর্জাতিক গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক রংপুর শাখার ব্যবস্থাপক অপূর্ব রায় ও বাংলাদেশ গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, ভালো শিক্ষার্থী হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
মাহবুব-উল করিম বলেন, প্রথম আলো পত্রিকা গণিত উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করছে।
উদ্বোধনী পর্বের পর শিক্ষার্থীরা সোয়া ঘণ্টার মূল্যায়ন পরীক্ষায় বসে। পরে শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব হয়। ‘শূন্য দিয়ে কোনো কিছুকে ভাগ করা যায় না কেন’, ‘মানুষ কেন স্বপ্ন দেখে’, ‘আকাশের তারা কেন গণনা করা যায় না’—এমন অনেক মজার মজার প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নের উত্তর দেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সরকার, রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষক শাহজাহান মিয়া, পীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আলমগীর মো. সাইফুল ইসলাম, শঠিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তারিক প্রধান।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বন্ধুসভার সভাপতি শাহজাদ হোসেন ও প্রথম আলোর রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুল হক। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। উৎসবে বন্ধুসভার বন্ধুরা সংগীত পরিবেশন করেন।
উৎসবে চার ক্যাটাগরিতে ৬০ জন বিজয়ীকে সনদ দেওয়া হয়। তাদের পরিয়ে দেওয়া হয় পদক ও টি-শার্ট।

বরগুনা ও পঞ্চগড় গণিত উৎসবের খবর

চোখে ওদের গণিত জয়ের স্বপ্ন

চলছে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। নিজের নামটি শুনেই একজনের দৌড়। অন্যরা তখনো উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষায়। গণিত উৎসবে গতকাল সকাল থেকেই এই খুদে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ l ছবি: প্রথম আলো

সকালে সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারদিক। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। কিন্তু তাতে কী? গণিত উৎসব বলে কথা! পাইয়ের মান একই কেন? পৃথিবীটা গোল, অন্য আকৃতির হয় না কেন? লসাগু বড়, তো গসাগু ছোট কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উদ্গ্রীব যাদের মন, তাদের আটকাতে পারেনি কুয়াশার বাধা আর শীতের কনকনে হাওয়া। চোখে-মুখে গণিত জয়ের স্বপ্ন নিয়েই গতকাল শুক্রবার পঞ্চগড় ও বরগুনায় গণিত উৎসবে যোগ দিয়েছিল খুদে শিক্ষার্থীরা।
উৎসবে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও এবং বরগুনা ও পটুয়াখালী—এ চার জেলার শতাধিক প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক খুদে শিক্ষার্থী অংশ নেয়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৩তম এই আঞ্চলিক উৎসব। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ উৎসবের স্লোগান।
পঞ্চগড়: সকাল আটটা থেকেই খুদে গণিতবিদদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ। গণিতকে জয় করার উৎসাহ নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠে মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা। গণিতের ভয় জয় করে গণিতকে ভালোবেসে এগিয়ে যাওয়ার নেশা তাদের চোখে-মুখে।
তেঁতুলিয়া থেকে ভাইয়ের সঙ্গে এসেছে ছোট্ট শিশু তমা। চারদিক এত শিক্ষার্থীর আনাগোনা দেখে অবাক সে। গণিত করবে? জিজ্ঞেস করতেই মাথা নেড়ে সায় দিয়ে বলে, ‘আমি এখন অল্প পারি, আরেকটু বড় হয়ে ভাইয়ার মতো করব।’
সাড়ে নয়টার দিকে উৎসবের স্লোগান লেখা ব্যানার বেঁধে একঝাঁক বেলুন উড়িয়ে ও প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পঞ্চগড় অঞ্চলের গণিত উৎসব। পতাকা উত্তোলন করে উৎসব উদ্বোধন করেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবধন বর্মণ ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাসচিব আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের এই খুদে গণিতবিদেরা স্বর্ণপদক ছিনিয়ে আনবে। গণিত ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ে এ রকম আয়োজন করলে শিক্ষায় গতিশীলতা আসবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় সোয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষা। পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়। পরে শিক্ষার্থীরা মজার মজার প্রশ্ন করে জিতে নেয় পুরস্কার। রুবিকস কিউব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেিণর ছাত্র কাজী ফাইয়াজ আবরার।
‘আমরা করব জয়’—এ গানের মধ্য দিয়ে ইতিটানা হয় বর্ণিল এ উৎসবের। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর পঞ্চগড় প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম। এ পর্বে ভেন্যু প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা স্মারক। স্মারক নিয়ে জীবধন বর্মণ বলেন, গণিত নীরস বিষয় নয়, আজকের উৎসবই এর প্রমাণ। পরে চার ক্যাটাগরিতে ৪০ বিজয়ীকে জাতীয় উৎসবের জন্য নির্বাচন করা হয়। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সনদ। পরিয়ে দেওয়া হয় মেডেল ও টি-শার্ট।
বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল আয়োজিত গণিত উৎসবে শিক্ষক ও অতিথিদের সঙ্গে বিজয়ীরা l প্রথম আলো

