শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিতে শুরু করেছে মাত্র। এরই মধ্যে দিনাজপুর, রাজশাহী, যশোর ও গাজীপুরের ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে শুরু হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আনাগোনা। ঠান্ডা উপেক্ষা করে একপর্যায়ে ভিড় বাড়তে শুরু করে। তাঁদের এ জমায়েত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব-২০২৫-এর আঞ্চলিক গণিত উৎসবকে কেন্দ্র করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। আজ শনিবার সকালে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এ আয়োজনে অংশ নেয় এসব অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা।
শীতের সকালে ঘন কুয়াশা। পূর্বাকাশে সূর্য হালকা উঁকি দিচ্ছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছে খুলনা জিলা স্কুল মাঠে। সেখানে শুরু হয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৫-এর আঞ্চলিক গণিত উৎসব। প্রায় ৮০০ খুদে গণিতবিদ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে এই গণিত উৎসবে অংশ নিয়েছে।
‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’—স্লোগান নিয়ে শীতের শিশির ভেজা সকালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে শুরু হয়েছে আঞ্চলিক গণিত উৎসব। সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খুদে গণিতবিদদের পদচারণে মুখর কলেজ মাঠ। আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসব।
মাঘের শীতের সকালে কুয়াশা কাটেনি, কিন্তু রংপুর নগরের জিলা স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে এতটুকু প্রভাব পড়েনি। শিক্ষার্থীরা এসেছে দলে দলে। কেউ অভিভাবকের সঙ্গে। তাদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস। গণিতকে জয় করার সংকল্প।
আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বিদ্যালয়টির মাঠে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু। একই সঙ্গে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড ও আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী।
১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৭টি আঞ্চলিক গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুর ও গাজীপুর।
আগামী ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবার, গাজীপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। গাজীপুর আঞ্চলিক গণিত উৎসবের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন ভেন্যু: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চবিদ্যালয়, গাজীপুর।
‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৫’-এর দ্বিতীয় ধাপ ‘আঞ্চলিক গণিত উৎসব’দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের বরিশাল বিভাগীয় পর্ব আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নগরের ঐতিহ্যবাহী বিএম স্কুল প্রাঙ্গণে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
গণিত অলিম্পিয়াড এখন আর সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ নয়, এটি আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের অংশ। গণিত মানুষকে যুক্তিবাদী ও উন্নত প্রজন্ম গড়তে সাহায্য করে। তাই নতুন প্রজন্মকে গণিতচর্চায় বেশি বেশি সময় দিতে হবে।
কুমিল্লা নগরের নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আঙিনায় আজ শনিবারের সকালটা অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। চারদিকে যেন উৎসবের আমেজ। দূর থেকেই শোনা যাচ্ছিল শিক্ষার্থীদের আলাপচারিতা। বিভিন্ন স্থান থেকে সেখানে জমায়েত হয়েছে সাড়ে পাঁচ শ খুদে গণিতবিদ। আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনা নিয়ে তাঁরা অংশ নেয় এবারের ‘ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো আঞ্চলিক গণিত উৎসবে’।