বরগুনা: সকাল নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বরগুনা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় বরিশাল অঞ্চলের গণিত উৎসব। নয়টার আগেই ভরে ওঠে বিদ্যালয়ের মাঠে নির্মিত প্যান্ডেল। এ উৎসবে বরগুনা ও পটুয়াখালীর ৫৫টি স্কুলের ৪৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চার বিভাগে শিক্ষার্থীরা উৎসবে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বন্ধুসভার সদস্যদের গাওয়া জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহম্মেদ ও পটুয়াখালী এ কে এম কলেজের সহকারী অধ্যাপক গৌতম সাহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আধুনিক ও যুক্তিনির্ভর প্রজন্ম বির্নিমাণে এ উৎসব এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। একসময় গণিতে শিক্ষার্থীদের খুব ভীতি ছিল। অভিভাবকেরাও এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। এখন তা অনেক কমেছে। গণিত উৎসব এ ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে। এ উৎসবের জন্য প্রথম আলো ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, গণিতকে ভয় করলে চলবে না। গণিতকে আনন্দ ও বিনোদন আর মেধাবিকাশের সহায়ক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে। গণিতভীতিকে জয় করে বিশ্বের বুকে দেশের সম্মান বয়ে আনতে হবে।
উৎসবে শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আহম্মেদ বলেন, ‘পৃথিবীর অপার বিস্ময় হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্ব। এ মহাবিশ্বকে জানতে গাণিতিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। চলতি বিশ্বের সঙ্গে আমাদের তাল মেলাতে হলে ভালোভাবে গণিত শিখতে হবে। মুখস্থবিদ্যা পরিহার করতে হবে।’
কুইজ পর্বে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত উৎপাদক ও মৌলিক উৎপাদকের পার্থক্য কী? টামটা কী? অসংজ্ঞায়িত ও অনির্ণেয়র মধ্যে পার্থক্য কী? শক্তির উৎস কী? পৃথিবী গোল কেন? বিশ্বের এত শক্তি কোথা থেকে আসে? এ রকম নানা প্রশ্ন করে। শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নে উৎসবে এক ভিন্ন ধরনের আমেজ তৈরি করে। প্রশ্নের জবাব দেন পটুয়াখালী এ কে এম কলেজের সহকারী অধ্যাপক গৌতম দাস ও বরগুনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক বাবুল আকতার।
কুইজ পর্ব শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর বরগুনার নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি শংকর দাস, বন্ধুসভার সুশান্ত পোদ্দার সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
উৎসবে চ্যানেল আইয়ের সেরাকণ্ঠ শিল্পী অমিত কর্মকার গান গেয়ে শোনান। এ ছাড়া বন্ধুসভার তমা খান, ঈষাণ, তুহিন খান, সানজিদা শোনান গণিতের গান। শেষে মেহেদি ও ফেরদৌসের নৃত্য এবং বন্ধুসভার প্রয়োজনায় শোধন নামের একটি নাটিকা মঞ্চস্থ হয়।

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গণিত উৎসব চলছে

পঞ্চগড়ে বেলুন উড়িয়ে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করছেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান। ছবিটি আজ বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তোলা হয়। ছবি: মঈনুল ইসলাম

পঞ্চগড়ে বেলুন উড়িয়ে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করছেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান। ছবিটি আজ বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তোলা হয়। ছবি: মঈনুল ইসলামশৈত্যপ্রবাহের হিমেল বাতাসের মধ্যে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন। এরপর মুহুর্মুহু করতালিতে আকাশে উড়ল রঙিন বেলুন। গণিত উৎসব শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধান অতিথি। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় পঞ্চগড়ের বিপি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে এভাবেই শুরু হয়েছে গণিত উৎসবের আঞ্চলিক পর্বের অনুষ্ঠান। 
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান সামনে রেখে শুরু হওয়া ১৩তম গণিত উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। প্রথম আলোর সহযোগিতায় আর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় আঞ্চলিক পর্বের এ অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রাথমিক, নিম্ন-মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে প্রতিযোগিতায়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ভেন্যু প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জীবধন বর্মণ বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের এই খুদে গণিতবিদেরা স্বর্ণপদক ছিনিয়ে আনবে। গণিত ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ে এ রকম আয়োজন করলে শিক্ষায় গতিশীলতা আসবে।
গণিত উৎসবের এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, এটুআই প্রকল্পের জনপ্রে‌ক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শামসুল আজম, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এহতেশামুল হক প্রমুখ।

ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী আঞ্চলিক গণিত উৎসবের খবর

নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালেয়র মাঠে গতকাল গণিত উৎসবে প্রশ্ন করার জন্য দাঁড়িয়েছে ওরা l ছবি: প্রথম আলো

আঞ্চলিক গণিত উৎসবের তৃতীয় দিনের মিলনমেলাও দারুণ জমে উঠেছিল। গতকাল রোববার কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও নরসিংদীতে তিনটি আসরে সাত জেলার ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৮ শ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। কুষ্টিয়া ও নরসিংদীর উৎসবে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনকারী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সদ্যপ্রয়াত মাকসুদুল আলম স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আঞ্চলিক গণিত উৎসবের এ বছরের উৎসব শুরু হয় গত শুক্রবার। ওই দিন সুনামগঞ্জ, খুলনা, ময়মনসিংহ ও পাবনায় ১১ জেলার ২০৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শনিবার রাজশাহী, টাঙ্গাইল, হবিগঞ্জ ও নড়াইলে ১০ জেলার ১৪১ প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার শিক্ষার্থী উৎসবে মেতে ওঠে। সর্বশেষ গতকাল রোববার তিনটি স্থানে অনুষ্ঠিত উৎসব সকালে বন্ধুসভার সদস্যদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
আমারও একটা প্রশ্ন আছে—গতকাল কুষ্টিয়া জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত গণিত উৎসবে হাত তুলে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা এক শিক্ষার্থীর l ছবি: প্রথম আলো

ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে আটটার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের মাঠ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আনার কলি মাহবুব। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা তোলেন জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিভা রানী পাঠক এবং আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা তোলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম।
উৎসবে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার প্রায় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সকাল পৌনে ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১১টায়। এরপর মূল প্যান্ডেলে চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। অন্যদিকে শিক্ষক মিলনায়তনে চলে খাতা দেখার কাজ। প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীদের মজার মজার ও চমকপ্রদ প্রশ্নের উত্তর দেন মুনির হাসান। এর ফাঁকে ফাঁকে চলে কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্য ও উৎসবে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের গান, কবিতা ও আবৃত্তি। উৎসবে রুবিকস কিউব ২৪.৬ সেকেন্ড মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ছাত্র আবদুল্লাহ শাহরিয়ার।
ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকালের গণিত উৎসবে প্রশ্ন করছে এক শিক্ষার্থী l ছবি: প্রথম আলো

উদ্বোধনী বক্তব্যে আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘শীতের শীতল বাতাস ও গণিতের ভয় উপেক্ষা করে তোমরা এখানে এসেছ। তোমরাই পারবে ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে।’
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক নুরুন্নাহার, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক ও যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান, প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উৎসবে অংশ নেয় ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা জেলার ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাত শতাধিক শিক্ষার্থী।
সকাল সাড়ে নয়টায় সরকারি কেসি কলেজের অধ্যক্ষ বি এম রেজাউল করিম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ওয়াজির আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা নাহিদ আক্তার এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ আমেনা খাতুন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান।
রেজাউল করিম বলেন, ‘মানুষের উন্নতির জন্য ভাষায় দক্ষতা আর গণিতে পারদর্শিতা থাকা দরকার। প্রথম আলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে, যা আমাদের ছেলেমেয়েদের বুদ্ধি বিকাশে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
গণিতের পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায়। শেষ হয় বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত। আলোচনা করেন অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, শিক্ষক নাহিদ আক্তার, প্রবীণ শিক্ষক আলতাফ হোসেন, বন্ধুসভার সভাপতি সাইক-আল-জামি লিশন ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা শাহীনূর আলম।
নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পৌনে পাঁচ শ শিক্ষার্থী সমবেত হয় নরসিংদীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান জাতীয় পতাকা, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খোদাদাদ খান গণিত অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক পতাকা এবং সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম চন্দ্র মিত্র বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন। উৎসব উদ্বোধন করেন গৌতম চন্দ্র মিত্র। অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন। উৎসবে শিক্ষার্থীরা মাদক, মুখস্থ ও মিথ্যাকে না বলার অঙ্গীকার করে।
১৩তম বর্ষের এই উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। পৃষ্ঠপোষক ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রথম আলো। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান নিয়ে প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই চার বিভাগে শিক্ষার্থীরা উৎসবস্থলে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। সব স্থানেই বন্ধুসভার সদস্যদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসব উদ্বোধন করা হয়।

কুষ্টিয়া ও নরসিংদীতে গণিত উৎসবের আপডেট

কুষ্টিয়ায় গণিত উৎসবে পরীক্ষায় মগ্ন শিক্ষার্থীরা। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়া ও নরসিংদীতে আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণিত উৎসব। শীতের সকালে এ উৎসবে দুই জেলার প্রায় ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।
কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল সাড়ে আটটা। এর আগেই ঘন কুয়াশা ও মৃদু শীতল বাতাস জয় করে শিক্ষার্থীরা উৎসবস্থলে আসতে শুরু করে। সাড়ে আটটার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের মাঠ। সেখানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব শুরু হয়েছে।
সকাল নয়টায় কুষ্টিয়া বন্ধুসভার সদস্যরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আনার কলি মাহবুব। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা তোলেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিভা রানী পাঠক ও আন্তর্জাতিক পতাকা তোলেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম। এ সময় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক ও যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান, প্রথম আলোর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘শীতের শীতল বাতাস ও গণিতের ভয়কে উপেক্ষা করে তোমরা যারা আজ এখানে এসেছ, তোমরাই পারবে ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্বে দিতে। জয় করবে সকল বাধা-বিপত্তি।’
কুষ্টিয়ার উৎসবে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার প্রায় ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সকাল পৌনে ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়।
নরসিংদী: সকাল থেকেই নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে আসতে থাকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা। এখানেই গণিত উৎসবের নরসিংদী আঞ্চলিক পর্যায়ের অনুষ্ঠান। ১৩তম এ গণিত উৎসবের স্লোগান ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল সাড়ে নয়টায় নরসিংদী বন্ধুসভার সদস্যরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান জাতীয় পতাকা, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খোদাদাদ খান গণিতের আন্তর্জাতিক পতাকা ও নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম চন্দ্র মিত্র বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান শিক্ষক গৌতম চন্দ্র মিত্র গণিত উৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে নরসিংদী ও ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পৌনে পাঁচ শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এই চার বিভাগে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।